ঢাকা   মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

আইএমএফের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ে শর্ত, জুনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

অর্থ ও বাণিজ্য

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০:২৭, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

সর্বশেষ

আইএমএফের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ে শর্ত, জুনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যক্রম সঠিক পথে এগোচ্ছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। তবে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আইএমএফ জানিয়েছে, জুনে এ দুটি কিস্তির অর্থ ছাড় হতে পারে, তবে তার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও চুক্তির ধাপ শেষ করা প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান আইএমএফ প্রতিনিধি দল। গত ৬ এপ্রিল থেকে দুই সপ্তাহ বাংলাদেশে অবস্থান করে অর্থনৈতিক নীতি ও সংস্কার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে দলটি। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আইএমএফের গবেষণা বিভাগের উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি শাখার প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও।

পাপাজর্জিও জানান, আগামী ২১-২৬ এপ্রিল ওয়াশিংটনে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বসন্তকালীন সভায় চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির ছাড় নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমানসহ উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল অংশ নেবে। তিনি বলেন, “এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাংলাদেশ ও এর জনগণের পাশে থাকার জন্য আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।”

আইএমএফ বলছে, বাংলাদেশের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, বিনিময়হার আরও নমনীয় করা, আর্থিক খাত সংস্কার এবং বাজারভিত্তিক নীতিমালার বাস্তবায়ন নিয়ে এখনো কিছু আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা, ডলার বিনিময় হার এবং বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় কর নীতিতে সংস্কার বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কিছুটা সময় নিচ্ছে। তবে রিজার্ভ পরিস্থিতি প্রত্যাশার চেয়ে ভালো এবং বিনিময় হার এখন বেশ স্থিতিশীল, যা ঋণ ছাড়ের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে আইএমএফ।

এ পর্যন্ত বাংলাদেশ আইএমএফের কাছ থেকে তিন কিস্তিতে মোট ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। প্রথম কিস্তি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে (৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার), দ্বিতীয় কিস্তি ডিসেম্বরে (৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার) এবং তৃতীয় কিস্তি ২০২৪ সালের জুনে (১১৫ কোটি ডলার) ছাড় হয়। এখন বাকি আছে ২৩৯ কোটি ডলার, যার চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের জন্য চলছে আলোচনা।

আইএমএফ মনে করে, বাংলাদেশের বিনিময় হার আরও নমনীয় হওয়া দরকার। যদিও এখনই পুরোপুরি বাজারে ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে নয় সংস্থাটি, তবে সময়কে উপযোগী মনে করছে, কারণ ব্যাংক ও খোলাবাজারের ডলারের দামে ব্যবধান কমেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রা আয়ও বেড়েছে।

পাপাজর্জিও বলেন, “বাংলাদেশের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা, মূল্যস্ফীতির চাপ এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো। এসবের মোকাবিলায় আর্থিক খাত সংস্কার, ব্যাংক পুনর্গঠন এবং ছোট আমানতকারীদের সুরক্ষায় কার্যকর নীতিমালা গ্রহণ জরুরি।”

শেয়ার বিজনেস24.কম

সর্বশেষ