
বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল মার্কিন স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। সোমবার (২৮ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠানটিকে লাইসেন্স অনুমোদন করেন। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) গত ২৫ মার্চ এনজিএসও (Non-Geostationary Orbit) স্যাটেলাইট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সিং গাইডলাইন জারি করে। এর আওতায় স্টারলিংক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি জমা দিয়ে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে। পরে বিটিআরসির ২৯৪তম কমিশন সভায় নীতিগত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে লাইসেন্স অনুমোদন করা হয়।
শ্রীলঙ্কার পর দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই দ্বিতীয় দেশ, যেখানে স্টারলিংক সেবা চালু করল। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, গত জুলাইয়ের গণআন্দোলনের সময় ইন্টারনেট সেবায় অচলাবস্থার প্রতিবাদে স্টারলিংক আনার দাবিটি জোরালো হয়ে ওঠে। দেশের দুর্গম, উপকূলীয় ও পাহাড়ি এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে নিজ উদ্যোগে ইলন মাস্ককে ফোন করেন প্রধান উপদেষ্টা এবং ৯০ দিনের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করতে আহ্বান জানান।
স্টারলিংকের মাধ্যমে দেশে নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে, যা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময়েও চালু থাকবে। বর্তমানে দেশের প্রায় ৬৫% টেলিযোগাযোগ টাওয়ার ফাইবার সংযোগের বাইরে রয়েছে, যেখানে সীমিত ধারণক্ষমতার মাইক্রোওয়েভ সংযোগে সেবা দেওয়া হয়। স্টারলিংক এই সমস্যার সমাধানে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন ফয়েজ তৈয়্যব।
তিনি আরও জানান, স্টারলিংকের আগমনে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং প্রচলিত ভয়েস ও ডেটা ভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবস্থার পরিবর্তে ডিজিটাল সার্ভিস নির্ভর নতুন যুগের সূচনা হবে। শহর-গ্রাম নির্বিশেষে সবার জন্য নিরবচ্ছিন্ন এবং মানসম্মত ইন্টারনেট নিশ্চিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।