
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ভালোবেসে সৃষ্টি করেছেন সমগ্র মাখলুকাতকে। জিন ও ইনসানকে তৈরি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। (সুরা জারিয়াত, আয়াত: ৫৬) মানুষকে দিয়েছেন দুনিয়ায় খেলাফতের মহান দায়িত্ব। (সুরা বাকারা, আয়াত: ৩০) যারা এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে, তাদের সম্মানিত করা হবে আল্লাহর বন্ধুত্বের মর্যাদায়। (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৫৭)
সুতরাং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের উচিত আল্লাহর নির্দেশ ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ অনুসরণ করা। তাই আমরা কাজের শুরুতে বলি, ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।’ (সুরা নমল, আয়াত: ৩০)
আল্লাহ তাআলা বান্দার ডাকে সাড়া দেন, প্রশ্নের জবাব দেন, দোয়া কবুল করেন। (মিশকাত শরিফ) সুরা ফাতিহায় বান্দা যখন আল্লাহর প্রশংসা করে, তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দা আমার প্রশংসা করল।’ যখন বান্দা সাহায্য চায়, তখন আল্লাহ বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত হলো আমার এবং বান্দার মাঝে—আমি তাকে সাহায্য করব।’ (মুসলিম শরিফ: ৭৬৪)
তবে আল্লাহর সাহায্য পেতে হলে ইবাদতের পাশাপাশি নিজেকেও বদলাতে হবে। কোরআনের ঘোষণা, ‘তোমরা যদি আল্লাহকে সাহায্য করো, আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করবেন।’ (সুরা মুহাম্মদ, আয়াত: ৭) আবার বলেছেন, ‘আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করে।’ (সুরা রাআদ, আয়াত: ১১)
হালাল-হারামের ব্যাপারে সচেতন থাকা আবশ্যক। হালাল হলো যা বৈধ এবং হারাম হলো যা নিষিদ্ধ। হারাম সম্পর্কে কোরআন ও সুন্নাহতে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা থাকতে হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘হালাল স্পষ্ট, হারামও স্পষ্ট।’ (বুখারি: ১৪৭)
ইসলাম ইতিবাচক ও কল্যাণকর কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইসলামে কোনো উত্তম রীতির প্রচলন করল, তার জন্য তার সওয়াব রয়েছে এবং তার অনুসরণকারীদের সওয়াবও। আর যারা মন্দ কোনো প্রচলন করবে, তার পাপও বহন করবে এবং তাদের অনুসরণকারীদের পাপও।’ (সহিহ মুসলিম)
সুতরাং আমাদের উচিত প্রতিটি ইবাদত, প্রতিটি কাজে হালাল-হারামের সুস্পষ্ট বিধান মেনে চলা। তাহলেই ইবাদত হবে কবুলযোগ্য, আর জীবন হবে বরকতময়।
শেয়ার বিজনেস24.কম