
আধুনিক ব্যস্ত জীবনে কোরআন তিলাওয়াত ও কোরআনের জ্ঞান অর্জনের ইচ্ছা থাকলেও অনেকেই সময়ের অভাবে তা করতে পারেন না। তবে একটু পরিকল্পনায় ব্যস্ততার মাঝেও নিয়মিত কোরআনচর্চা সম্ভব। প্রতিদিন কর্মস্থলে যাতায়াতের সময় ফেসবুক বা সামাজিক মাধ্যমে সময় নষ্ট না করে কোরআন, এর অর্থ ও ব্যাখ্যা পড়া যেতে পারে। যারা পড়তে ইচ্ছুক না, তারা চলতি পথে খ্যাতিমান কারিদের তিলাওয়াত শুনেও কোরআনচর্চা চালিয়ে যেতে পারেন।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে বা পরে মাত্র পাঁচ মিনিট কোরআন পাঠ করলে দিনে পাঁচ থেকে আট পৃষ্ঠা পড়া সম্ভব। পরিবারের সঙ্গে খাবার টেবিলে কোরআনের আয়াত ও শিক্ষা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে, যা বিশেষ করে ছোটদের দ্বীনি জ্ঞান বাড়াতে সহায়ক হবে। রাতে ঘুমানোর আগে ১০ মিনিট সময় দিয়ে কিছু সুরা তিলাওয়াত করা সুন্নাহর অন্তর্ভুক্ত এবং এটি কোরআনচর্চার একটি সুন্দর অভ্যাস গড়ে তোলে।
যারা হাফেজ, তারা ফরজ ও সুন্নত নামাজে নিয়মিত কোরআনের আয়াত পাঠ করে নিজেদের মুখস্থ শক্তি বজায় রাখতে পারেন। কর্মস্থলেও একটি কোরআন শরিফ বা এর ব্যাখ্যাসহ কপি রাখলে অবসর সময়ে কোরআন পাঠ সহজ হয়।
আল্লাহ তাআলা কোরআনচর্চাকারীদের শান্তির পথে পরিচালিত করেন এবং ঈমান বৃদ্ধি করেন। পবিত্র কোরআনই মুমিনের জীবনের আলো ও উন্নতির উৎস। তাই ব্যস্ততা সত্ত্বেও কোরআনচর্চাকে জীবনের অপরিহার্য অংশ করে তোলাই হবে একজন মুসলিমের জন্য সফলতার চাবিকাঠি। আল্লাহ সবাইকে কোরআনচর্চায় মনোযোগী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।