ঢাকা   সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

আইপিএস কেনার আগে জানুন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো, না হলে হতে পারে বড় ক্ষতি

কেনাকাটা

শেয়ারবিজনেস ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

সর্বশেষ

আইপিএস কেনার আগে জানুন এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো, না হলে হতে পারে বড় ক্ষতি

দেশের ক্রমবর্ধমান লোডশেডিং এবং অতিরিক্ত গরমের কারণে আইপিএসের চাহিদা দ্রুত বেড়েছে। কিন্তু অনেকেই তাড়াহুড়ো করে কিংবা বিক্রেতার মিষ্টি কথায় ভুল পণ্য কিনে ফেলেন। তাই আইপিএস কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানা অত্যন্ত জরুরি।

বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের প্রভাবে দেশের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না, যার সরাসরি ফলাফল হচ্ছে লোডশেডিং। এই পরিস্থিতিতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা নিশ্চিত করতে ইন্টিগ্রেটেড পাওয়ার সাপ্লাই (আইপিএস) বা সমন্বিত বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই।

আইপিএস কীভাবে কাজ করে? আইপিএস মূলত ব্যাটারি ও ইনভার্টারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করে এবং বিদ্যুৎ না থাকলে তা সরবরাহ করে। বাজারে দুই ধরনের আইপিএস পাওয়া যায়—ইলেক্ট্রিক আইপিএস এবং সোলার আইপিএস।

  • ইলেক্ট্রিক আইপিএস: সরাসরি বিদ্যুৎ থেকে চার্জ নিয়ে ব্যাটারিতে সঞ্চয় করে।

  • সোলার আইপিএস: সৌর প্যানেলের মাধ্যমে সৌরবিদ্যুৎ থেকে চার্জ নিয়ে ব্যাটারিতে সংরক্ষণ করে। তবে এর দাম ইলেক্ট্রিক আইপিএসের তুলনায় বেশি।

আইপিএস কেনার আগে যা অবশ্যই যাচাই করবেন:

১. ওয়াট হিসাব করুন:
ব্যবহারযোগ্য ডিভাইসগুলোর মোট পাওয়ার (ওয়াট) হিসাব করুন। চাহিদার তুলনায় আইপিএসের ক্ষমতা কম হলে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবেন না।

২. ভোল্টেজ নিশ্চিত করুন:
আইপিএসের ইনপুট ও আউটপুট ভোল্টেজ রেটিং নিশ্চিত করতে হবে। সাধারণত স্ট্যান্ডার্ড ভোল্টেজ ১০০ থেকে ৩০০ ভোল্টের মধ্যে থাকে।

৩. ব্যাটারির গুরুত্ব বুঝুন:
ব্যাটারির অ্যাম্পিয়ার নির্ভর করে ব্যবহারকারীর চাহিদার ওপর। বড় চাহিদার জন্য বড় বা একাধিক ব্যাটারি প্রয়োজন।

৪. চার্জ কন্ট্রোলার পরীক্ষা করুন:
পুরনো আইপিএসে রিলে ব্যবহৃত হলেও, আধুনিক আইপিএসে এসসিআর ব্যবহৃত হয়, যা আরও নির্ভুল ও টেকসই।

৫. ওয়ারেন্টির মেয়াদ যাচাই করুন:
আইপিএসের ওয়ারেন্টি মূলত ব্যাটারির স্থায়িত্বের ওপর নির্ভর করে। সাধারণত ২-৩ বছরের মধ্যে ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমে আসে।

বাজারের আইপিএসের দাম:

বাংলাদেশের বাজারে সিঙ্গার, ওয়ালটন, নাভানা, ফিলিপস, সুকান, লুমিনাসসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের আইপিএস পাওয়া যায়। ভালো মানের আইপিএসের দাম শুরু হয় প্রায় ৩৪ হাজার টাকা থেকে। তবে কম দামে ৮ হাজার টাকা এবং উচ্চ মানের আইপিএসের দাম ২ লাখ টাকাও ছাড়াতে পারে। চাইলে স্থানীয় কারখানা থেকেও কাস্টমাইজড আইপিএস বানানো সম্ভব।

সর্বশেষ