ঢাকা   সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২

দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিনেই জনপ্রিয়তা তলানিতে ট্রাম্পের, শুল্ক নীতিতে বাড়ছে মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা

বিশেষ প্রতিবেদন

শেয়ারবিজনেস ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৪২, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

দায়িত্ব গ্রহণের ১০০ দিনেই জনপ্রিয়তা তলানিতে ট্রাম্পের, শুল্ক নীতিতে বাড়ছে মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ১০০ দিনের মধ্যেই ব্যাপকভাবে আস্থা হারাচ্ছেন জনগণের। সিএনএনের এক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বর্তমানে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা নেমে এসেছে মাত্র ৪১ শতাংশে। অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে তার নেওয়া পদক্ষেপে আস্থা আছে মাত্র ৩৯ শতাংশ মার্কিন নাগরিকের। গত ৭০ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে এত দ্রুত সময়ের মধ্যে এমন জনপ্রিয়তা পতন আর দেখা যায়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা ও বিতর্কিত শুল্ক নীতির কারণে ট্রাম্পের প্রতি জনসমর্থন কমে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মহামারী-পূর্ব অর্থনীতি ফিরিয়ে আনার। কিন্তু বাস্তবে তিনি এমন শুল্ক নীতি গ্রহণ করেছেন, যা বাজারে পণ্যের সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে বড় বড় কোম্পানি থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন অনিশ্চয়তার মধ্যে। শেয়ারবাজারে ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতি, বিমান সংস্থাগুলোর ফ্লাইট কমানো এবং চীনের পণ্য বর্জনের মতো ঘটনাও ঘটেছে এরই ধারাবাহিকতায়।

এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প দাবি করেছেন, ‘সুন্দর’ শুল্কের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনাই তার লক্ষ্য। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য বিদেশি বাজারে ঢুকিয়ে ও ছোট দেশগুলোকে একক চুক্তির মাধ্যমে আমেরিকার স্বার্থে বাধ্য করতে চান। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নীতির বাস্তবায়ন উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও জীবনের ব্যয় বৃদ্ধির ঝুঁকি বহন করছে।

ট্রাম্প নিজেও স্বীকার করেছেন, আগামী বছরগুলোতে শুল্ক ২০, ৩০ কিংবা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়লে আমেরিকানদের জীবনযাত্রার খরচ ব্যাপকভাবে বাড়তে পারে। যদিও তিনি কর কমানোর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতির সমাধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবে ধীরগতিতে এগোচ্ছে।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, তাদের নেওয়া কৌশল সুপরিকল্পিত, যা শিগগিরই বাণিজ্য চুক্তি সম্প্রসারণ ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে আসবে। তবে এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে না পেয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে গভীর সংশয়ে রয়েছেন বিশ্লেষক ও সাধারণ আমেরিকান নাগরিকরা।