
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য মশিউর সিকিউরিটিজ (ট্রেক নং-১৩৪) দেশের শেয়ারবাজার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জালিয়াতির ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও কর্মকর্তারা মিলেমিশে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ১৬১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যার মধ্যে সমন্বিত গ্রাহক হিসাব (সিসিএ) থেকে ৬৮ কোটি ৫৮ লাখ এবং শেয়ার বিক্রির অর্থ বাবদ ৯২ কোটি ৩৫ লাখ টাকা গায়েব করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
একইসঙ্গে মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা এবং ব্যাংক হিসাব স্থায়ীভাবে স্থগিত করতে বিএফআইইউকে (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তদন্তে উঠে এসেছে, মশিউর সিকিউরিটিজ অনুমোদিত ট্রেডিং ওয়ার্ক স্টেশন ব্যবহার করে, একই মোবাইল নম্বর ও ব্যাংক হিসাব দিয়ে একাধিক বিও একাউন্ট খুলে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার লোপাট করেছে। এর আগে, ক্রেস্ট, বানকো ও তামহা সিকিউরিটিজেও বড় অংকের আত্মসাতের ঘটনা ঘটলেও এবার মশিউর সিকিউরিটিজের জালিয়াতির মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
গত ১০ এপ্রিল বিনিয়োগকারীরা সংবাদ সম্মেলন করে তাদের পুঁজি ফেরতের দাবি জানান এবং মশিউর সিকিউরিটিজের সঙ্গে ডিএসই ও বিএসইসির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদেরও শাস্তির দাবি তোলেন। বিএসইসির তদন্ত প্রমাণ করে যে, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ সুনির্দিষ্ট। তবে এ বিষয়ে জানতে মশিউর সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
শেয়ার বিজনেস24.কম