
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যাচ্ছে—চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসের হিসাব তাই বলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে সঞ্চয়পত্র কেনার চেয়ে ভাঙানোর পরিমাণই বেশি। অর্থাৎ, নতুন করে যারা সঞ্চয়পত্র কিনছেন, তাদের সংখ্যা বা পরিমাণ কম; বরং আগের বিনিয়োগ তুলে নিচ্ছেন অনেকেই।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জানুয়ারি মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ঋণাত্মক ধারায় রয়েছে ৪ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই মাসে বিক্রি বাবদ সরকারের হাতে যা এসেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা দিতে হয়েছে আগের আসল ও সুদের পরিশোধে। একই চিত্র দেখা যায় আগের দুই মাসেও—ডিসেম্বরে ৩ হাজার ৯২১ কোটি এবং নভেম্বরে ৩ হাজার ৪৩০ কোটি টাকার ঘাটতি দেখা গেছে।
চিত্রটা শুধু এই অর্থবছরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আগের অর্থবছর ২০২৩-২৪-এর একই সময়েও সঞ্চয়পত্র বিক্রির অবস্থা ছিল নেতিবাচক। ওই সময়েও সরকারকে বিক্রির চেয়ে বেশি টাকা পরিশোধ করতে হয়েছে।
মোট হিসাব বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি ঋণাত্মক হয়েছে প্রায় ৭ হাজার ১৩ কোটি টাকা। আগের বছরও একই সময়ে এ ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৭ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা।
এই প্রবণতা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, মানুষ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের পরিবর্তে তা ভাঙিয়ে নগদ অর্থের দিকে ঝুঁকছে। যা সামগ্রিক অর্থনীতিতে উদ্বেগের কারণ হতে পারে।