
ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার কোটি টাকা
বিদায়ী সপ্তাহে (২০-২৪ এপ্রিল) দেশের শেয়ারবাজার থেকে ৭ হাজার কোটি টাকার মূলধন কমে গেছে। আলোচ্য সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সবগুলো সূচক কমেছে। তবে টাকার অংকে লেনদেন বাড়লেও বাজার মূলধন কমেছে। একই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমেছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সূচকের পাশাপাশি টাকার অংকে লেনদেন কমেছে।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১২৪.৭৩ পয়েন্ট বা ২.৪৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৭২.৬০ পয়েন্টে।
অপর সূচকগুলোর মধ্যে- ডিএসই-৩০ সূচক ৩০.৩৮ পয়েন্ট বা ১.৬২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৪৫.০১ পয়েন্টে।
ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৩৯.০১ পয়েন্ট বা ৩.৪১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১০৪.৭০ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসএমইএক্স সূচক ১২.৬৫ পয়েন্ট বা ১.৩৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯১২.৪৩ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৭টি, কমেছে ৩২৪টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টি প্রতিষ্ঠানের।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬৬ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার শেয়ার ৬ লাখ ৪২ হাজার ৮৫৭বার হাতবদল হয়।
টাকার অংকে যার বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭১৮ কোটি ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকা।
আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫৯৬ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১২২ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বা ৭.৬৪ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৬ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫০ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার টাকায়।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৭ হাজার ৮৬ কোটি ৯ লাখ ২০ হাজার টাকা বা ১.০৬ শতাংশ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩০২.১১ পয়েন্ট বা ২.১১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৯৫৬.৯৬ পয়েন্টে।
সিএসইর অপর সূচক সিএসসিএক্স ১৬০.২২ পয়েন্ট বা ১.৮৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৫২৪.৮৮ পয়েন্টে।
অপর ২টি সূচকের মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ১৩.২ পয়েন্ট বা ১.২১ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ২৪.৫২ পয়েন্ট বা ২.৬৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে- এক হাজার ৭৭.৮১ পয়েন্টে এবং ৯০৩.৮০ পয়েন্টে।
এছাড়া, সিএসই-৩০ সূচক ৩৯.০৭ পয়েন্ট বা ০.৩৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৭৭১.৫৭ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫টি, কমেছে ২৪২টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির।
সপ্তাহটিতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৩৪ লাখ ৭ হাজার ৫২০ টাকার।
আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩২ কোটি ৪১ লাখ ৬ হাজার ১৭৬ টাকার।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৫ কোটি ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৫ টাকা বা ১৫.৬৪ শতাংশ।
রিটার্নে ১৯ খাতে লোকসান
বিদায়ী সপ্তাহে (২০-২৪ এপ্রিল’২৫) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ১৯ খাতে। এর ফলে এই ১৯ খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসানে রয়েছে। একই সময়ে সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ১ খাতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে তথ্য প্রযুক্তি খাতে। বিদায়ী সপ্তাহে এই খাতে দর কমেছে ৯.৪০ শতাংশ। ৮.৫০ শতাংশ দর কমে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাট এবং কাগজ ও প্রকাশনা খাত। একই সময়ে ৫.৫০ শতাংশ দর কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাত।
লোকসান হওয়া অন্য খাতের মধ্যে- সিরামিকস খাতে ৫.০০ শতাংশ, আর্থিক খাতে ৪.৩০ শতাংশ, চামড়া খাতে ৪.১০ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৩.৯০ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে ৩.৪০ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল খাতে ৩.২০ শতাংশ, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে ৩.০০ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ৩.০০ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ২.৮০ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ২.৫০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১.৮০ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১.৮০ শতাংশ, বিবিধ খাতে ১.০০ শতাংশ এবং টেলিকমিউনিকশন খাতে ০.২০ শতাংশ দর কমেছে।
ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে
বিদায়ী সপ্তাহে (২০-২৪ এপ্রিল) ডিএসইর (ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ) পিই রেশিও (সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত) কমেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশেও কমেছে ০.১৮ পয়েন্ট বা ১.৮৭ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ৯.৪০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৫৮ পয়েন্ট।
খাতভিত্তিক হিসাবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায় বিদায়ী সপ্তাহে- ব্যাংক খাতে ৬.২ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৩.৮ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩৭৯.৩ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৭.৩ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২১.৯ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৩.০ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৬.১ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১১.৫ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৬.১ পয়েন্ট, পাট খাতে ৩১.৮ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩৪.৬ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ২৪.২ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৩৪.৫ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.০ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ৯.৪ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৪৪.৫ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৩.১ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতে ১১.৮ পয়েন্ট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাত ৩০.৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আগের সপ্তাহে (১৩ -১৭ এপ্রিল’২৫) খাত ভিত্তিক পিই রেশিও ছিল- ব্যাংক খাতে ৬.৩ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৪.৭ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৪০.৭ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.১ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২৬.০ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৩.২ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৬.১ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৩ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৭.৮ পয়েন্ট, পাট খাতে ৩৫.৩ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩৫.০ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ২৪.৯ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৩৮.০ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.২ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ৯.৮ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৪১.৫ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১১.১ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতে ১২.৩ পয়েন্ট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাত ৩২.১পয়েন্ট।
ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে
বিদায়ী সপ্তাহে (২০-২৪ এপ্রিল’২৫) ডিএসইর (ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ) পিই রেশিও (সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত) কমেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশেও কমেছে ০.১৮ পয়েন্ট বা ১.৮৭ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ৯.৪০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৫৮ পয়েন্ট।
খাতভিত্তিক হিসাবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায় বিদায়ী সপ্তাহে- ব্যাংক খাতে ৬.২ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৩.৮ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩৭৯.৩ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৭.৩ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২১.৯ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৩.০ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৬.১ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১১.৫ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৬.১ পয়েন্ট, পাট খাতে ৩১.৮ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩৪.৬ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ২৪.২ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৩৪.৫ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.০ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ৯.৪ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৪৪.৫ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৩.১ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতে ১১.৮ পয়েন্ট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাত ৩০.৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আগের সপ্তাহে (১৩ -১৭ এপ্রিল’২৫) খাত ভিত্তিক পিই রেশিও ছিল- ব্যাংক খাতে ৬.৩ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৪.৭ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৪০.৭ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.১ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২৬.০ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৩.২ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৬.১ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৩ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৭.৮ পয়েন্ট, পাট খাতে ৩৫.৩ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩৫.০ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ২৪.৯ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৩৮.০ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.২ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ৯.৮ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৪১.৫ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১১.১ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতে ১২.৩ পয়েন্ট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাত ৩২.১পয়েন্ট।
ব্লক মার্কেটে ১০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন
বিদায়ী সপ্তাহে (২০-২৪ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১৪০ কোম্পানির ১০০ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১০ কোম্পানির।
কোম্পানিগুলো হলো- এসিআই, ফাইন ফুডস, এসইএমএল লেকচার ফান্ড, মিডল্যান্ড ব্যাংক, লাভেলো আইস্ক্রিম, বিচ হ্যাচারি, ব্র্যাক ব্যাংক, রেনেটা, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ এবং প্রিমিয়ার সিমেন্ট।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ব্লক মার্কেটে এই ১০ কোম্পানির মোট ৭৮ কোটি ৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এসিআই লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির ২৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১৮২ টাকা ৪০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এসইএমএল লেকচার ফান্ডের ৭ কোটি ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১০ টাকায়।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ফাইন ফুডসের ৬ কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ২০৩ টাকায়।
সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া অন্য ৭টি কোম্পানির মধ্যে- মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৬ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা, লাভেলো আইস্ক্রিমের ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা, বিচ হ্যাচারির ৫ কোটি ৬৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের ৫ কোটি ২৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা, রেনেটার ৫ কোটি ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের ৩ কোটি ৫৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং প্রিমিয়ার সিমেন্টের ৩ কোটি ২৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষে বিচ হ্যাচারি
বিদায়ী সপ্তাহে (২০-২৪ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনে শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছে বিচ হ্যাচারি।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৯২ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৫.৩৭ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৫৮ টাকা ৩০ পয়সায়।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫১ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৯৮ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১৭ টাকা ৭০ পয়সায়।
সাপ্তাহিক লেনদেন তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৪৮ কোটি ৫২ লাখ ার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৮২ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৭০ লাখ ৪০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৯২ টাকা ৪০ পয়সায়।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- শাহজীবাজার পাওয়ারের ৪৪ কোটি ৭৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শাইনপুকুর সিরামিকসের ৪৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ফাইন ফুডসের ৪৩ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা, এসিআই লিমিটেডের ৩৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা, বেক্সিমকো ফার্মার ৩০ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের ২৮ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং লাভেলো আইস্ক্রিমের ২৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
দর পতনের শীর্ষেও বিচ হ্যাচারি
বিদায়ী সপ্তাহে (২০-২৪ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে বিচ হ্যাচারির। সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ৩৯.৭১ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৯৬ টাকা ৭০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৮ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৩৮ টাকা ৪০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দরপতন বা লুজার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিডি ফাইন্যান্সের শেয়ার দর কমেছে ২৪.০০ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১০ টাকা।
গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ২ টাকা ৪০ পয়সা।
২৩.১৪ শতাংশ দর কমে সাপ্তাহিক লুজার তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে খুলনা প্রিন্টিং।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ২৪ টাকা ২০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৫ টাকা ৬০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- উত্তরা ব্যাংকের ২১.০৩ শতাংশ, ইস্টার্ন ব্যাংকের ২১.০৩ শতাংশ, এডিএন টেলিকমের ১৯.০৯ শতাংশ, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১৮.৯৯ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ১৮.৪২ শতাংশ, আমরা নেটওয়ার্কসের ১৭.১৩ শতাংশ এবং খান ব্রাদার্সের ১৬.৮৫ শতাংশ দর কমেছে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে শাহজীবাজার পাওয়ার
বিদায়ী সপ্তাহে (২০-২৪ এপ্রিল’২৫) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে শাহজীবাজার পাওয়ার কোম্পানির। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১৫.৯৩ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৩৮ টাকা ৩০ পয়সা।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৬ টাকা ১০ পয়সা।
ডিএসইর গেইনার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার দর বেড়েছে ১৩.৭১ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৯ টাকা ৭০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২ টাকা ৭০ পয়সা।
১৩.৬৪ শতাংশ দর বেড়ে সাপ্তাহিক গেইনার তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে এসইএমএল লেকচার ফান্ডের।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ৮ টাকা ৮০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১ টাকা ২০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- সেনা ইন্স্যুরেন্সের ১৩.১৮ শতাংশ, ডরিন পাওয়ারের ১১.২৬ শতাংশ, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ৮.০৪ শতাংশ, এসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ৬.৮২ শতাংশ, ফাইন ফুডসের ৬.৭৯ শতাংশ, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের ৬.৪৭ শতাংশ এবং গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৬.১৪ শতাংশ দর বেড়েছে।