facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার, ২০২৪

Walton

অটিজম শনাক্তে যে লক্ষণগুলো খেয়াল করবেন


১৬ জুন ২০২৩ শুক্রবার, ১১:২৬  এএম

স্বাস্থ্য ডেস্ক

শেয়ার বিজনেস24.কম


অটিজম শনাক্তে যে লক্ষণগুলো খেয়াল করবেন

অটিজমে আক্রান্ত শিশু মানসিক বিকাশে পিছিয়ে থাকে এবং তার আচার-আচরণে থাকে নানা অসংগতি। তিন বছর বয়সের আগে এ রোগের উৎপত্তি ঘটে। শিশুর মধ্যে কোন কোন লক্ষণ দেখলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল

বিশ্বব্যাপী হুহু করে বেড়ে চলেছে অটিজম অসুখে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা, প্রতিবছর ১৫ শতাংশ বাড়তি হারে। প্রতি ১১০ জন শিশুর একজন এতে ভুগছে। ছেলেশিশুদের মধ্যে অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার হার চার গুণ বেশি। অটিজম আক্রান্ত শিশু সবার সঙ্গে মেলামেশার ভাষা খুঁজে পায় না, সামাজিক আচরণগুলো রপ্ত করতে পারে না, তার আবার ব্যবহারের ধরন নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে থেকে যায়—একই আচরণ বারবার করতে থাকে।

কারণ
এই রোগের সুনির্দিষ্ট কারণ নেই। জেনেটিক ও পরিপার্শ্বগত প্রভাব যৌথভাবে দায়ী বলে মনে করা হয়।

লক্ষণ
১২ মাস বয়স—আঙুল দিয়ে কোনো কিছু দেখিয়ে দেয় না, হাত নেড়ে বাই বাই দেয় না

১৬ মাস বয়স—মা-বাবা এ রকম একটা শব্দও বলে না

২৪ মাস বয়স—দুই শব্দের কোনো বাক্য যেমন ‘আমি খাব’, বলতে পারে না

এ ছাড়া অটিজমে আক্রান্ত শিশুরা চোখের কোনা দিয়ে দেখে। পরিপূর্ণভাবে কারো সঙ্গে চোখ চোখ রেখে তারা দেখা বা কথা বলে না।

কথা বলে না তবে শব্দ আওড়ায়, তোতা পাখির বুলির মতো, নিছক নিজের খুশিমতো নিজের যেখানে আগ্রহ তা নিয়ে। কেউ একটু ঘরে সাজিয়ে রাখা ফার্নিচার অদল-বদল করে দিলে খেপাটে পাগল হয়ে ওঠে। ঘ্রাণ, স্বাদ, শব্দ, দৃশ্য ও স্পর্শ তার প্রতিটি ইন্দ্রিয় অত্যন্ত স্পর্শকাতর থাকে, খানিক শব্দেই দুই হাত দিয়ে কান ঢেকে রাখে।
চিকিৎসা

এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত শিশু বিকাশ কেন্দ্রে বা শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে পরামর্শ নিতে হবে।

কেননা এগুলোই হতে পারে অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারস-এএসডি-এর প্রথম রোগ লক্ষণনামা। অটিজম শিশুদের প্রায় ১০ শতাংশে অন্যান্য অসুখও জড়িয়ে থাকে যেমন : অতি দুরন্তপনা (এডিএইচডি), মৃগী রোগ, চোখে দেখা, কানে শোনার সমস্যা প্রভৃতি। দ্রুত রোগ নির্ণয় করে ‘বিহেভিওরাল থেরাপি’ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক চিকিৎসায় অনেকের তাড়াতাড়ি উন্নতি দেখা যায়।

পাঁচ বছর বয়সের আগে যদি একনাগাড়ে দুই বছর এই প্রগ্রাম চালানো যায় তবে সুফল মেলে। তবে যেসব অটিজম আক্রান্ত শিশুর ছয় বছর বয়সেও মুখে বোল ফোটেনি তাদের উন্নতি কম হয়।

এ অসুখের নিরাময়ে সহজ কোনো বিধান নেই, তাই ধৈর্য ধরে অটিজম চিকিৎসা করাতে হবে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: