facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি শনিবার, ২০২৫

Walton

অবৈধ পথে আসছে ৪৩% গরম মসলা: বাণিজ্য ঘাটতির বাস্তব চিত্র


১৮ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার, ০৯:৪৪  এএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


অবৈধ পথে আসছে ৪৩% গরম মসলা: বাণিজ্য ঘাটতির বাস্তব চিত্র

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে জিরা, এলাচ, দারুচিনি ও লবঙ্গের মতো গরম মসলার বার্ষিক চাহিদার ৪৩% অবৈধপথে আমদানি হয়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে জিরার চাহিদা ছিল ৬০ হাজার টন, কিন্তু বৈধপথে আমদানি হয়েছে মাত্র ৩৪ হাজার টন। দেশে জিরা উৎপাদিত না হওয়ায় অবশিষ্ট ২৬ হাজার টন জিরা অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে।

বৈধপথে আমদানি কম, তবুও বাজারে ঘাটতি নেই কেন?

জিরার মতোই, অন্যান্য গরম মসলা যেমন এলাচ, দারুচিনি ও লবঙ্গের আমদানিতেও ঘাটতি রয়েছে। বিটিটিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, চাহিদা পূরণে প্রয়োজনীয় পরিমাণ বৈধ আমদানি না হওয়ার পরেও বাজারে ঘাটতি দেখা যায়নি, যা স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে, অবৈধ চোরাচালান বা মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে এই মসলাগুলো দেশে প্রবেশ করছে।

শুকনো ফলের অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য

শুধু মসলাই নয়, কিশমিশ, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম এবং আলুবোখারা নামক শুকনো ফলগুলোর ক্ষেত্রেও অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্যের প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিটিটিসি জানায়, এসব শুকনো ফলের চাহিদা বছরে ১ লাখ ২৪ হাজার টন, কিন্তু আমদানি হয়েছে মাত্র ৬৮ হাজার টন। অবশিষ্ট ৫৬ হাজার টন পণ্য অবৈধ পথে বাজারে প্রবেশ করেছে।

চোরাচালানের প্রভাব

বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) গত বছর চোরাই পথে আনা ৬৫ হাজার ২৯৮ কেজি জিরা জব্দ করেছে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এটি কেবলমাত্র সামান্য অংশ, কারণ অধিকাংশ চোরাচালান ধরা পড়ে না।

উচ্চ শুল্কহার এবং চোরাচালানের সংযোগ

বাংলাদেশ গরমমসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এনায়েত উল্লাহ উল্লেখ করেন, মসলার উচ্চ শুল্কহারই চোরাচালানের অন্যতম প্রধান কারণ। বৈধ ব্যবসায়ীরা এই বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

শুল্কহার যৌক্তিক করার প্রস্তাব

বিটিটিসির প্রস্তাব অনুযায়ী, মসলা ও শুকনো ফলের ওপর শুল্কহার যৌক্তিক করা হলে চোরাচালান কমবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান বলেন, শুল্কহার যৌক্তিক হলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যগুলো মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

উপসংহার

বিটিটিসির প্রতিবেদনটি স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে, উচ্চ শুল্কহার এবং অবৈধ চোরাচালান একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। শুল্কহার কমানোর মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব, যা সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এবং বাজারে মসলার দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখবে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: