১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার, ১০:৩৯ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
আইসিবির ব্যাংক হিসাবে জমা হলো ঋণের অর্থ
শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে রাষ্ট্রায়াত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) সরকারের গ্যারান্টিতে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ১২ ডিসেম্বর মঞ্জুরীকৃত ঋণের অর্থ আইসিবির ব্যাংক হিসাবে জমা হয়েছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) আইসিবির পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে গত ১৩ নভেম্বরে রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি প্রাপ্তির প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে বিনিয়োগ ও উচ্চ সুদ হারে গৃহীত আমানত ও ঋণ পরিশোধের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে নিজস্ব বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৩০০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়।
তাতে আরও বলা হয়েছে, গত ৩ ডিসেম্বর ঋণের সুদ হার পরিবর্তনপূর্বক ব্যাংক রেট নির্ধারণ করা হয় এবং ১২ ডিসেম্বর আইসিবি’র ব্যাংক হিসাবে মঞ্জুরীকৃত ঋণের অর্থ জমা হয়েছে।
এর আগে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ও ঋণশোধের জন্য সাভরেন গ্যারান্টির বিপরীতে আইসিবিকে স্বল্প সুদ হারে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ ছাড় করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক ৪টি ব্যাংকের মাধ্যমে এই টাকা দিবে আইসিবিকে। এর মধ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৭০০ কোটি টাকা, প্রাইম ব্যাংকের মাধ্যমে ১ হাজার কোটি টাকা, ঢাকা ব্যাংকের মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকা, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাধ্যমে ৮০০ কোটি টাকা।
জানা গেছে, ৪ শতাংশ সুদে নেওয়া ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি এই অর্থ দিয়ে পুঁজিবাজারে ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করা হবে। সুদ-আসলে ঋণ পরিশোধের জন্য দেড় বছর বা ১৮ মাস সময় পাবে আইসিবি। এই ঋণের গ্যারান্টি দিয়েছে সরকার।
ব্লুমবার্গ টেকসই উন্নয়ন তালিকায় পুঁজিবাজারের ১০ প্রতিষ্ঠান
ব্লুমবার্গের এনভায়রনমেন্ট, সোশ্যাল অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (ইএসজি) তালিকায় নতুন করে জায়গা করে নিয়েছে তিনটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান। ফলে এই তালিকায় থাকা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০-এ। তালিকায় থাকা ১০ টি কোম্পানিই বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত। বাংলাদেশের কর্পোরেট জগতে টেকসই উন্নয়নের বিষয়টি সম্প্রতি প্রকাশিত ব্লুমবার্গের হালনাগাদ তথ্যে উঠে আসে।
মর্যাদাপূর্ণ এই তালিকায় স্থান পাওয়া ১০টি স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের ছয়টিই দেশীয়ভাবে বিকশিত প্রতিষ্ঠান।
তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নতুন তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো- বিএসআরএম লিমিটেড, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ ও এমজেএল বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের টেকসই উন্নয়ন প্রকাশ অনুযায়ী এই তালিকার মনোনীত বাকি সাতটি প্রতিষ্ঠান হলো- বিএটি বাংলাদেশ (বিএটিবি), গ্রামীণফোন, ম্যারিকো বাংলাদেশ, ব্র্যাক ব্যাংক, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ। এই অর্জন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনও তুলে ধরে। যেমন—বিএসআরএম পানি পুনর্ব্যবহার ও বায়ুদূষণ রোধে উদ্ভাবনী পদ্ধতি গ্রহণ করেছে।
আবার লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ তাদের চারটি টেকসই উন্নয়ন স্তম্ভ জলবায়ু, পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা, প্রকৃতি ও মানুষের মাধ্যমে নেট-জিরো কার্বন নিঃসরণ অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে। বিএটি বাংলাদেশ দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যারা তাদের সব উৎপাদন এলাকায় পানির টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য অ্যালায়েন্স ফর ওয়াটার স্টুয়ার্ডশিপের মূল সনদ অর্জন করেছে।
এবিষয়ে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের সিইও এম জামাল উদ্দিন বলেন, একটি উদ্দেশ্য সামনে রেখে নেতৃত্ব দেওয়ায় আমাদের ইএসজি স্কোর বেড়েছে। আমাদের কার্বন নিঃসরণের হার স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করে, শূন্য কার্বন নিঃসরণের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে এবং সবুজ (গ্রিন) ও টেকসই অর্থায়নে বিনিয়োগের মাধ্যমে ইচ্ছাকে বাস্তবে রূপদান করছি আমরা।
ব্লুমবার্গ এই তালিকার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর টেকসই উদ্যোগসংক্রান্ত প্রকাশনাগুলো থেকে স্বেচ্ছায় তথ্য সংগ্রহ করে। এই মূল্যায়নে গুণগত তথ্যের তুলনায় পরিমাণগত তথ্যের প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ সাফল্য থেকে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে অগ্রগতি এবং ইএসজির প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জনের বিষয়টি উঠে আসে। গত বছর এই তালিকায় স্থান করে নেওয়া বিএটি বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে সরাসরি কার্যক্রমে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি ইএসজি প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে পথিকৃৎ হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিএটি বাংলাদেশের হেড অব করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাবাব আহমেদ চৌধুরী বলেন, সাসটেইনিবিলিটি নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে দেশের সেরা ১০ প্রতিষ্ঠানের একটি হিসেবে ব্লুমবার্গের স্বীকৃতি পেয়ে আমরা আনন্দিত। এ স্বীকৃতি টেকসই উন্নয়ন নিয়ে আমাদের অঙ্গীকার এবং দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার প্রচেষ্টা তুলে ধরে।
তিনি বলেন, আমাদের সব কারখানায় পানির টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য আমরা দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে এডব্লিউএস কোর সনদ পেয়েছি, যা সম্পদের দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপনায় উদাহরণ তৈরি করেছে। এ ছাড়া আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের কার্যক্রমে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। এই স্বীকৃতি টেকসই উন্নয়ন কার্যক্রমে আমাদের আরো উৎসাহিত করবে এবং আমাদের সব অংশীজন ও কমিউনিটির জন্য উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে।
লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশের সিইও মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী জানান, তাঁদের মূল প্রতিষ্ঠান উদ্ভাবনী ও টেকসই বিল্ডিং সমাধানের ক্ষেত্রে বৈশ্বিক নেতৃত্বে রয়েছে। তাঁদের প্রতিষ্ঠান শূন্য কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছে।
বুধবার স্পট মার্কেটে যাচ্ছে তিন প্রতিষ্ঠান
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন প্রতিষ্ঠান রেকর্ড ডেটের আগে আগামী বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) স্পট মার্কেটে যাচ্ছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- কোম্পানিগুলো হলো : বেক্সিমকো গ্রিণ সুকুক বন্ড, ইফাদ অটোস এবং মুন্নু এগ্রো।
প্রতিষ্ঠান ৩টির শেয়ার স্পট মার্কেট লেনদেন শেষ হবে আগামী ১৯ ডিসেম্বর। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২২ ডিসেম্বর। এদিন প্রতিষ্ঠানগুলোর লেনদেন স্থগিত থাকবে।
উৎপাদনে ফিরেছে ন্যাশনাল টি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ন্যাশনাল টি কোম্পানি লিমিটেড উৎপাদনে ফিরেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানির সমস্ত বাগানের শ্রমিকরা গত ১০ ডিসেম্বর তাদের কাজ শুরু করেছে। ফলে উৎপাদন চালু রয়েছে।
এর আগে ডিএসইর প্রশ্নের জবাবে গত ১০ ডিসম্বের কোম্পানির শ্রমিকরা কাজে যোগদান করতে অস্বীকার করার কারণে উৎপাদন স্থগিত করার বিষয়ে জানিয়েছিলো কোম্পানিটি।
ইন্দো-বাংলা ফার্মার পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
পুঁজিবাজারের ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ইন্দো বাংলা ফার্মাসিটিউক্যালস লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২২ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে কোম্পানিটি তা প্রকাশ করবে।
তিন প্রান্তিক প্রকাশ করবে পিপলস লিজিং
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটির পর্ষদ সভা আগামী ২২ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সভায় ৩১ মার্চ,২০২৪ পর্যন্ত কোম্পানির প্রথম প্রান্তিক, ৩০ জুন,২০২৪ পর্যন্ত কোম্পানির দ্বিতীয় প্রান্তিক এবং ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ পর্যন্ত কোম্পানির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে কোম্পানিটি তা প্রকাশ করবে।
সাত কোটি টাকার শেয়ার বিক্রয় করবে আইসিবির কর্পোরেট উদ্যোক্তা পরিচালক
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) এক কর্পোরেট উদ্যোক্তা পরিচালক শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। বিক্রয়ের ঘোষণাকৃত শেয়ারের বর্তমান বাজারদর সাত কোটি টাকা।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানির কর্পোরেট উদ্যোক্তা পরিচালক বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের কাছে ২১ কোটি ৯৪ লাখ ৮৮ হাজার ৭৮৮টি শেয়ার রয়েছে। এখান থেকে এই কর্পোরেট উদ্যোক্তা পরিচালক ১০ লাখ শেয়ার বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে।
মঙ্গলবার শেয়ারটির দর সর্বশেষ ৭০ পয়সায় বিক্রয় হয়। ফলে বর্তমান বাজার দরে ঘোষণাকৃত শেয়ারের মূল্য ৭ কোটি টাকা।
আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে ঘোষণাকৃত শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করবে এই কর্পোরেট উদ্যোক্তা পরিচালক।
ওয়াইজ স্টারের নিকট রিং শাইনের শেয়ার বিক্রির চুক্তি বাতিল
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রিং শাইন টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড সম্প্রতি ওয়াইজ স্টার টেক্সটাইল মিলের সঙ্গে শেয়ার বিক্রির চুক্তি বাতিল করেছে। গত রবিবার কোম্পানির ১০৫তম পর্ষদ সভায় শেয়ার বিক্রির চুক্তি বাতিল করা হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষার জন্য চুক্তির অবসান প্রয়োজন ছিল। চুক্তি বাতিলের প্রাথমিক কারণ হিসেবে কোম্পানিটি আলোচ্য চুক্তিকে ঘিরে বিতর্কিত কার্যক্রম উল্লেখ করেছে।
এর আগে, ২০২৩ সালের আগস্টে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদনসাপেক্ষে ওয়াইজ স্টার টেক্সটাইল মিলস এবং পাঁচটি সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক কোম্পানিকে রিং শাইনের ৩৮ শতাংশ শেয়ার কেনার অনুমতি দেয়। যে শেয়ারগুলো স্পনসর-পরিচালকদের কাছে ছিল।
পরে সেই বছরের সেপ্টেম্বরে রিং শাইন এর পরিচালনা পর্ষদ ওয়াইজ স্টার এবং এর সহযোগীদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
বোনাস বিওতে পাঠিয়েছে এপেক্স ফুটওয়্যার
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেড ঘোষিত লভ্যাংশের বোনাস শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে পাঠিয়েছে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিটি ৩০ জুন ,২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরের বোনাস শেয়ার সিডিবিএলের মাধ্যমে বিও হিসাবে পাঠিয়েছে।
আলোচ্য বছরে এপেক্স ফুটওয়্যার ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ১০ শতাংশ বোনাস।
লোকসান কাটাতে পারেনি ফু-ওয়াং ফুডস
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুডস লিমিটেড গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ০৫ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ার ৩১ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিলো মাইনাস ০১ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ০৯ পয়সা ছিল।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১ টাকা ৯৮ পয়সা।
পুঁজিবাজারে স্থানীয় বিনিয়োগকারী বাড়লেও বিদেশি কমেছে
দেশের পুঁজিবাজারে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়লেও ধারাবাহিকভাবে কমছে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা। গত কয়েক মাস ধরে বিদেশিদের পুঁজিবাজার ছাড়ার যে ধারা চলছে তা এখনো থামেনি। হাসিনা সরকার পতনের পর দেশ চালানোর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে চার মাসে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব কমেছে ৩৩৭টি। বিদেশি ও প্রবাসীদের শেয়ারবাজার ছাড়ার এই মিছিল চলছে গত বছরের নভেম্বর থেকে।
দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা কমলেও হাসিনা সরকার পতনের পর স্থানীয় তথা দেশি বিনিয়োগকারীদের সংখ্যাও বাড়তে দেখা যাচ্ছে। গত চার মাসে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে বেড়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার। অবশ্য চলতি বছরের শুরুর তুলনায় বর্তমানে শেয়াবাজারে প্রায় ১ লাখ বিও হিসাব কম রয়েছে।
বিও হলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্রোকারেজ হাউস অথবা মার্চেন্ট ব্যাংকে একজন বিনিয়োগকারীর খোলা হিসাব। এই বিও হিসাবের মাধ্যমেই বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে লেনদেন করেন। বিও হিসাব ছাড়া শেয়ারবাজারে লেনদেন করা সম্ভব না। বিও হিসাবের তথ্য রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)।
এই সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, ১৫ ডিসেম্বর শেষে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৪৬টি। যা হাসিনা সরকার পতনের সময় ছিল ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৫৮টি। এ হিসাবে হাসিনা সরকার পতনের পর শেয়ারবাজারে বিও হিসাব বেড়েছে ১৩ হাজার ২৮৮টি। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিও হিসাবে বেড়েছে ১২ হাজার ৪৫১টি। অন্তর্বর্তী সরকার যেদিন দেশ চালানোর দায়িত্ব নেয়, সেদিন বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮৯৫টি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পড়ে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। পদত্যাগ করে তিনি দেশে ছেড়ে পালিয়ে যান। সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট দেশ চালানোর দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে এই সরকারের চার মাস পার হয়েছে। হাসিনার সরকার পতনের পর প্রথম চার কার্যদিবস শেয়ারবাজারে বড় উত্থান হলেও, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেয়ারবাজারে পতনের পাল্লা ভারী হয়েছে। শেয়ারবাজারে মন্দা দেখা দিলেও বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে।
অবশ্য সার্বিকভাবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়লেও বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমছে। সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব আছে ৪৬ হাজার ৭৪৪টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার ৮৪টি। আর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দিন ছিল ৪৭ হাজার ৮১টি। অর্থাৎ বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ধারাবাহিকভাবে কমেছে। এর মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে কমেছে ৩৩৭টি।
বিদেশিদের বাংলাদেশের শেয়ারবাজার ছাড়ার এই প্রবণতা চলছে আরও আগে থেকেই। গত বছরের নভেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে বিদেশি ও প্রবাসীদের বিও হিসাব কমছে। গত বছরের ২৯ অক্টোবর বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব ছিল ৫৫ হাজার ৫১২টি। এরপর ওই বছরের শেষদিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর এই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৫৫ হাজার ৩৪৮টিতে।
এ হিসাবে চলতি বছরে দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব কমেছে ৮ হাজার ৬০৪টি। আর গত বছরের ২৯ অক্টোবরের তুলনায় বর্তমানে বিদেশি ও প্রবাসীদের নামে বিও হিসাব কম আছে ৮ হাজার ৭৬৮টি।
বিদেশিদের শেয়ারবাজার ছাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকলেও সরকার পতনের পর স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশি বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ১৬ লাখ ১৭ হাজার ১৩৬টি। যা হাসিনা সরকার পতনের সময় ছিল ১৬ লাখ ৩ হাজার ৮২২টি। আর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দিন ছিল ১৬ লাখ ৪ হাজার ৬৫৮টি। অর্থাৎ অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদে দেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ১২ হাজার ৪৭৮টি।
হাসিনা সরকারের পতনের পর শেয়ারবাজারে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বাড়তে দেখা গেলেও তার আগে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজার ছেড়েছেন। চলতি বছরের শুরুতে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৫৫১টি। আর বর্তমানে বিও হিসাব আছে ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৩৪৬টি। অর্থাৎ চলতি বছরে বিও হিসাব কমেছে ৯২ হাজার ১০৫টি।
এদিকে বর্তমানে শেয়ারবাজারে যে বিনিয়োগকারীরা আছেন, তার মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের নামে বিও হিসাব আছে ১২ লাখ ৬০ হাজার ২৮৮টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩৪টি। অর্থাৎ হাসিনা সরকার পতনের পর পুরুষ বিনিয়োগকারীদের হিসাব বেড়েছে ১১ হাজার ৮৫৪টি।
অপরদিকে বর্তমানে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩ হাজার ৫৯২টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ২ হাজার ৪৭২টি। এ হিসাবে হাসিনা সরকার পতনের পর নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ১ হাজার ১২০টি।
হাসিনা সরকার পতনের পর নারী ও পুরুষ বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি কোম্পানির বিও হিসাবও বেড়েছে। বর্তমানে কোম্পানি বিও হিসাব রয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৬টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় এই সংখ্যা ছিল ১৭ হাজার ১৫২টি। সে হিসাবে গত চার মাসে কোম্পানি বিও হিসাব বেড়েছে ৪১৪টি।
বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের যে বিও হিসাব আছে তার মধ্যে একক নামে আছে ১১ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬৬টি, যা হাসিনা সরকার পতনের সময় ছিল ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৭টি। অর্থাৎ গত চার মাসে একক নামে বিও হিসাবে বেড়েছে ১৪ হাজার ৬৮৯টি।
অপরদিকে বিনিয়োগকারীদের যৌথ নামে বিও হিসাব আছে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৫১৪টি। হাসিনা সরকার পতনের সময় যৌথ বিও হিসাব ছিল ৪ লাখ ৬৭ হাজার ২২৯টি। অর্থাৎ গত চার মাসে যৌথ বিও হিসাব কমেছে ১ হাজার ৭১৫টি।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।