২৩ জুন ২০২৪ রবিবার, ০৬:২১ পিএম
স্টাফ রিপোর্টার
শেয়ার বিজনেস24.কম
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। যা আমরা প্রমাণ করেছি। অন্য দলগুলো জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করেনি। তারা নিজেদের অর্থ সম্পদ বানানো, দুর্নীতি, সন্ত্রাস এগুলোই ছিল তাদের কাজ।
রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন তিনি। তিনি বলেন, আজকে ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে বলতে পারি ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ পেয়েছে।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে কিন্তু তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। আমি কাছে থেকে দেখেছি তিনি কিভাবে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০২৬ সাল থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে। আমরা তার প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছি- দিন বদলের সনদ।
বাঙালির প্রতিটি অর্জনে আওয়ামী লীগ ওৎপ্রোতভাবে জড়িত জানিয়ে দলটির সভাপতি বলেন, ‘বারবার এই দলের প্রতি আঘাত এসেছে, বারবার এই দলকে খণ্ড-বিখণ্ড করার চেষ্টা হয়েছে; বারবার দলকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। আইয়ুব খান থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে, বারবার এইভাবে আঘাত এসেছে। আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন। তাই বারবার আঘাত এসেও আওয়ামী লীগের ক্ষতি করতে পারেনি। ফিনিক্স পাখির মতো আওয়ামী লীগ জেগে উঠেছে।’
আওয়ামী লীগ থেকে যেসব নেতা বিভিন্ন সময় দল ছেড়ে গেছেন, তারা হারিয়ে গেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকে দলের থেকে নিজেকে বড় মনে করে দল ছেড়ে গিয়েছেন। তারা ভুল করেছেন। যেসব নেতারা ভুল করেছিলেন তারা ভুলে গিয়েছিলেন যে, তারা আলোকিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থেকেছিলেন বলেই। এখান থেকে চলে যাওয়ার পর তারা আর জ্বলেননি। নিভে গেছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুজিব আদর্শের সৈনিকরা কখনো পরাভব মানে না।’ এ সময় তিনি সংগঠন মজবুত করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি তাগিদ দেন। সংগঠন মজবুত থাকলে কেউ আওয়ামী লীগকে দমাতে পারবে না বলে মনে করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের প্রতিটি পদক্ষেপের ফলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানান সরকারপ্রধান। এ সময় তিনি তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিবরণ তুলে ধরেন। এর আগে বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ মঞ্চে উপস্থিত হন শেখ হাসিনা। পরে দলীয় সভাপতি জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়৷ জাতীয় সঙ্গীত শেষে আওয়ামী লীগ প্রধান বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এবং আসন গ্রহণ করেন।
এরপর আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে বক্তৃতা শুরু করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, আমন্ত্রিত অতিথিসহ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।