০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার, ১১:১৩ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সক্রিয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। দলটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরে পাওয়ার আশা করছে। পাশাপাশি সাংগঠনিক কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলায় সফর করছেন। ময়মনসিংহ, শরীয়তপুর, কিশোরগঞ্জসহ কয়েকটি জেলায় ইতোমধ্যে অর্ধশতাধিক আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এতে স্থানীয় পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে, অনুষ্ঠিত হচ্ছে সমাবেশ ও ওয়াজ মাহফিল।
জামায়াত নির্বাচনের জন্য দুই স্তরের কৌশল গ্রহণ করেছে। প্রথমত, নির্বাচন কমিশনের তপশিল ঘোষণার পর কেন্দ্রীয়ভাবে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। দ্বিতীয়ত, ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি থাকলেও অন্তত ১০০ আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি আসনকে ‘এ’ ক্যাটাগরি ও ৫০টি আসনকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ভাগ করে সাংগঠনিক কর্মসূচি চালানো হচ্ছে।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য হলে কৌশলগত সমন্বয় হতে পারে। তবে ‘এ’ ক্যাটাগরির আসনগুলোতে নিজেদের অবস্থান অটুট রাখবে দলটি। বিএনপির মতো জামায়াতও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল চায় এবং এ নিয়ে রাজনৈতিকভাবে সক্রিয় রয়েছে।
টাঙ্গাইল, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁওসহ কয়েকটি জেলায় ইতোমধ্যে জামায়াত প্রার্থী ঘোষণা করেছে। এসব জেলার সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা চলছে।
জামায়াতের নেতারা জানিয়েছেন, দলটির সাংগঠনিক কাঠামো আগের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে। ভার্চুয়াল প্রচারণার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের কর্মসূচিও চলছে। প্রতিটি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সমর্থন বাড়ানোর জন্য কর্মীদের সক্রিয়ভাবে মাঠে নামানো হয়েছে। দলীয় জরিপের ভিত্তিতে জনমানুষের কাছে জনপ্রিয় নেতাদেরই মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে।
জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয়। ১৯৮৬ সাল থেকে বিভিন্ন নির্বাচনে অংশ নিয়ে আসা দলটি বিভিন্ন সময়ে সংসদীয় আসনেও জয়লাভ করেছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করলেও এবার দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নেতারা মনে করছেন, জনগণের মাঝে জামায়াতের নেতৃত্বের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এবারের নির্বাচনে দলটি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে দৃশ্যমান অবস্থান তৈরি করতে পারবে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।