facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২২ নভেম্বর শুক্রবার, ২০২৪

Walton

আর্থিক প্রতিবেদনের যেসব বিষয় দেখে শেয়ার কিনলে ঠকবেন না


১৩ জানুয়ারি ২০১৮ শনিবার, ০২:৪৩  পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক


আর্থিক প্রতিবেদনের যেসব বিষয় দেখে শেয়ার কিনলে ঠকবেন না

 

শেয়ার ব্যবসায় জড়িত হলে বিনিয়োগের আগে কোম্পানি আর্থিক প্রতিবেদনের বেশকিছু বিষয় বিবেচনা করতে হয়।

এসব বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে একজন বিনিয়োগকারী সহজেই কোম্পানির আর্থিক ভীত কতটুকু শক্তিশালী বা দুর্বল তা বের করতে পারেন। নিম্নে এসব বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো:

শেয়ার প্রতি আয় (Earning per share or EPS): এটি শেয়ার প্রতি নীট মুনাফার পরিমান নির্দেশ করে। কোম্পানির কর পরিশোধের পর যে পরিমাণ মুনাফা হয় তার থেকে মোট শেয়ারকে ভাগ করলে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) পাওয়া যায়। net profit after tax/ total number of share= Earning per share (EPS)।

মূল্য আয় অনুপাত (Price earning ration or P/E Ratio): আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থ কত সময়ে ফেরত পাওয়া যাবে পি/ই রেশিও তাই নির্দেশ করে। প্রতি শেয়ারের বর্তমান বাজার মূল্যকে ইপিএস দিয়ে ভাগ করলে পি/ই রেশিও পাওয়া যায়। আমাদের পুঁজিবাজারে দুটি পি/ই রেশিও বের করা হয়। একটি বার্ষিক ইপিএসের ওপর ভিত্তি করে অন্যদিকে প্রান্তিক বা কারেন্ট ইপিএসের ওপর ভিত্তি করে। যদি প্রান্তিক বা Current ইপিএসের ওপর ভিত্তি করে পি/ই রেশিও বের করতে হয় সেক্ষেত্রে শেয়ারের বর্তমান মূল্যকে প্রান্তিক ইপিএস দিয়ে ভাগ করে তৃতীয় প্রান্তিক হলে ০.৭৫,অর্ধবার্ষিক হলে ০.৫০ এবং প্রথম প্রান্তিক হলে ০.২৫ দিয়ে গুন করতে হয়।

লভ্যাংশ আয় (Dividend Yield): শেয়ারের বাজার মূল্য কোন কোন ক্ষেত্রে ইস্যু মূল্যে চেয়ে কম বা বেশি হতে পারে বিধায় লভ্যাংশ হার (rate of dividend) সত্যিকার আয় (real return) নির্দেশ করে না। ডিভিডেন্ড ইয়ল্ড বা লভ্যাংশ আয় বিনিয়োগের সঠিক আয়ের হার নির্দেশ করে। এক্ষেত্রে শেয়ার প্রতি ডিভিডেন্ডকে শেয়ার প্রতি বাজার মূল্য দিয়ে ভাগ করলে ডিভিডেন্ড ইয়ল্ড পাওয়া যায়।

শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য (Net Asset Value or NAV per share): প্রতি শেয়ার প্রতি কোম্পানির নীট সম্পদের মূল্য প্রদর্শন করে যা কোম্পানির শেয়ারের প্রকৃত মূল্যের (intrinsic value) পরিচায়ক। কোম্পানির মোট সম্পদ থেকে মোট দায় বিয়োগ করে মোট সাধারণ শেয়ারের পরিমাণ দিয়ে ভাগ করলে শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য পাওয়া যায়।

মূলধনের প্রাপ্তির হার (Return on Equity of RoE): এটি বিনিয়োগকৃত মূলধনের প্রাপ্তির হার নির্দেশ করে। কোম্পানির নীট মুনাফা থেকে মোট ইক্যুইটি ভাগ করলে মূলধনের প্রাপ্তির হার পাওয়া যায়।

ঋণ মূলধন অনুপাত (Debt Equity Ratio): এটি একটি কোম্পানির financial leverage অর্থাৎ ঋণ ও ইক্যুইটর অনুপাতের হার নির্দেশ করে। কোম্পানির মোট ঋণ থেকে মোট ইক্যুইটি দিয়ে ভাগ করলে ঋণ মূলধন অনুপাত পাওয়া যায়।

শেয়ার প্রতি নীট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (Net operating cash flow per share or NOCFPS): এটি নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে প্রতি শেয়ারের বিপরীতে নীট কত টাকা কোম্পানি অপারেটিং কার্যক্রম থেকে আন্ত:প্রবহ নিশ্চিত করতে পারছে তা নির্দেশ করে। কোম্পানির কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে এটি ধনাত্মক বা ঋণাত্মক হতে পারে। কোম্পানির নীট অপারেটিং ক্যাশফ্লো থেকে মোট সাধারণ শেয়ারের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে NOCFPS পাওয়া যায়।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন:

শেয়ার বিজনেস কী? -এর সর্বশেষ