facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল রবিবার, ২০২৫

Walton

আল্লাহ তাআলার নিদর্শন ‘সাফা ও মারওয়া’


২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার, ০৮:০১  পিএম

শেয়ার বিজনেস24.কম


আল্লাহ তাআলার নিদর্শন ‘সাফা ও মারওয়া’

সাফা ও মারওয়া দুটি পাহাড়ের নাম। আল্লাহ তাআলার ঘর কা’বা শরিফের সন্নিকটে এ সাফা এবং মারওয়া নামক পাহাড় দুটির অবস্থান। প্রাক ইসলামি যুগে পোত্তলিকরা এ পাহাড়দ্বয়ের ওপর দুটি মুর্তি স্থাপন করে তাদের পূজা করতো। ইসলামের আবির্ভাবের পর সাফা ও মরাওয়া তাওয়াফ (সাঈ) করার জন্য নির্দেশিত হলে মূর্তি পূজার কারণ তারা সাফা ও মারওয়ায় তাওয়াফ নিষিদ্ধ কাজ মনে করে। তখন আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন যে, সাফা ও মারওয়া আল্লাহ তাআলার নির্দশন। এর তাওয়াফে (সাঈ) কোনো দোষ নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন-

‘নিশ্চয় সাফা এবং মারওয়াহ আল্লাহ তাআলার নিদর্শন সমূহের অন্যতম। অতএব যে কা’বা শরিফে হজ অথবা ওমরা করে, তার জন্যে উভয় স্থানের ‘তাওয়াফ’ করায় কোনো দোষ নেই এবং যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় কোনো পূণ্য কাজ সুসম্পন্ন করেন, আল্লাহ তাআলা নিশ্চয় তার মর্যাদা দান করেন। তিনি সব কিছু সম্পর্কে পূর্ণ অবগত। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ১৫৮)

পূর্বর্তী আয়াতে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন তাঁদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে। এ আয়াতে যে বিষয়ের আলোকপাত করা হয়েছে, তা হলো – সাফা ও মারওয়া আল্লাহ তাআলার নিদর্শন। এর পেছনেও রয়েছে পরীক্ষা ও তার ফলাফল প্রদানের ঘটনা।

আল্লাহ তাআলার নির্দেশে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম তাঁর শিশু সন্তান হজরত ইসমাইল ও স্ত্রী বিবি হাজেরাকে জন-মানবহীন মরুপ্রান্তর মক্কায় রেখে আসেন। সেখানে বিবি হাজেরা কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হন। কোনো মানুষজন নেই, খাবার পাণীয়ের ব্যবস্থা নেই। সেখানে শিশুপুত্র ইসমাইল এবং তাদের পানির সংকট দেখা দেয়। তিনি পানির সন্ধানে সাফা ও মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মধ্যখানে দৌড়াদৌড়ি করেন। যা আল্লাহ তাআলার অনেক পছন্দ হয়েছিল।

সাফা ও মারওয়া পাহাড়েরর এ ঐতিহাসিক স্থানে বিবি হাজেরা ও তাঁর পুত্র যে পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন, এ কষ্টের সময় তারা যে সবর বা ধৈর্য অবলম্বন করেছিলেন। সে কারণেই আল্লাহ তাআলা তাদের স্মরণে সাফা ও মারাওয়া পাহাড়ের সাঈকে হজ ও ওমরা আবশ্যক করে দিয়েছেন।

এ কারণেই আল্লাহ তাআলা সাফা ও মারওয়া পাহাড়কে আল্লাহ তাআলা নিদর্শন ঘোষণা করেছেন। সেখানে যারা যে কাজই করুক না কেন, সেটা দেখার বিষয় নয় বরং তা ইসলামেরই নিদর্শন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের আয়াতের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন যে, সাফা ও মারওয়া তাঁর নির্দশন। সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত এ পাহাড়দ্বয়ে তাওয়াফ তথা সাঈ করে আল্লাহর বিধানের বাস্তবায়ন করা। আল্লাহ তাআলা সকল মুসলমানকে সাফা মারওয়ায় সাঈ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: