২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ রবিবার, ০১:০২ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
ব্যাংকিং খাতে নতুন আশার আলো! গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধারের ফলে ব্যাংকগুলোতে অতিরিক্ত তারল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১ হাজার ৬৯৬ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট অতিরিক্ত তরল সম্পদ বেড়ে ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।
অতিরিক্ত তারল্য বাড়লেও নগদ খরচ কমেছে। ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত নগদের খরচ ২ হাজার ২৯১ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে ১৭ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের আগস্টে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তরল সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৫ হাজার ৮৭১ কোটি টাকা; তবে পরবর্তী ছয় মাসে তা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্য হিসাব করা হয় প্রয়োজনীয় স্ট্যাট্রটরি লিকুইডিটি রেশিও (এসএলআর) ও ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (সিআরআর) বজায় রাখার পর।
বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত তারল্যের বৃদ্ধি বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ব্যাংকগুলো এখন সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগে বেশি আগ্রহী হওয়ায় বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি কমে ৭.২৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঋণের চাহিদা কমে যাওয়া ও নতুন বিনিয়োগের অভাবের ফলে বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধি ৭.২৮ শতাংশে নেমেছে।
একজন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উল্লেখ করেন, দেশে মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি কমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করছে। তবে ব্যাংকিং খাতে ডলারের প্রবাহ ভালো রয়েছে, আর ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল আমদানি মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই-ডিসেম্বর সময়কালে ঋণপত্র খোলার পরিমাণ বেড়ে ৩৪.৮৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৩.৪৯ বিলিয়ন ডলার। তবে একই সময়ে মূলধনি যন্ত্রপাতির আমদানি ২৭.৬৬ শতাংশ কমেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যাংকিং খাতে তারল্য বাড়লেও অর্থনীতির অন্যান্য খাতে এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে না, যা ভবিষ্যতে বিনিয়োগ প্রবাহ পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।