facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৮ অক্টোবর শুক্রবার, ২০২৪

Walton

ইউটিউবে দেখে আঙ্গুর চাষি লাভলী বেগম


০৯ জুলাই ২০২৩ রবিবার, ০৫:৫৪  পিএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


ইউটিউবে দেখে আঙ্গুর চাষি লাভলী বেগম

ইউটিউবে দেখে আঙ্গুর চাষে আগ্রহী হয়েছিলেন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের দোয়ারিকা গ্রামের গৃহবধূ লাভলী বেগম। এতে তিনি অনেকটা সফলও হয়েছেন। স্বপ্ন দেখছেন আঙ্গুর চাষ করে একজন সফল ব্যবসায়ী হওয়ার। তাই শখ থেকে বাণিজ্যিকভাবে আঙ্গুর চাষের পরিকল্পনা করছেন তিনি।

লাভলী বেগম ওই গ্রামের সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুস সালামের স্ত্রী। ইতোমধ্যে তার আঙ্গুর বাগান দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিনই ছুটে আসছেন মানুষ। ২০২২ সালের মার্চ মাসের দিকে শখের বশে বাড়ির সামনে পরিত্যক্ত জমিতে আঙ্গুরের চাষ শুরু করেন লাভলী বেগম। প্রথম আবাদেই সন্তোষজনক আঙ্গুরের ফলন হওয়ায় আগামী মৌসুমে পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন তিনি।

লাভলী বেগম বলেন, ঝিনাইদহের এক আঙ্গুর চাষির ইউটিউব দেখে তার ভালো লাগে। পরে ওই চাষির মোবাইল ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে ৪৬টি আঙ্গুর গাছের কলম সংগ্রহ করি। প্রতি পিস কলমের দাম পড়ে ৫০০ টাকা।

এতে ব্যয় হয় ২৩ হাজার টাকা। এ ছাড়া মাচা তৈরি করতে ৮০ হাজার ও মাটি প্রস্তুতির পেছনে ব্যয় প্রায় ৩০ হাজার টাকা। সব মিলে আঙ্গুর চাষের পেছনে খরচ হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা।

বাগানের আঙ্গুরগুলো কাশ্মিরের ছমছম প্রজাতির আঙ্গুর বলে জানান এই চাষি। প্রথমবার চাষে সন্তোষজনক ফলন আসায় আগামী মৌসুমে আরও ১২ শতাংশ জমিতে আঙ্গুর চাষের পরিকল্পনা করছেন তিনি। লাভলী বেগম বলেন, কলম লাগানোর ৭ মাস পরে প্রথমে কয়েক থোকা আঙ্গুর হয়। তখন ভয়ে ছিলাম টক নাকি মিষ্টি হয় সেজন্য। পরে সব গাছেই পর্যাপ্ত আঙ্গুর ধরেছে। আঙ্গুরগুলো মোটামুটি মিষ্টি। ২০০ টাকা কেজি দরে ১৪ কেজি আঙ্গুর বিক্রি করেন তিনি। গাছে আরও ৩০ কেজির মতো রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কাশ্মিরের মাটির সঙ্গে বরিশালের মাটির অনেক পার্থক্য। তবে আঙ্গুর চাষ করে আমার মনে হয়েছে, সব মাটিতেই সুস্বাদু এই ফল হয়। সৌখিন এই চাষি বলেন, আঙ্গুরের একটি গাছ ১২ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। এখন আঙ্গুরের পাশাপাশি ৩০০ টাকা করে এই গাছের কলমও বিক্রি করছেন তিনি। প্রতিদিনই অনেক লোক বাগান দেখতে আসেন। কেউ কেউ আঙ্গুর ও গাছের কলম কিনে নেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রহমান বলেন, ‘কৃষক লাভলী বেগম নিজ উদ্যোগে পরিত্যক্ত জমিতে আঙ্গুর চাষ করেছেন। তাকে বিভিন্ন সময়ে আমরা পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছি। তাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্যান্য কৃষক যারা আঙ্গুর চাষ করবেন তাদেরও আমরা একইভাবে সহায়তা করব। এভাবে ফল চাষ সম্প্রসারণ হবে। আমরা আশা করছি, এভাবে ফল চাষ বাড়াতে পারলে আঙ্গুরের আমদানি অনেকাংশে কমে যাবে।’

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: