১২ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার, ১১:৪২ এএম
স্টাফ রিপোর্টার
শেয়ার বিজনেস24.কম
ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বুধবার (১০ এপ্রিল) থেকে আগামী রোববার (১৪ এপ্রিল) পর্যন্ত সরকারি ছুটিতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণে বেড়েছে পাসপোর্টধারীদের চাপ। চিকিৎসা, ব্যবসা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে কেউ যাচ্ছেন ভারতে আবার অনেকে আসছেন বাংলাদেশে। তবে এই যাতায়াতের ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
জানা যায়, এবার ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানও সরকারি ছুটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বন্ধ রেখেছে। এতে লম্বা ছুটি পেয়ে চিকিৎসা, ব্যবসা, দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে অনেকে যাচ্ছেন ভারতে আবার অনেকে আসছেন বাংলাদেশে। এতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেড়েছে যাত্রীদের চাপ। যাত্রী নিরাপত্তায় বন্দরে কাজ করছে বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরের নিরাপত্তা কর্মীরা।
পাসপোর্টধারী ভারতগামী যাত্রীরা জানান, ভারত ভ্রমণে বাংলাদেশ সরকার নিচ্ছে ১ হাজার ৫৫ টাকা ভ্রমণ কর ও ভিসা ফি বাবদ ভারতীয় দূতাবাসগুলো নিচ্ছেন ৮৫০ টাকা। ভ্রমণের ক্ষেত্রে বছরে বছরে এ অর্থের পরিমাণ দুই দেশ বাড়ালেও সেবা বাড়ানোর দিকে তাদের নজর নেই। এতে নানান দুর্ভোগ সইতে হচ্ছে। সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়ছেন পাসপোর্টধারীরা। তবে বাংলাদেশ অংশের কার্যক্রম কোনো রকমে শেষ হলেও ভারত অংশে জনবল সংকটে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।
সামিনা খাতুন নামে এক নারী বলেন, লম্বা ছুটি পেয়ে ভারতে যাচ্ছি। তবে কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন এ অবস্থা বিরাজ করলেও সেবা বাড়ানোর উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের উপপরিদর্শক শঙ্কর কুমার বিশ্বাস বলেন, ঈদের ছুটিতে যাত্রী যাতায়াত বেড়েছে। তারা যেন হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, যাত্রীসেবা বাড়াতে সম্প্রতি কলকাতায় দুদেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। সেখানে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ পাসপোর্টধারী যাতায়াত করে থাকেন। ভ্রমণ কর বাবদ বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ১০০ কোটি টাকা ও ভিসা ফি বাবদ ভারত সরকারের ১৫০ কোটি টাকা আয় হয়। তবে কাঙ্ক্ষিত সেবা বাড়েনি।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।