২৯ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার, ১১:৩১ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
কেয়ার বাংলাদেশের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার শেরাটন হোটেলে ‘উইমেনস আইকন অ্যাওয়ার্ড’ দেয়া হয়েছে দেশের ৮ অগ্রগামী নারীকে। আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখা এ নারীদের সমাজের প্রচলিত ধারা ভেঙে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা দেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ‘সবুজ প্রবৃদ্ধি: জলবায়ু কার্যক্রমে যুবশক্তির ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকসুদ জাহেদী। তিনি তরুণদের শক্তিশালী ভূমিকা নিয়ে আশা প্রকাশ করে বলেন, তরুণরা দেশের অদম্য বীর। তারা নীতিমালায় পরিবর্তন আনবে।
কেয়ার বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর রাম দাশ তারুণ্যের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, তরুণরা শুধু ভবিষ্যতের জন্য নয়। আজকের জন্যেও অপরিহার্য।
আলোচনার পর ‘নাট্যপ্রহর’ নামে একটি নাটক প্রদর্শিত হয়, যেখানে বিজয়ী প্রকল্পের অংশগ্রহণকারীদের গল্প তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার তার বক্তব্যে বলেন, কেয়ার বাংলাদেশের এ সম্মাননা নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নে একটি দীর্ঘ ইতিহাসের প্রতিফলন। তরুণ ও নারীদের ক্ষমতায়ন বাংলাদেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।
নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আন্দ্রে কারস্টেনস বলেন, কিশোরী ও তরুণীদের ক্ষমতায়ন একটি ন্যায়সঙ্গত সমাজের ভিত্তি। কেয়ার বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশের অগ্রগামী নারী নেত্রীদের নিয়ে ‘পরিবর্তনের অগ্রদূত হিসেবে নারী’ শীর্ষক আরেকটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নেন দেশের প্রথম নারী আন্তর্জাতিক দাবা মাস্টার রানী হামিদ, প্রথম নারী এভারেস্টজয়ী নিশাত মজুমদার, প্রথম নারী ক্রিকেট অধিনায়ক সালমা খাতুন, প্রথম নারী রেল চালক সালমা খাতুন, প্রথম নারী গাড়ি টেকনিশিয়ান রাবেয়া সুলতানা রাব্বী এবং কেয়ার বাংলাদেশের প্রথম নারী গাড়ি চালক ফেরদৌসী আক্তার। আলোচনা শেষে কেয়ার বাংলাদেশ তাদেরকে ‘উইমেনস আইকন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে সম্মানিত করে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অর্থদাতা সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী, গণমাধ্যম ও সরকারি প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত কেয়ার বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শীর্ষস্থানীয় মানবিক সংস্থা। ২০২৩ অর্থবছরে কেয়ার বাংলাদেশ ৪৮টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৩ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছায়, যার ৬৪ শতাংশ নারী ছিল।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।