facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১০ জানুয়ারি শুক্রবার, ২০২৫

Walton

এইচটিটিপুল ছাড়াও সীমিত পরিসরে ফেসবুক বিজ্ঞাপন


৩০ এপ্রিল ২০২৩ রবিবার, ১০:১২  এএম

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

শেয়ার বিজনেস24.কম


এইচটিটিপুল ছাড়াও সীমিত পরিসরে ফেসবুক বিজ্ঞাপন

অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ফেসবুকের সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ রয়েছে। ফেসবুক তথা মেটার বাংলাদেশি সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ হলো এইচটিটিপুল। তাদের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রাহকরা ফেসবুকে যে কোনো বিজ্ঞাপনের বিল ডলারে না দিয়ে টাকায় দিতে পারেন। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশে বিজ্ঞাপন কার্যক্রম সীমিত করেছে ফেসবুকের অনুমোদিত সংস্থা এইচটিটিপুল।

এই সিদ্ধান্তের কারণে এইচটিটিপুলের মাধ্যমে আপাতত বাংলাদেশ থেকে ফেসবুকসহ মেটার বিভিন্ন প্ল্যাটফরমে বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইনের মূল্য পরিশোধ করা যাবে না বা এটি সীমিত থাকবে। তবে আছে বিকল্পও। অনলাইন থেকে তথ্য নিয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন- আজহারুল ইসলাম অভি

সম্প্রতি গ্রাহকদের উদ্দেশে দেওয়া চিঠিতে এইচটিটিপুল জানিয়েছে, ডলার সংকট ও রেমিট্যান্স সমস্যার কারণে ফেসবুকে তাদের বিজ্ঞাপনের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ বা সীমিত করা হয়েছে। পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত এইচটিটিপুলের বিজ্ঞাপন কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ অথবা সীমিত থাকবে।

এইচটিটিপুল বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক সানি নাগপাল স্বাক্ষরিত চিঠিতে তারা জানিয়েছেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণেই তাদের এমন সিদ্ধান্ত। এটি তাদের জন্য অপ্রত্যাশিত এবং দ্রুত এই সমস্যার সমাধানে কাজ করছেন তারা। তবে মেটা বা এর মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান ফেসবুক বাংলাদেশে তাদের কোনো কার্যক্রম সীমিত কিংবা বন্ধ করেনি। এইচটিটিপুলের এই সিদ্ধান্তের কারণে সমস্যায় পড়বেন ই-কর্মাসের মাধ্যমে ব্যবসা করা দেশের ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে যারা ফেসবুক বা এফ-কর্মাসের মাধ্যমে ব্যবসা করে থাকেন। সাধারণত পণ্যের প্রচারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন তারা।

ই-ক্যাব জানায়, এইচটিটিপুলের বিজ্ঞাপন কার্যক্রম সীমিত করায় দেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের চেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বেশি সমস্যায় পড়বে। ই-ক্যাবের এফ-কমার্স অ্যালায়েন্সের কো-চেয়ারম্যান খালিদ সাইফুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের জানা মতে, বাংলাদেশের প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা নিজস্ব সোর্সে ফেসবুকে বুস্ট করেন। তাদের নিজস্ব ক্রেডিট কার্ড আছে বা ডুয়েল কারেন্সি কার্ড আছে। সেটির মাধ্যমেই তারা বুস্টিংয়ের কাজ করে থাকেন। তাই তারা খুব একটা বেশি সমস্যার সম্মুখীন হবেন না। তবে এই ৯০ শতাংশের বাইরে যারা এইচটিটিপুলের মাধ্যমে বড় অঙ্কের বুস্ট করাতেন, তারা কিছুটা সমস্যায় পড়বেন। তবে এই সংকট কাটাতে আপাতত বিকল্প কিছু ব্যবস্থাও আছে। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা সুদূরপ্রসারী সুফল না আনলেও আপাতত এসব বিকল্প পদ্ধতিতে ব্যবসায়ীরা কাজ চালিয়ে যেতে পারেন।

আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড: স্বল্পমেয়াদে পরিস্থিতি সামাল দিতে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে বেশকিছু সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। প্রথমত, যে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা হবে এতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবহারের অনুমতি থাকতে হবে। দ্বিতীয়ত, একটি কার্ডের মাধ্যমে যেহেতু প্রতিবছর ১২ হাজার ডলারের বেশি আন্তর্জাতিক মুদ্রায় লেনদেনের সুযোগ নেই সেহেতু যাদের বড় পরিমাণ অর্থ বিজ্ঞাপনী খরচ হিসেবে মেটাকে দিতে হয়, তাদের অর্থ পরিশোধ জটিল হয়ে পড়বে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য তুলনামূলক সুবিধা পাবে ছোট এফ-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে এসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কার্ড না থাকলে বিকল্পব্যবস্থা করতে হবে। এসব সমস্যার পরও আপাতত স্বল্পমেয়াদে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া যাবে।

কো-ব্র্যান্ডেড প্রিপেইড কার্ড: ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সদস্যদের জন্য রয়েছে ইসলামী ব্যাংকের কো-ব্র্যান্ডেড প্রিপেইড কার্ড। এ কার্ড ব্যবহার করে এর সদস্যরা ফেসবুকে তাদের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। দেশের সফটওয়্যার ও সেবাপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বেসিসের সদস্যদের কাছে কো-ব্র্যান্ডের ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। এর মাধ্যমে সাধারণত হোস্টিং, সফটওয়্যার লাইসেন্সের বিল পরিশোধ করা যায়। ওই কার্ড দিয়ে ফেসবুক বা অন্য মাধ্যমের বিল পরিশোধ করা যাবে না এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বেসিস সদস্যরা ওই কার্ড ব্যবহার করেও কাজ চালিয়ে নিতে পারবেন। এই কার্ডের আরও একটি বড় সুবিধা আছে। তা হলো শুধু ই-ক্যাব মেম্বারদের জন্য দেওয়া এ কার্ডে ডলার ব্যবহার করতে কোনো পাসপোর্ট বা এনডোর্সমেন্ট লাগে না। এ ছাড়া ট্রাভেল কোটার বাইরেও এই কার্ডের লিমিট রয়েছে ১২ হাজার ডলার পর্যন্ত।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন:

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি -এর সর্বশেষ