১২ এপ্রিল ২০২৫ শনিবার, ০৯:৫৪ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
লেনদেন বাড়লেও বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার কোটি টাকা
বিদায়ী সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে টাকার অংকে লেনদেন বাড়লেও ২ হাজার কোটি টাকার মূলধন কমেছে। গায়েব হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক কমলেও টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে। তবে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সূচকের মিশ্র প্রবণতায় উল্লেখযোগ্য হারে টাকার অংকে লেনদেন কমেছে।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩.৯৩ পয়েন্ট বা ০.২৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২০৫.২৩ পয়েন্টে।
অপর সূচকগুলোর মধ্যে- ডিএসই-৩০ সূচক ১৩.২১ পয়েন্ট বা ০.৬৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯২৭.৯০ পয়েন্টে।
ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৪.৮৫ পয়েন্ট বা ০.৪২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৭২.৯৬ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসএমইএক্স সূচক ২৫.১৪ পয়েন্ট বা ২.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৬৫.১৬ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪১টি, কমেছে ২৩৫টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি প্রতিষ্ঠানের।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৯৮ কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার ৭ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫১বার হাতবদল হয়।
টাকার অংকে যার বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৩৬ কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৬২৭ কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার টাকার।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৮০৯ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার টাকা বা ৪৯.৭৩ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকা।
আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ কোটি ৮১ লাখ ১০ হাজার টাকায়।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ২২২ কোটি ৩৬ লাখ ১০ হাজার টাকা বা ০.৩৩ শতাংশ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩১.৯৭ পয়েন্ট বা ০.২১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০৯.৩৭ পয়েন্টে।
সিএসইর অপর সূচক সিএসসিএক্স ৮.৭৯ পয়েন্ট বা ০.০৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৮৩৪.১৭ পয়েন্টে।
অপর ২টি সূচকের মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ৪.৫৩ পয়েন্ট বা ০.৪১ শতাংশ কমে এবং সিএসআই সূচক ৭.২৭ পয়েন্ট বা ০.৭৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে- এক হাজার ১০৮.৮৮ পয়েন্টে এবং ৯৪৯.৪৪ পয়েন্টে।
এছাড়া, সিএসই-৩০ সূচক ০.৯৭ পয়েন্ট বা ০.০০৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ২৭.০১ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩১টি, কমেছে ১৬৫টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির।
সপ্তাহটিতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪৩ কোটি ৬০ লাখ ১০ হাজার ৬৪০ টাকার।
আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫০ কোটি ৮০ লাখ ৫৯ হাজার ৬৬০ টাকার।
সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৭ কোটি ২০ লাখ ৪৯ হাজার ১৯ টাকা বা ১৪.১৮ শতাংশ।
রিটার্নে ৭ খাতে লোকসান
বিদায়ী সপ্তাহে সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ৬ খাতে। এর ফলে এই ৭ খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসানে রয়েছে। একই সময়ে সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ১১ খাতে। এছাড়া আলোচ্য সময়ে দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২ খাতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে বস্ত্র খাতে। বিদায়ী সপ্তাহে এই খাতে দর কমেছে ৪.৮০ শতাংশ। ৩.৩০ শতাংশ দর কমে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কাগজ ও প্রকাশনা খাত। একই সময়ে ১.৮০ শতাংশ দর কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে ব্যাংক খাত।
লোকসান হওয়া অন্য খাতের মধ্যে- আর্থিক খাতে ১.৭০ শতাংশ, চামড়া খাতে ১.৫০ শতাংশ, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে ০.৭০ শতাংশ এবং টেলিকমিউনিকেশন খাতে ০.১০ শতাংশ দর কমেছে।
১১ খাতে মুনাফা
বিদায়ী সপ্তাহে (০৬-১০ এপ্রিল’২৫) শেয়ারবাজারের ৭ খাত থেকে মুনাফা পেয়েছে বিনিয়োগকারীরা। কারণ আলোচ্য সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ৭ খাতে। এর ফলে এই ১১ খাতের মুনাফা হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। একই সময়ে সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ৭ খাতে। এর ফলে এই ৭ খাতে বিনিয়োগকারীদের লোকসান হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২ খাতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি মুনাফা হয়েছে সিমেন্ট খাতে। এই খাতে বিদায়ী সপ্তাহে দর বেড়েছে ৯.৭০ শতাংশ। ৬.৫০ শতাংশ দর বেড়ে সাপ্তাহিক রিটার্ন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত। একই সময়ে ১.৮০ শতাংশ দর বেড়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাত।
সাপ্তাহিক রিটার্নে অন্য ৮ খাতের মধ্যে- সিরামিক খাতে ১.৫০ শতাংশ, ভ্রমণ খাতে ১.০০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ০.৯০ শতাংশ, পাট খাতে ০.৭০ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ০.৩০ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে ০.৩০ শতাংশ, বিবিধ খাতে ০.১০ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ০.০৩ শতাংশ দর বেড়েছে।
ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর (ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ) পিই রেশিও (সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত) কমেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশেও কমেছে ০.০১ পয়েন্ট বা ০.১০ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ৯.৭৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭৪ পয়েন্ট।
খাতভিত্তিক হিসাবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায় বিদায়ী সপ্তাহে- ব্যাংক খাতে ৬.৪ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৫.০ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৪২৫.১ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.২ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২৬.৬ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৩.৩ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৬.১ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১২.২ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৮.৪ পয়েন্ট, পাট খাতে ৩৫.৯ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩৫.৩ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ২৬.৬ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৩৮.৯ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.৪ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১০.৩ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৪১.৭ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৩.২ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতে ১২.৭ পয়েন্ট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাত ৩৩.৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আগের সপ্তাহে (২৩-২৭ মার্চ’২৫) খাত ভিত্তিক পিই রেশিও ছিল- ব্যাংক খাতে ৬.৫ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৪.১ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৪১৮.৯ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.১ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২৭.১ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৩.৪ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৬.৪ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৩ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৮.৪ পয়েন্ট, পাট খাতে ৩৫.৬ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩৫.৩ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ২৪.৯ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৪০.২ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.৩ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১০.২ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৪২.৪ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৩২.৮ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৩.২ পয়েন্ট ও বস্ত্র খাতে ১৩.৩ পয়েন্ট।
ব্লক মার্কেটে ১১২ কোটি টাকার বেশি লেনদেন
বিদায়ী সপ্তাহে (০৬-১০ এপ্রিল’২৫) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১২১ কোম্পানির ১১২ কোটি ২ লাখ ৯০‘ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১০ কোম্পানির।
কোম্পানিগুলো হলো- ব্যাংক এশিয়া, বিচ হ্যাচারি, ওয়ালটন হাইটেক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, রেনেটা, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, লাভেলো আইস্ক্রিম, কেডিএস এক্সেসরিজ, ম্যারিকো এবং স্কয়ার ফার্মা।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ব্লক মার্কেটে এই ১০ কোম্পানির মোট ৯১ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ব্যাংক এশিয়া। সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির ১৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১৬ টাকা ৮০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিচ হ্যাচারির ১৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৯৫ টাকা ৬০ পয়সা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ওয়ালটন হাইটেকের ১৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৪৬৩ টাকা ৮০ পয়সা।
সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া অন্য ৭টি কোম্পানির মধ্যে- মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ১৪ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা, রেনেটার ১২ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ কোটি ৩৫ লাখ ১০ হাজার টাকা, লাভেলো আইস্ক্রিমের ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, কেডিএস এক্সেসরিজের ২ কোটি ৮৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ম্যারিকোর ২ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং স্কয়ার ফার্মার ২ কোটি ২৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষে বিএসসি
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনে শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১৪২ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৫.১ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৯৮ টাকা ২০ পয়সায়।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১১৬ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪.৭৯ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১০৫ টাকা ৩০ পয়সায়।
সাপ্তাহিক লেনদেন তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে- বিচ হ্যাচারি। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৮৬ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৫৩ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৯৫ টাকা ৬০ পয়সায়।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- শাইনপুকুর সিরামিকসের ৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৬০ কোটি ৩০ লাখ টাকা, এসিআই লিমিটেডের ৪৭ কোটি ২১ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মার ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৪৪ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৪২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং নাভানা ফার্মার ৪২ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
দর পতনের শীর্ষে নিউ ক্লোথিংস
বিদায়ী সপ্তাহে (০৬-১০ এপ্রিল’২৫) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে নিউ ক্লোথিংসের। সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ১৫.৪৬ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে এক টাকা ৫০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দরপতন বা লুজার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের শেয়ার দর কমেছে ১৩.৯০ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ২৯ টাকা ৫০ পয়সায়।
গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৪ টাকা ১০ পয়সা।
১৩.২৪ শতাংশ দর কমে সাপ্তাহিক লুজার তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৪৩ টাকা ৮০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৫ টাকা ৮০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- বিচ হ্যাচারির ১৩.০৯ শতাংশ, ফু-ওয়াং ফুডসের ১১.৯৩ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার ১১.৩৮ শতাংশ, হামিদ ফেব্রিক্সের ১১.১১ শতাংশ, হাক্কানি পাল্পের ১০.৮৯ শতাংশ, এসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ১০.৬৩ শতাংশ এবং শার্প ইন্ডাস্ট্রিজের ১০.৫৮ শতাংশ দর কমেছে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে হাইডেলবার্গ সিমেন্ট
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে হাইডেলবার্গ সিমেন্টের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৭.৬১ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ২১৪ টাকা ৪০ পয়সা।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭৩ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৫৯ টাকা ২০ পয়সা।
ডিএসইর গেইনার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার দর বেড়েছে ২৩.৫৩ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৩ টাকা ৪০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৮০ পয়সা।
২০.০০ শতাংশ দর বেড়ে সাপ্তাহিক গেইনার তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ৪ টাকা ৫০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৪০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৯০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ১৮.০৬ শতাংশ, এলআর গ্লোবাল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৭.১৪ শতাংশ, ইস্টার্ন ক্যাবলসের ১৬.৩৩ শতাংশ, এমবি ফার্মার ১৪.৯১ শতাংশ, বিডি ল্যাম্পসের ১৪.১৪ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ১৪.০৫ শতাংশ এবং জেএমআই সিরিঞ্জের ১৩.৬১ শতাংশ দর বেড়েছে।
ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দেবে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭ পয়সা। যা আগের বছর ১ টাকা ১৪ পয়সা ছিল।
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২১ টাকা ১২ পয়সা।
সর্বশেষ বছরে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৭৬ পয়সা, যা আগের বছর ৮৩ পয়সা ছিল।
আগামী ৩০ জুন বিকাল ৩টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ জুন।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।