১৯ জুন ২০২৪ বুধবার, ০৪:৩৯ পিএম
বিনোদন ডেস্ক
শেয়ার বিজনেস24.কম
মুম্বইয়ের বোরিভ্যালিতে বিলাসবহুল ৬টি এপার্টমেন্ট কিনেছেন অভিনেতা অভিষেক বচ্চন। জ্যাপকি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ডকুমেন্টকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়, ওই ৬টি এপার্টমেন্ট তিনি কিনেছেন ১৫.৪২ কোটি রুপি দিয়ে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সব এপার্টমেন্ট অবস্থিত ওবেরয় স্কাই সিটিতে। বিক্রির চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে ৫ই মে।
রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, প্রথম এপার্টমেন্টটি তিনি কিনেছেন ৩.৪২ কোটি রুপি দিয়ে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয়টি কিনেছেন প্রতিটি ৭৯ লাখ রুপি দিয়ে। চতুর্থ এবং পঞ্চম এপার্টমেন্টের মূল্য ৩.৫২ কোটি ও ৩.৩৯ কোটি রুপি। শেষ এপার্টমেন্টের মূল্য ৩.৩৯ কোটি রুপি। বর্তমানে অভিষেক বচ্চন ও তার স্ত্রী অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন, তাদের কন্যা আরাধ্য বচ্চন বসবাস করছেন গ্রেট অমিতাভ বচ্চন পরিবারের সঙ্গে।
মুম্বইয়ের জলসায় এই পরিবারে আছেন সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন ও জয়া বচ্চন। ২০১৮ সালে সাবেক টুইটারের একজন ব্যবহারকারী অভিষেক বচ্চনের পিতামাতার সঙ্গে বসবাসকে উৎসাহিত করে পোস্ট দেন। সেই পোস্ট পরে মুছে ফেলা হয়েছে। তাতে তিনি লিখেছিলেন- জীবন সম্পর্কে খারাপ ধারণা রাখবেন না। এখনও স্মরণ করুন অভিষেক বচ্চন তার পিতামাতার সঙ্গে বসবাস করেন। সবাইকে আঁকড়ে থাকার চেষ্টা করুন। এর জবাবে অভিষেক বচ্চন লিখেছিলেন- হ্যাঁ! তাদের (পিতামাতা) জন্য, তাদের সঙ্গে থাকতে পারাটা আমার জন্য সবচেয়ে গৌরবের মুহূর্ত। এটা চেষ্টা করুন, আপনিও নিজেকে সুখী অনুভব করবেন।
ওদিকে ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি টকশো-এর উপস্থাপক ডেভিড লেটারম্যান তার শোতে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের কাছে জানতে চান- আপনি কি এখনও আপনার পিতামাতার সঙ্গে বসবাস করেন এবং ভারতে এটা কি স্বাভাবিক বিষয়? জবাবে ঐশ্বরিয়া বলেছিলেন- পিতামাতার সঙ্গে বসবাস করা একটি চমৎকার বিষয়। কারণ, ভারতে এটা স্বাভাবিক বিষয়। শুধু নৈশভোজের সময় পিতামাতার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ নেব- আমরা তেমন নই।
অভিষেকের সঙ্গে ঐশ্বরিয়ার বিয়ে হয় ২০০৭ সালে। এই দম্পতির একটি কন্যা সন্তান আছে। নাম আরাধ্য। তার জন্ম হয় ২০১১ সালে। এই দম্পতিও অভিনয়, বিনোদন জগতের সঙ্গে আছেন। অভিষেককে দেখা যাবে পরের ‘বি হ্যাপি’তে। অন্যদিকে ঐশ্বরিয়াকে ২০২৩ সালে ‘পন্নিয়িন সেলভান: টু’তে দেখা গেছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।