facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার, ২০২৫

Walton

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে প্রবৃদ্ধির ধারা: আমানত ও ঋণ বিতরণ বেড়েছে


১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মঙ্গলবার, ১২:২৫  পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে প্রবৃদ্ধির ধারা: আমানত ও ঋণ বিতরণ বেড়েছে

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এ সেবায় বেড়েছে আমানতের পরিমাণ ও ঋণ বিতরণ। একই সঙ্গে বেড়েছে হিসাব সংখ্যাও। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

হিসাবধারীর সংখ্যা বৃদ্ধি

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে মোট হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার ১০৯টি। তিন মাস পর, ডিসেম্বর শেষে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪০ লাখ ৭৮ হাজার ২৩০টিতে। অর্থাৎ, মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ১২১টি।

আমানতের প্রবৃদ্ধি

গত সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানতের পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৫২৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ডিসেম্বর শেষে এটি বেড়ে হয়েছে ৪১ হাজার ৯৫৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ, তিন মাসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত বেড়েছে ২ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা বা ৬.১৪ শতাংশ।

ঋণ বিতরণের বৃদ্ধি

বিদায়ী বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় ঋণ বিতরণের স্থিতি ছিল ২১ হাজার ৯৪ কোটি টাকা। তিন মাস পর, ডিসেম্বর শেষে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ২৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ, তিন মাসে ঋণ বিতরণের স্থিতি বেড়েছে ২ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা বা ১৩.৯৩ শতাংশ।

প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক প্রবণতা

সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রবাসী আয় আসার স্থিতি ছিল ১ কোটি ৬ লাখ ৫৬ হাজার ৬৯ কোটি টাকা। ডিসেম্বর শেষে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ ৩৩ হাজার ৯০ কোটি টাকা। ফলে, তিন মাসে প্রবাসী আয় এসেছে আরও ৭ হাজার ৭৩১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

গ্রাহকের সংখ্যা ও প্রোফাইল

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকের বড় অংশই গ্রামের মানুষ। আলোচিত সময়ে (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) গ্রামে গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ ৭৩ হাজার ৪০৫ জন। বর্তমানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে নারী গ্রাহকের সংখ্যা ১ কোটি ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৬৭৫ জন।

এজেন্ট ও আউটলেটের পরিবর্তন

প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্টের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ১১টি। ডিসেম্বর শেষে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২১টিতে। অর্থাৎ, তিন মাসে এজেন্টের সংখ্যা বেড়েছে ১০টি। তবে আউটলেটের সংখ্যা কিছুটা কমেছে। সেপ্টেম্বর শেষে আউটলেটের সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৩৬৭টি, যা ডিসেম্বর শেষে কমে ২১ হাজার ২৪৮টিতে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, তিন মাসে আউটলেটের সংখ্যা কমেছে ১১৯টি।

সার্বিক মূল্যায়ন

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার বিস্তার দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। গ্রামাঞ্চলে ব্যাংকিং সেবার প্রসার, আমানত বৃদ্ধি, ঋণ বিতরণের সম্প্রসারণ এবং প্রবাসী আয়ের ধারা বৃদ্ধির ফলে এ খাতের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হতে পারে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন:

অর্থ ও বাণিজ্য -এর সর্বশেষ