১৮ মে ২০২৪ শনিবার, ১০:৫১ এএম
স্পোর্টস ডেস্ক
শেয়ার বিজনেস24.কম
যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে লিওনেল মেসির বাৎসরিক বেতন ২ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির বেতন অন্য যেকোনো খেলোয়াড়ের চেয়ে অনেক বেশি। শুধু কি তা–ই, এমএলএস প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের শুক্রবার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, লিগে ২৫টি ক্লাব নিজেদের স্কোয়াডকে যে বেতন দেয়, মেসির বেতন তার চেয়েও বেশি।
এমএলএসে খেলোয়াড়দের এই সংগঠন লিগে পারিশ্রমিক নিয়ে নিয়মিতই তথ্য প্রকাশ করে। এই তালিকায় ৮ বারের ব্যালন ডি’অরজয়ী মেসির বেতন বাকিদের চেয়ে বেশি হবে, সেটাই স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিতও। মেসির নিট বেতন ১ কোটি ২০ লাখ ডলার। বিভিন্ন বোনাস সহকারে সব মিলিয়ে অঙ্কটা দাঁড়ায় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৬৬৭ ডলার।
তবে প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রকাশ করা নথিতে মেসির বেতনের সঙ্গে তার বাণিজ্যিক চুক্তি, এনডোর্সমেন্ট ও স্পনসর চুক্তি থেকে আয় যোগ করা হয়নি। যেমন অ্যাপল ও অ্যাডিডাসের সঙ্গে স্পনসর চুক্তি রয়েছে মেসির।
স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় ২০১৭ সালে চার বছরের চুক্তি সই করেছিলেন মেসি। সেই চুক্তিতে প্রতি মৌসুমে ১৩ কোটি ৮০ লাখ ইউরো করে আয় করতেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। এর মধ্যে বেতন এবং অন্যান্য বিষয়ও (অ্যাড ওনস) সংযুক্ত ছিল। বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষে ক্লাবটি ছেড়ে ২০২১ সালের আগস্টে যোগ দেন ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে। সেখানে প্রতি মৌসুমে আয় করতেন ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি ইউরো।
পিএসজি ছেড়ে গত বছর জুলাইয়ে মিয়ামিতে যোগ দেন মেসি। ক্লাবটির সঙ্গে তার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ ২০২৫ মৌসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত। তবে ৩৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড এখনো সম্ভবত বার্সার কাছ থেকে টাকা পেয়ে থাকেন। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বার্সা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা জানিয়েছিলেন, ২০২৫ সাল পর্যন্ত মেসির বকেয়া বেতন পরিশোধ করে যাবে কাতালান ক্লাবটি।
মেসি এমএলএসে যাওয়ার আগে প্রতিযোগিতাটিতে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া খেলোয়াড় ছিলেন টরন্টো এফসির ইতালিয়ান স্ট্রাইকার লরেঞ্জো ইনসিনিয়ে। এখন তিনি তালিকায় দ্বিতীয়—কানাডিয়ান ক্লাবটি থেকে বছরে ১ কোটি ৫৪ লাখ ডলার আয় করেন ইনসিনিয়ে। তৃতীয় মেসির সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ ও বর্তমান মায়ামি সতীর্থ সের্হিও বুসকেটস। ৩৫ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মিয়ামিতে ৮৮ লাখ ইউরো আয় করেন।
মেসির আরও দুই সাবেক বার্সা সতীর্থ আছেন মিয়ামিতে। উরুগুয়ে ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজ ও স্প্যানিশ ফুলব্যাক জর্দি আলবা। দুজনের প্রত্যেকে বছরে ১৫ লাখ ডলার করে আয় করেন মিয়ামিতে।
এমএলসে মোট ২৯টি দল ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে বিভক্ত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। এর মধ্যে প্রত্যাশিতভাবেই খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ বেতন দেওয়া ক্লাব মিয়ামি। খেলোয়াড়দের মোট ৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার বেতন দেয় ক্লাবটি। ৩ কোটি ১৪ লাখ ডলার বেতন দিয়ে দ্বিতীয় টরন্টো। বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়ন কলম্বাস ক্রুজ বেতন দেয় ১ কোটি ৫১ লাখ ডলার।
মিয়ামিতে মেসি এমন অনেকের সঙ্গেই ড্রেসিংরুম ভাগ করেন, যাদের বেতন তার তুলনায় খুবই কম। মিয়ামির স্কোয়াডে নিয়মিত মুখ ডিফেন্ডার নোয়া অ্যালেনের বাৎসরিক আয় ৯১ হাজার ৩৮৩ ডলার। এবার এমএলএসে খেলোয়াড়দের গড় বেতন ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯০ ডলার। গত বছরের তুলনায় এবার ১২.১ শতাংশ বেড়েছে বেতন দেওয়ার হার।
এমএলএসে ‘বিশিষ্ট খেলোয়াড়’ নিয়মের অধীনে মেসিকে প্রচুর বেতন দিয়ে নিজেদের দলে টানতে পেরেছে মিয়ামি। এই নিয়ম চালু করার পরই ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের সাবেক মিডফিল্ডার ডেভিড বেকহাম লস অ্যাঞ্জেলেস গ্যালাক্সিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই বেকহাম এখন মিয়ামির সহমালিক। গ্যালাক্সিতে বেকহামের নিট বেতন ছিল বছরে ৬৫ লাখ ডলার। চুক্তির অন্যান্য সব বিষয় মিলিয়ে পাঁচ বছরে প্রায় ৫ কোটি ডলার আয় করেছেন বেকহাম।
এমএলএসে অন্য খেলোয়াড়দের তুলনায় বেতনে মেসি অনেক এগিয়ে থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে অন্যান্য খেলাধুলার তারকাদের চেয়ে বেশ কম আয় করেন তিনি। এনএফএলের দল সিনসিনাটি বেঙ্গলসের কোয়ার্টারব্যাক জো বারো গত বছর দলটির সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি সই করেন। এই চুক্তির অধীনে প্রতি মৌসুমে সাড়ে ৫ কোটি ডলার করে আয় করবেন বারো। এনএফএলে এটা নতুন রেকর্ড। বাস্কেটবল লিগ এনবিএ-তে সবচেয়ে বেশি আয় করা গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্সের স্টিফেন কারি প্রতি মৌসুমে ৫ কোটি ১৯ লাখ ডলার করে আয় করেন।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।