৩১ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার, ১২:১৯ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
দেশের অর্থনীতিকে অস্থির করে তুলেছে ব্যাংকিং সেক্টরের অনিয়ম ও ঋণ কেলেঙ্কারি। দুর্নীতি, জালিয়াতি এবং প্রভাবশালীদের অবৈধ কার্যকলাপে ব্যাংকগুলো থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে লুটেরাদের পকেটে। ব্যাংক সূত্র বলছে, ভুয়া এফডিআর এবং জাল দলিল ব্যবহার করে মোটা অঙ্কের ঋণ অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। এমনকি এক ব্যাংকের এমডি হয়েও অন্য ব্যাংকে ঋণগ্রহীতা হওয়া যাচ্ছে, যা প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মের পরিপন্থী।
তথ্য অনুসারে, আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে প্রভাবশালী কিছু ঋণগ্রহীতা প্রায় ৭৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ আটকে রেখেছেন। এসব ঋণ খেলাপির আওতায় থাকলেও স্থগিতাদেশের কারণে বছরের পর বছর ঝুলে আছে, যা ব্যাংকের তারল্য সংকটে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। দেশের অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশের বেশি ঋণ এখন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, যা একটি গণতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অস্বাভাবিক।
রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার ফলে এই সমস্যা বেড়েই চলেছে। দুর্নীতির অভিযোগে প্রাথমিক তদন্ত হলেও মামলার দীর্ঘসূত্রতায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি, ঋণের অর্থও ফেরত আসেনি। ফলে, ঋণ নিয়ে না ফেরত দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, অর্থঋণ আদালতে ঝুলে থাকা মামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ সাত হাজার ৫৯৩টি, যেখানে আটকে আছে প্রায় দুই লাখ ৩৬ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা। আগের মামলাগুলোর নিষ্পত্তি কম হওয়া এবং নতুন মামলা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিচার প্রক্রিয়া পিছিয়ে পড়ছে।
বিচারকের অভাব, আইনি মতামত দানের সময় সংকট এবং যথাযথ দলিলের অভাবে অর্থঋণ আদালতে মামলা নিষ্পত্তিতে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে দেশের ব্যাংকিং সেক্টরকে স্থিতিশীল রাখা আরও কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।