২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ শুক্রবার, ১২:১৭ পিএম
স্টাফ রিপোর্টার
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড থেকে এস আলম গ্রুপের অনুকূলে দেওয়া ১,৭৫০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের শর্তে পরিবর্তন করে অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত শুরু করেছে এবং বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
নিয়ম লঙ্ঘন ও সুবিধা বৃদ্ধি:
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এস আলম গ্রুপের ঋণের নবায়ন প্রক্রিয়া চলাকালে ব্যাংক কর্মকর্তারা ঋণের ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের মেয়াদ ১ বছর থেকে ২ বছর করেছেন এবং গ্রেস পিরিয়ডও ১৮ মাস থেকে ২৪ মাসে উন্নীত করা হয়েছে। যদিও ব্যাংক কর্মকর্তারা সরাসরি ঋণ অনুমোদনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না, তবে পরোক্ষভাবে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
এস আলম গ্রুপের জন্য বিতরণকৃত ঋণ:
এসব ঋণের মেয়াদ বৃদ্ধিতে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, যা বিদ্যমান ব্যাংকিং আইন ও নীতির পরিপন্থী।
জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুপস্থিতি:
দুদক বৃহস্পতিবার যে কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, তারা হলেন:
এছাড়া, ব্যাংকের পর্যবেক্ষক ও পরিচালক মো. সারওয়ার হোসেন এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তফা চৌধুরী-কে দুদক তলব করলেও তারা উপস্থিত হননি।
তদন্তের অংশ হিসেবে ২৬ ফেব্রুয়ারি আরও তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের অনেকেই দুদকের তলব উপেক্ষা করে তদন্ত প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দুদকের অবস্থান ও সম্ভাব্য শাস্তি:
দুদক বলছে, তাদের অনুসন্ধান পুরোপুরি স্বাধীন এবং আইনানুগ। যদি তদন্তে অনিয়ম প্রমাণিত হয়, তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি ও অনিয়মের নতুন চিত্র তুলে ধরছে। ঋণ নবায়ন ও শর্ত পরিবর্তন নিয়ে চলমান তদন্তটি দেশের ব্যাংকিং খাতের স্বচ্ছতা, নীতি সংস্কার এবং ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ব্যাংকের সম্পর্কের বিষয়ে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।