১৫ অক্টোবর ২০১৮ সোমবার, ১২:১৬ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
ইনসাইডার ট্রেডিং। শেয়ারবাজারে সবচেয়ে আলোচিত-সমালোচিত কথাগুলোর একটি। আইনের চোখে কোম্পানির সেসব ব্যক্তিকে ইনসাইডার বলা হয়, যারা পর্ষদ, ব্যবস্থাপনা বা অন্য কোনো অবস্থানে কাজ করা কিংবা যুক্ত থাকার সুবাদে কোম্পানির অপ্রকাশিত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য জানতে পারেন। উদ্যোক্তা-পরিচালক, শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাজের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ার ধারণকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইনসাইডারের প্রাথমিক সংজ্ঞায় পড়ে। দেশে দেশে সিকিউরিটিজ নিয়ন্ত্রকরা বছরের কিছু নির্দিষ্ট সময়ে তাদের জন্য নিজ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচায় বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছেন। কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য উত্পন্ন হওয়ার পর থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সেটি জানার আগ পর্যন্ত শেয়ার কেনাবেচা করাও ইনসাইডারদের জন্য অপরাধ। বাজার ব্যবস্থার প্রতি বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাসের এ বরখেলাপের শাস্তি সারা বিশ্বেই অনেক বড়। অবশ্য নিষিদ্ধ সময়ের বাইরে অন্য সময়গুলোয় ইনসাইডাররা শেয়ার কিনতে বা বেচতে পারেন। তবে স্টক এক্সচেঞ্জ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা নির্দেশিত পন্থায় সবাইকে বিষয়টি জানাতে হয় তাদের। তারা কখন নিজ কোম্পানির শেয়ার কিনছেন, কখন বেচছেন— সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মনস্তত্ত্বে এটি সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। ইনসাইডারদের শেয়ার কেনাবেচা পর্যালোচনা করে সাধারণ বিনিয়োগকারী কী পেতে পারেন— তা নিয়েই এ পর্বের মূল রচনা
বাজারকে পরাজিত করার কৌশলগত নানা টিপস আসে আর যায়। তবে একটি টিপস বহুকাল ধরে তার আবেদন ধরে রেখেছে, সেটি হলো কোম্পানির আদ্যোপান্ত জানা মানুষগুলো শেয়ার কিনছে না বেচছে, সাধারণ বিনিয়োগকারী হিসেবে তা নজরে রেখে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেয়া। ইনসাইডাররা সবসময় নিজ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচায় সঠিক সিদ্ধান্ত নেন— এমনটিও নিশ্চিত করে বলা যাবে না। তবে তারা যখন সামষ্টিকভাবে নিট ক্রয় বা বিক্রয় সাইডে চলে যান— তারপর বাজারে সেন্টিমেন্ট উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। গবেষকরাও এর সপক্ষে অনেক পরিসংখ্যানগত পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন।
তবে তার মানে কোনোভাবেই এই নয় যে, ইনসাইডারদের প্রতিটি ক্রয়-বিক্রয়াদেশের সঙ্গে নিজের পোর্টফোলিওকে ট্যাগ করে দিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বরং পরামর্শ দেন, বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেয়ার অন্য যত ভিত্তি রয়েছে, তার সঙ্গে ইনসাইডারদের কেনাবেচার প্যাটার্নগুলোকে যোগ করে একটি বেটার পিকচার পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
কেন ইনসাইডারদের লেনদেন পর্যবেক্ষণ করতে হবে?
চিরন্তন শেয়ারধারণের পরিকল্পনা থাকলে এ পাঠ আপনার জন্য নয়। তবে বড় ট্রেন্ডের সূচনা আর সমাপ্তিলগ্নে শেয়ার কেনাবেচার সিদ্ধান্ত নিয়ে লাভবান হওয়ার চিন্তা থাকলে বিষয়টি বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। কারণ কর্মকর্তা আর পর্ষদ সদস্যরা কোম্পানির সবচেয়ে হালনাগাদ অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। ব্যবসার চক্রাকার উত্থান-পতন, উৎপাদন, বিক্রি, খরচ, মুনাফা, প্রতিযোগিতা, বড় চুক্তি, বড় লোকসানের আশঙ্কা সবই তারা যেকোনো বিশ্লেষক বা পোর্টফোলিও ম্যানেজারের চেয়ে ভালো জানেন। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কথা বাদই দিলাম। নিজ কোম্পানির শেয়ারে ইনসাইডারদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত তুলনামূলক নিখুঁত হয়।
অধ্যাপক হাসান নেজাত সেহানের পর্যবেক্ষণ
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নেজাত সেহান একজন সুপরিচিত ইনসাইডার ট্রেডিং গবেষক। ‘ইনভেস্টমেন্ট ইন্টেলিজেন্স ফ্রম ইনসাইডার ট্রেডিং (২০০০)’ বইয়ে সংকলিত উপাত্তে তিনি দেখিয়েছেন, কোম্পানির নির্বাহীরা যখন নিজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনতে থাকেন, তার ১২ মাসের মধ্যে সেই শেয়ারের দর সূচকের চেয়ে গড়ে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি বাড়ে। সূচক পড়তির দিকে থাকলে সেসব শেয়ার সূচকের চেয়ে কমে গড়ে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ কম। ইংরেজিতে বিষয়টিকে আউট পারফরম্যান্স বলে। অন্যদিকে ইনসাইডারদের শেয়ার বিক্রির প্রবণতা জোরালো হলে পরবর্তী ১২ মাসে সে কোম্পানির শেয়ারদর সূচকের চেয়ে গড়ে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ পিছিয়ে থাকে, ইংরেজিতে যাকে আন্ডারপারফরম্যান্স বলে।
ইনসাইডারদের দৈনন্দিন কেনাবেচার বদলে তাদের সামষ্টিক অ্যাকশন প্যাটার্ন পর্যালোচনা করতে হবে
শত শত কোম্পানির হাজার হাজার কিংবা হাজার হাজার কোম্পানির লাখ লাখ ইনসাইডাররা কে কখন কতগুলো শেয়ার কিনছেন, বিক্রি করছেন— তার বিক্ষিপ্ত উপাত্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীর কোনো কাজেই আসবে না। তবে তারা সম্মিলিতভাবে যখন নিট ক্রেতা বা বিক্রেতার দলে প্রবেশ করেন, তখন এটি বিনিয়োগ সহায়ক তথ্য বটে। সেটি নির্দিষ্ট কোম্পানির ইনসাইডারদের ক্ষেত্রে যেমন প্রযোজ্য, তেমনি পুরো বাজারের ইনসাইডারদের ক্ষেত্রেও সত্য।
ওয়াল স্ট্রিটের মার্কেট রিসার্চ ফার্ম এমপিটি ইনসাইডারদের বৈধ ক্রয়াদেশ আর বিক্রয়াদেশের (বাস্তবায়িত) অনুপাত ব্যবহার করে একটি নির্দেশক চালু করে, যার নাম দেয়া হয়েছে ব্রুকস রেশিও। নির্দিষ্ট সময়ে বাজারে ইনসাইডারদের নিট শেয়ার বিক্রি তাদের মোট কেনাবেচার কত শতাংশ তার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সময়ে বাজারের ট্রেন্ড কী হতে পারে— তার একটি পূর্বানুমান করা হয় এর সাহায্যে। পরিসংখ্যানগত গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণের পর এমপিটির বিশ্লেষকরা বলে থাকেন, ব্রুকস রেশিও ৪০ শতাংশের নিচে থাকলে সেন্টিমেন্ট বুলিশ। অর্থাৎ এ বাজার নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়। অন্যদিকে ব্রুকসে রেশিও ৬০ ছাড়ালে বাজার নিয়ে সতর্ক হওয়ার অবকাশ রয়েছে।
বিক্রির চেয়ে কেনার উপাত্ত বেশি গুরুত্বপূর্ণ
সাধারণত ইনসাইডারদের শেয়ার বিক্রির অর্থ মুনাফা তুলে নেয়া। তাদের কস্ট সাধারণত অন্য বিনিয়োগকারীদের চেয়ে কম হয়। ইনসাইডারদের নিট বিক্রির প্রবণতা খুব জোরালো হলে আমরা ধরে নিতে পারি, অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ সব বিশ্লেষণ করে তারা মনে করছেন, বর্তমান দর আমাদের কোম্পানির শেয়ারের জন্য যথেষ্ট। এমন পরিস্থিতি নিজের ভ্যালুয়েশনকে তাদের ভ্যালুয়েশনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার একটি সুযোগ বটে। নেজাত সেহানের উপাত্ত আর এমটিপির ব্রুকস রেশিওর পরিসংখ্যানগত সাফল্য আমলে নিলে বলতে হবে, এমন পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসতে হবে যেকোনো বিনিয়োগকারীকে।
কিংবদন্তি সম্পদ ব্যবস্থাপক পিটার লিঞ্চ বলেছিলেন, ‘কোম্পানির ইনসাইডাররা অনেক কারণেই শেয়ার বেচতে পারেন। তবে শেয়ার কেনেন এক কারণেই; যদি তারা বিশ্বাস করেন শেয়ারটির দাম বাড়বে।’ এক যুগের ব্যবধানে তিনি ওয়াল স্ট্রিটে ২ কোটি ডলারের ফান্ডকে ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে উন্নীত করেছিলেন।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নেজাত সেহান একজন সুপরিচিত ইনসাইডার ট্রেডিং গবেষক। ‘ইনভেস্টমেন্ট ইন্টেলিজেন্স ফ্রম ইনসাইডার ট্রেডিং (২০০০)’ বইয়ে সংকলিত উপাত্তে তিনি দেখিয়েছেন, কোম্পানির নির্বাহীরা যখন নিজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনতে থাকেন, তার ১২ মাসের মধ্যে সেই শেয়ারের দর সূচকের চেয়ে গড়ে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি বাড়ে। সূচক পড়তির দিকে থাকলে সেসব শেয়ার সূচকের চেয়ে কমে গড়ে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ কম। ইংরেজিতে বিষয়টিকে আউট পারফরম্যান্স বলে। অন্যদিকে ইনসাইডারদের শেয়ার বিক্রির প্রবণতা জোরালো হলে পরবর্তী ১২ মাসে সে কোম্পানির শেয়ারদর সূচকের চেয়ে গড়ে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ পিছিয়ে থাকে, ইংরেজিতে যাকে আন্ডারপারফরম্যান্স বলে।
তার উক্তিটি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আমরা বলতে পারি, মুনাফায় থাকা শেয়ার বিক্রি করে কোনো ইনসাইডার তার পারসোনাল ফিন্যান্স মেরামত করতে পারেন, কেউ হয়তো আর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। কিংবা তারা সম্মিলিতভাবেই হয়তোবা নিজেদের শেয়ারকে অতিমূল্যায়িত মনে করছেন। তার পরও চাঙ্গা বাজার অনেক সময়ই তাদের শেয়ারগুলোকে আরো অতিমূল্যায়িত করে তোলে এবং এটি বছরের পর বছর ধরেও চলতে পারে। ওয়াল স্ট্রিটে ২০১৬ সালে টানা বেশ কয়েক মাস ইনসাইডাররা নিট সেলার হয়ে গিয়েছিলেন। তার পরও সেখানে দরবৃদ্ধির ট্রেন্ড অব্যাহত রয়েছে, সূচকগুলোয় নিত্যনতুন রেকর্ড হচ্ছে।
পিটার লিঞ্চের কথার সপক্ষে যৌক্তিকভাবেই বলা যায়, মুনাফা তুলে নেয়ার কাজটির চেয়ে নিজের তহবিল নতুন করে বিনিয়োগ করা অনেক সিরিয়াস সিদ্ধান্তের বিষয়। একদল পেশাদার মানুষ তখনই নিজের অর্থ বিনিয়োগ করবেন, যখন তারা এর সাফল্য সম্পর্কে অনেক আত্মবিশ্বাসী হবেন। শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইনসাইডারের আত্মবিশ্বাস একযোগে খুব কম সময়ই ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
পিটার লিঞ্চের কথার সপক্ষে যৌক্তিকভাবেই বলা যায়, মুনাফা তুলে নেয়ার কাজটির চেয়ে নিজের তহবিল নতুন করে বিনিয়োগ করা অনেক সিরিয়াস সিদ্ধান্তের বিষয়। একদল পেশাদার মানুষ তখনই নিজের অর্থ বিনিয়োগ করবেন, যখন তারা এর সাফল্য সম্পর্কে অনেক আত্মবিশ্বাসী হবেন। শেয়ারবাজারের ইতিহাসে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইনসাইডারের আত্মবিশ্বাস একযোগে খুব কম সময়ই ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
ইনসাইডারের লেনদেন উপাত্ত ব্যবহারের আগে
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ইনসাইডারদের লেনদেন উপাত্ত ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু কমন টিপস রয়েছে বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে। এগুলো মাথায় রাখা ভালো।
১) সব ইনসাইডার এক নন: করপোরেট সুশাসন সমুন্নত রয়েছে যেসব কোম্পানিতে, সেখানে সাধারণত নির্বাহী কর্মকর্তারা তাদের পর্ষদ সদস্যদের চেয়ে কোম্পানির খুঁটিনাটিগুলো ভালো জানেন। আগামী মাস, প্রান্তিক বা বছরগুলোয় কোম্পানি কোন দিকে যাচ্ছে— তা এর চালকরাই সবচেয়ে ভালো জানবেন, এটিই স্বাভাবিক। ওয়াল স্ট্রিটে নির্বাহীদের শেয়ার কেনাবেচা আর পর্ষদ সদস্যদের শেয়ার কেনাবেচার আলাদা উপাত্ত সংরক্ষণ করা হয়।
আমাদের শেয়ারবাজারে বেশির ভাগ কোম্পানিতেই বিষয়টি উল্টো। নির্বাহীরা প্রকৃত ব্যবসা সম্পর্কে যথেষ্ট জানলেও অনেক ক্ষেত্রেই পর্ষদ আগামীতে কোম্পানিকে কোন দিকে নিয়ে যাবেন— সে সম্পর্কে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী নন তারা।
এর চেয়েও বড় কথা হলো, আমাদের দেশে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের শেয়ার কেনাবেচায় যে ডিসক্লোজার দিতে হয়, স্টক এক্সচেঞ্জ মারফত বিনিয়োগকারীরা শুধু সেটুকুই জানতে পারেন। পর্ষদের বাইরে থাকা ইনসাইডারদের শেয়ার কেনাবেচার বিষয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জানার কোনো সুযোগই নেই।
২) বেশি কেনাবেচা: একটি কোম্পানির একজন, দুজন ইনসাইডার গড়পড়তা ক্রয়-বিক্রয়াদেশ দিলে তা থেকে বিনিয়োগ সহায়ক তথ্য বের করা যতটা কঠিন, বেশিসংখ্যক ইনসাইডারের সম্মিলিত বড় নিট ক্রয়-বিক্রয় করে পরিস্থিতি অনুধাবন তুলনামূলক সহজ।
৩) ছোট কোম্পানির লোকজন বেশি জানে: কর্মপরিবেশ ও করপোরেট সুশাসন চর্চার কারণে কোম্পানির অপ্রকাশিত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য-উপাত্ত, ঘটনাবলি, ব্যবসার গতি-প্রকৃতি সবকিছু সম্পর্কেই ছোট কোম্পানিগুলোর তুলনামূলক বেশি স্তরের বেশিসংখ্যক কর্মী বেশি ওয়াকিবহাল থাকেন। বড় করপোরেশনগুলোর, বিশেষ করে যেখানে করপোরেট সুশাসনের চর্চা জোরালো সেখানে অপ্রকাশিত তথ্য তুলনামূলক কম মানুষের মধ্যে সীমিত থাকে।
৪) সময়ের একটু বেশিই আগে: ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের ভয়ানক সব গল্প সময়ে সময়ে উঠে এলেও বাস্তবতা হলো, ইনসাইডাররা বরাবরই অবৈধ ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের অপরাধ সম্পর্কে ভীত থাকেন। এটি এড়াতে তারা নিজের শেয়ার কেনাবেচার সিদ্ধান্তটি সময়ের একটু বেশিই আগে নিয়ে নেন। এ কারণে দেখা যায়, ইনসাইডারদের যৌক্তিক কেনাবেচার বিক্ষিপ্ত কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্তও বাজারকে প্রভাবিত করে না। সময়ান্তে সবাই তার যথার্থতা অনুধাবন করেন।
সতর্কতা
ইনসাইডারদের ক্রয় বা বিক্রয় বাজারকে আসন্ন দিকমুখিতার একটি ইঙ্গিত দেয়। অনেক অসাধু ইনসাইডারই বাজার তথা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ধোঁকা দিতে উল্টো ইঙ্গিতটি দেয়ার চেষ্টা করেন। বেনামে বহুগুণ বেশি শেয়ার কিনে বা বেচে স্বনামে উল্টোটি করা এর সবচেয়ে কমন কৌশল।
ইনভেস্টোপিডিয়া অবলম্বনে
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।