facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৯ অক্টোবর শনিবার, ২০২৪

Walton

কটাক্ষকে পাত্তা না দিয়ে রাজধানীতে অটো চালান সাহিদা


০১ মে ২০২৩ সোমবার, ১১:১৫  এএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


কটাক্ষকে পাত্তা না দিয়ে রাজধানীতে অটো চালান সাহিদা

বনিবনা না হওয়ায় বেশিদিন টেকেনি সংসার। অভাবের তাড়নায় রাজধানীর সড়কে নেমেছেন এক নারী। প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বেছে নেন অটোরিকশা চালকের পেশা। বাধা-বিপত্তি ও কটাক্ষের শিকার হলেও ধৈর্য ধরেছেন। পরিশ্রম করেই পরিবারের হাল ধরেছেন। দুই সন্তানকে স্কুলে পড়াচ্ছেন। সেই নারীর নাম সাহিদা বেগম।

এ পেশায় আসার বিষয়ে সাহিদা বেগম জানান, অন্য পেশার চেয়ে আমি এখানে বাড়তি রোজগার করতে পারব। যেহেতু লেখাপড়া কম করেছি, তাই ভালো চাকরি তো কপালে জুটবে না। চাকরির বয়সও নেই। আর গার্মেন্টসে গেলে পর্যাপ্ত আয়ও হবে না। এছাড়াও আমার পরিবারের ভরণ-পোষণ, সময় দেওয়াটাও কষ্টসাধ্য হয়ে উঠবে। তাই অটো চালানোকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি।

তিনি বলেন, প্রথমে আমার এলাকার গ্যারেজে ঘুরে ঘুরে খোঁজ নিয়েছি অটো চালানো শেখার বিষয়ে। এরপর জানতে পারলাম, আমার প্রতিবেশী এক ভাই অটো চালান। তিনি আমার সংসারের টানাপোড়েনের গল্প শুনে অটো চালানো শেখাতে রাজি হন।

অটো চালাতে গিয়ে হয়রানি বিষয়ে সাহিদা জানালেন কখনো হয়রানির শিকার না হলেও বাধা ও কটাক্ষের শিকার হয়েছি। প্রথমে কেউ অটো চালানো শেখাতে রাজি হননি। নানা প্রতিবন্ধকতায় অটো চালানো শেখার পর ভাড়া গাড়ি খুঁজেছিলাম, তা-ও পাইনি। নারী দেখে প্রথমে কেউ গাড়ি ভাড়া দিতে রাজি হননি। তাই আমার কাছে কোনো নারী যদি এ ক্ষেত্রে সাহায্য চান, তাহলে আমি তার পাশে থাকব।

সারাদিন অটো চালিয়ে ক্লান্ত শরীরে বাসায় ফিরি। ঘরে ফিরে রান্না করতে খারাপ লাগে। রান্নাটা যদি কেউ করে দিতো, তাহলে বোধহয় ভালো হতো। আমার ছেলে-মেয়ে স্কুলে পড়ে। তাদের দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। স্কুলে দিয়ে আসা, নিয়ে যাওয়ায় কষ্ট হলেও অবহেলা করার সুযোগ নেই। সাহিদা জানান, সমাজে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের জন্য বার্তা থাকবে, কারো কাছে হাত পেতে নয়; কাজ করে মাথা উঁচিয়ে এগিয়ে চলুন। আর কেউ যদি আমার কাছে অটো চালানো শিখতে চান, তাহলে আমি তাকে বিনা মূল্যে শেখাব।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: