১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ সোমবার, ০৫:৪৩ পিএম
স্টাফ রিপোর্টার
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়তে থাকায় শঙ্কিত বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন মুদ্রানীতির পূর্বাভাস অনুযায়ী, খেলাপি ঋণের হার মোট ঋণের ৩০ শতাংশ অতিক্রম করতে পারে, যা দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের প্রায় ১৮ শতাংশ। অথচ গত জুন শেষে এ পরিমাণ ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণ বাস্তব পরিস্থিতির তুলনায় কম দেখানো হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কারণ অবলোপনকৃত ও আদালতে স্থগিত থাকা ঋণ এ হিসাবে ধরা হয়নি।
নতুন মুদ্রানীতিতে কী আছে? বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন মুদ্রানীতিতে খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে বেশ কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করা, নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা জোরদার করা এবং ঋণ ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করা। বিশেষ করে এক্সপেকটেড ক্রেডিট লস মেথডলজি চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা ২০২৭ সালের মধ্যে কার্যকর হবে।
আইনগত সংস্কারের তাগিদ খেলাপি ঋণ আদায়ে আইনগত জটিলতা কমানোর ওপরও জোর দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে উচ্চ আদালত ও অর্থঋণ আদালতে ঝুলে থাকা মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ব্যাংকগুলোর আইন বিভাগকে আরও সক্রিয় হতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে নতুন নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ব্যাংকিং খাতে আস্থা ফেরাতে উদ্যোগ খেলাপি ঋণের লাগাম টেনে ধরতে নতুন মুদ্রানীতি কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে ব্যাংকিং খাতে আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা। সরকার পরিবর্তনের পর ব্যাংক খাত সংস্কারে নেওয়া নানা পদক্ষেপের ফলে খেলাপি ঋণ ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দেশের আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপগুলো কতটা কার্যকর হবে, তা এখন সময়ই বলে দেবে। তবে খেলাপি ঋণের লাগাম টানতে প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা ও কঠোর বাস্তবায়ন।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।