১০ ডিসেম্বর ২০২৪ মঙ্গলবার, ১১:০৯ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হুমকিতে
বৈঠকে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘অতীতের কোনো সরকারই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিতে পারেনি। সাংবাদিকেরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেননি। বিশেষত বিগত সরকার সংবাদপত্রকে শত্রু হিসেবে দেখেছে।’
প্রণোদনার অভাব ও স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবি
নোয়াব সভাপতি ও সমকালের উদ্যোক্তা এ কে আজাদ বলেন, ‘করোনা মহামারির সময় সব শিল্প খাত প্রণোদনা পেলেও সংবাদপত্র শিল্পকে অবহেলিত রাখা হয়েছে। সম্পাদকদের স্বাধীনতার জন্য সংস্কার কমিশন সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করবে বলে আশা করি।’
আইনগত কাঠামো ও স্বাধীন সাংবাদিকতা
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ‘গণমাধ্যমের জন্য স্বাধীনতার পরিবেশ নেই। আইনি কাঠামো ও বাস্তব পরিস্থিতি সাংবাদিকদের জন্য প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
কমিশনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার আহ্বান
বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ সতর্ক করে বলেন, ‘কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যাতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনকে ব্যবহার করতে না পারে, সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে।’ একইসঙ্গে স্বাধীন সাংবাদিকতা নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
গণমাধ্যমের আধুনিকায়নের প্রস্তাব
নিউ এজের প্রকাশক শহিদুল্লাহ খান পত্রিকার মিডিয়া তালিকাভুক্তি পদ্ধতি পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দেন। তিনি প্রেস কাউন্সিলকে আধুনিকায়ন এবং নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার আহ্বান জানান।
কমিশনের প্রতিশ্রুতি
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, ‘কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের দ্বারা কমিশন প্রভাবিত হওয়ার সুযোগ নেই। অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে।’ তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ বেতার, টেলিভিশন ও সংবাদ সংস্থার স্বায়ত্তশাসনের নীতিমালা তৈরির জন্য কমিশন সকল পক্ষের মতামত নেবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, শামসুল হক জাহিদ, আখতার হোসেন খানসহ আরও অনেকে।
সংক্ষেপে: নোয়াবের মতবিনিময় সভায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, আইনি কাঠামো সংস্কার এবং সরকারের প্রভাবমুক্ত একটি স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানানো হয়।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।