facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর রবিবার, ২০২৪

Walton

চাঁদা তুলে লটারির টিকিট কিনে একসঙ্গে কোটিপতি ১১ নারী


২৯ জুলাই ২০২৩ শনিবার, ১০:১৬  এএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

শেয়ার বিজনেস24.কম


চাঁদা তুলে লটারির টিকিট কিনে একসঙ্গে কোটিপতি ১১ নারী

ভাগ্যের চাকা কার কখন ঘুরে যায় কেউ বলতে পারে না। প্রচলিত এই কথার এবার বাস্তব চিত্র দেখা গেল প্রতিবেশী দেশ ভারতে। বলছি ভারতের কেরালার একটি পৌরসভায় সামান্য বেতনের কাজ করা ১১ জন নারীর গল্প।

পর পর তিনবার লটারির টিকিট কিনেও ভাগ্যে জোটেনি কিছুই। তবুও আশায় বুক বেঁধেছিলেন তারা। চতুর্থবার সবাই মিলে চাঁদা দিয়ে ২৫০ রুপি খরচ করে কিনেছিলেন বাম্পার লটারির টিকিট। আর তাতেই রাতারাতি ভাগ্য বদলে গেল সবার। সেই টিকিটেই উঠল প্রথম পুরস্কার। পৌরসভায় সামান্য বেতনের কাজ করা ১১ জন নারী পেয়ে গেলেন ১০ কোটি রুপি।

কেরালার মলপ্পুরমের পারাপ্পানগাডি পৌরসভায় ‘হরিৎ কর্ম সেনা’ প্রকল্পে কাজ করেন মোট ৫৭ জন নারী। সামান্য বেতনে কোনো রকমে চলে সংসার। কিন্তু সুদিন ফেরানোর প্রবল ইচ্ছে ছিল তাদের।

কিন্তু লটারির টিকিটের যে বাজার মূল্য, তা একা কারও পক্ষে দেওয়া অসম্ভব। তাই নিজেরা চাঁদা দিয়ে একটি করে লটারির টিকিট কিনেছিলেন তারা। কিন্তু তিনবার চাঁদা তুলে লটারির টিকিট কিনলেও ওঠেনি কোনো পুরস্কার। তবুও থেমে থাকেনি তারা। আরও টিকিট কেনার কথা মনস্থির করলেন দলের ১১ জন নারী।

ঠিক যেমন ভাবা, তেমন কাজ। ২৫ রুপি করে দেন ৯ জন নারী। বাকি দুজন দেন সাড়ে ১২ রুপি করে। জমানো সেই ২৫০ রুপি দিয়ে তারা কিনে ফেলেন ‘মনসুন বাম্পার লটারির’ কাঙ্ক্ষিত একটি টিকিট। কিন্তু সেই এক টিকিটেই যে পুরস্কার উঠবে, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি রাধা, চন্দ্রিকা, বিন্দু, বেবিরা।

পারাপ্পানগাডির বাসিন্দা পার্বতী ওই ১১ জনের অন্যতম। তিনি জানান, একেবারেই পুরস্কার পাওয়ার কথা আশা করেননি। কারণ এর আগে তিনবার টাকা খরচ করেও পুরস্কার জোটেনি। এবার টিকিট কেনার পর শুনতে পান পালাক্কডের কোনো এজেন্সি থেকে নাকি প্রথম পুরস্কার উঠেছে। ফলে এবারও যে হল না তা বুঝে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফিরতেই পার্বতী শুনেন ভিন্ন খবর।

পুরস্কার পাওয়ার গল্প বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলে ছেলে জানায়, একটি ফোন এসেছিল। তাতে টিকিটের নম্বর জানিয়ে বলা হয় সেই টিকিটটি আমি কিনেছি কিনা। কারণ, সেই টিকিটেই পুরস্কার উঠেছে।’

এ ছাড়া লটারির টাকা ভাগ করা নিয়ে পার্বতীরা জানিয়েছেন, সবাই যখন নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী চাঁদা দিয়ে টিকিট কেনা হয়েছে, তখন পুরস্কারের টাকারও সমান ভাগ হবে।

কিন্তু কী করবেন পুরস্কারের টাকা দিয়ে? এমন প্রশ্নে তারা জানান, ‘ওই টাকাটা পেলে প্রথমে বাড়িটা মেরামত করব। তারপর বাচ্চাদের পড়াশোনার পেছনে খরচ। যা ধারদেনা আছে, সেটাও শোধ করব।’

লটারির টিকিটটি নিয়ে স্থানীয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে গিয়েছিলেন পার্বতীরা। সেখান থেকেই টাকা অনুমোদন হবে। নিয়মানুযায়ী করবাবদ কিছুটা অংশ কেটে তা তুলে দেওয়া হবে পুরস্কার প্রাপকদের হাতে।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: