২৫ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার, ১০:৫৭ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, এ চার খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ১,০৭৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাতে, ৩৮৯ কোটি টাকা। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয়েছে ২৫৪ কোটি, প্রকৌশল খাতে ২২৪ কোটি, আর ব্যাংক খাতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২০৬ কোটি টাকা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, কোম্পানিগুলোর প্রান্তিক আর্থিক প্রতিবেদন ঘিরে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে। পাশাপাশি, ১০ বছর মেয়াদি সরকারি বন্ডের ইল্ড কমে যাওয়ায় নীতিগত সুদহার আরও কমার সম্ভাবনায় বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে সক্রিয় হচ্ছেন।
সপ্তাহের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ৩৩ পয়েন্ট বা ০.৬৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৫,১৬৬ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৫,১৩৪ পয়েন্ট। বাজার মূলধনও বেড়ে হয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৫৮৭ কোটি টাকা, যা সপ্তাহের ব্যবধানে ৩,৬৪৭ কোটি টাকার বৃদ্ধি।
ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছে ২,০৬৩ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৭৩ কোটি টাকা বা ৯.১৫ শতাংশ বেশি। সপ্তাহজুড়ে গড় লেনদেন ছিল ৪১৩ কোটি টাকা, আগের সপ্তাহের ৩৭৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে গেছে ৩৫ কোটি টাকা।
লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত, যা মোট লেনদেনের ১৮.৮৯ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে ছিল বস্ত্র খাত (১২.৩২ শতাংশ), তৃতীয় স্থানে প্রকৌশল খাত (১০.৮৬ শতাংশ), এবং চতুর্থ স্থানে ব্যাংক খাত (৯.৯৯ শতাংশ)।
তথ্য ও প্রযুক্তি খাত ৮.৮৮ শতাংশ লেনদেন নিয়ে পঞ্চম স্থানে থাকলেও, এই খাতেই সবচেয়ে বেশি ৫.০৪ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এছাড়া বস্ত্র ও সিরামিক খাতেও যথাক্রমে ৩.৫৭ এবং ৩.৪২ শতাংশ রিটার্ন এসেছে।
বিদায়ী সপ্তাহে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সবচেয়ে বেশি ১.৬৩ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এছাড়া মিউচুয়াল ফান্ডে ০.৯৮ এবং জীবন বীমা খাতে ০.৭২ শতাংশ রিটার্ন ছিল নেতিবাচক।
উত্থানশীল বাজারে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে ব্র্যাক ব্যাংক, কোহিনূর কেমিক্যালস, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মা, এবং এডিএন টেলিকম।
বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও সুদূরপ্রসারী প্রত্যাশায় শেয়ারবাজার আরও গতিশীল হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।