
কোরবানির ঈদে সবারই মাংস কাটার ইচ্ছে জাগে, পেশাদার হোক আর অপেশাদার। আর এ শখের মৌসুমী কসাইদেরই আহত হয়ে আসতে হয় হাসপাতালে। তবে চিকিৎসক বললেন, বেশিরভাগই আহত হয়েছেন পশু জবাইয়ের সময় ছুরি ফঁসকে।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা মেলে ৬ জন আহত ব্যক্তির। তারা সকলেই মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। প্রতি ঘণ্টায়ই আসছেন এ ধরনের রোগী।
উত্তরখানের কাঠমিস্ত্রি আব্দুল মান্নানের বয়স ৬০ বছর। সকালে মাংস কাটার সময় ডান হাতের চাপাতি ফঁসকে বাম হাতের কব্জির ওপর পড়ে। রগ কাটা পড়ে ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয়। দ্রুত মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে চলে আসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সরকারি চাকরিজীবী শহীদুল্লাহ বকশীবাজারের বাসিন্দা। গরু জবাইয়ের সময় গলায় ধরেছিলেন তিনি। তবে গলার চামড়া টান টান করে ধরা হয়নি। পশু জবাই করা ছুরি পিছলে যেয়ে ডান হাতের কব্জিতে আঘাত হানে। অসতর্কতার জন্যে নিজেকেই দুষছেন তিনি।
পেশায় ছাত্র শোভন। সকালে গরু জবাইয়ের সময় পশুর পেছনে দাঁড়িয়েছিলেন। শক্ত করে ধরা হয়নি গরুকে। পা ছিটকে গরুর ক্ষুর আঘাত করে শোভনের পেটে। মারাত্মক জখম নিয়ে চকবাজার থেকে চলে আসেন হাসপাতালে।
সকাল থেকেই মৌসুমী কসাইরা আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে আসছেন বলে বাংলানিউজকে জানান কর্ত্যবরত চিকিৎসক ডা. হিমাদ্রি।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ মৌসুমী কসাইরাই মাংস কাটতে গিয়ে আহত হয়েছেন। ঝুঁকিপূর্ণ রোগী আসেননি এখনো। সকাল থেকে দেড় শতাধিক রোগী এসেছেন। ড্রেসিং, ব্যান্ডেজ ও প্রয়োজনে সেলাই দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
হাত থেকে ছুরি ফঁসকে আহত হয়েছেন অনেকে। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগী জবাইয়ের সময় হুজুরের ছুরি পিছলে আহত হয়েছেন বলেও জানান হিমাদ্রী।
শেয়ার বিজনেস24.কম