২৬ নভেম্বর ২০২৩ রবিবার, ১০:০৫ এএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে হামাস-ইসরায়েল বন্দিবিনিময় চুক্তি। জিম্মিদের মুক্তিতে নতুন শর্ত জুড়ে দেওয়ায় এ অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। রোববার (২৬ নভেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার হামাসের সামরিক শাখা জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফার জিম্মিদের বিনিময় দেরি হতে পারে। গাজার উত্তরাঞ্চলে যতক্ষণ না ত্রাণ সহায়তার ট্রাক ঢুকতে দেবে ততক্ষণ তারা জিম্মিদের মুক্তি দেবে না।
সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছে, ইসরায়েল যতক্ষণ এ শর্তের সাথে একমত না হবে ততক্ষণ ফিলিস্তিনের কারাগার থেকে জিম্মিদের ছাড়া হবে না।
এর জবাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ফ্রান্সের টেলিভিশন বিএফএমকে বলেন, তারা যুদ্ধবিরতিকে পুরোপুরি সম্মান করেন। লেবাননে হামাসের প্রতিনিধি ওসামা হামাদান দেশটির রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেল আল মায়াদিনকে বলেন, গাজায় ত্রাণ প্রবেশের জন্য ইসরায়েলের করা যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ হওয়ায় জিম্মিদের মুক্তি বিলম্ব হতে পারে। এ ছাড়া বিরতির সময় ইসরায়েলের গোলাগুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়েছে। এগুলোর কিছু আজ আর কিছু গতকাল ঘটেছে।
টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তির আওতায় গাজায় প্রতিদিন ২০০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের শর্ত ছিল। শর্ত মেনে এসব ট্রাক প্রবেশ করতে দিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া গাজার উত্তরাঞ্চলেও ত্রাণের ৫০টি ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। তবে হামাসের দাবি, চুক্তি অনুযায়ী শর্ত মানেনি ইসরায়েল।
এর আগেও শর্ত দনা মানার অভিযোগ করেছিল হামাস। দলটির জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা তাহের আল-নোনো বলেছিলেন, বন্দিদের মুক্তির ব্যাপারে দুই পক্ষের মধ্যকার চুক্তির শর্ত মানছে না ইসরায়েল। হামাস যেভাবে বা যাদের মুক্তির কথা বলেছিল, ইসরায়েল সেভাবে করছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
হামাসের এমন শর্তারোপের ফলে জিম্মি ও আটকদের মুক্তি বিলম্বিত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।