১৩ নভেম্বর ২০২৩ সোমবার, ১১:১৮ এএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সংঘাতে সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম প্রত্যাশার চেয়ে বেড়েছে। এটা অব্যাহত থাকলে ২০২৪ সালের বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি দেখা দেবে। মার্কিন ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ফিচ রেটিংস এ পূর্বাভাস দিয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ফিচ রেটিংস জানায়, ২০২৪ সালের বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কমবে। এছাড়া ২০২৫ সালের জিডিপি শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কমবে। ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা না থাকায় এ অভিঘাত অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। ফিচের সেপ্টেম্বরের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের বর্তমান মূল্য হওয়ার কথা ৭৫ ডলার। এটা ২০২৪ ও ২০২৫ সালে হওয়ার কথা প্রতি ব্যারেল ৭০ ডলার।
ফিচ জানায়, সংস্থাটি অক্সফোর্ডের অর্থনীতিবিদদের তৈরি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মডেল ব্যবহার করেছে। এর মাধ্যমে ২০২৪-২৫ সালে জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্যের প্রভাব প্রক্ষেপণ করা হয়েছে। এ হিসাব বলছে যে সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় ২০২৪ সালে জ্বালানি তেলের গড় মূল্য ব্যারেলপ্রতি ১২০ ডলার এবং ২০২৫ সালে ১০০ ডলার হবে।
৭ অক্টোবরে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে জ্বালানি তেলের মূল্য ছিল প্রতি ব্যারেল ৮২ ডলার। যেখানে নভেম্বরে ব্যারেলপ্রতি মূল্য ধরা হচ্ছে ৮৭ ডলার। ব্যারেলপ্রতি দাম এরই মধ্যে ৯৪ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল। ফিচের কর্মকর্তারা জানান, জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য ২০টি দেশের অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। যদিও এর প্রভাব অনুধাবন করা যাবে ২০২৫ সালে।
ফিচের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘২০২৫ সালের প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হলে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে। যদি অধিকাংশ দেশের জিডিপির সূচক ক্ষতিগ্রস্ত হয়, প্রবৃদ্ধি আক্রান্ত হবে। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি হবে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও তুরস্কের প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৭ শতাংশে নেমে আসতে পারে। তবে রাশিয়া ও ব্রাজিলের মতো দেশ এক্ষেত্রে লাভবান হতে পারে। কারণ এ দুটি দেশ জ্বালানি তেল উৎপাদন করে।’
ফিচ জানায়, জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য ২০২৪ সালে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি তৈরি করবে। এটা ২০২৫ সালেও অব্যাহত থাকবে। তুরস্কের জন্য সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এর পর ক্রমান্বয়ে ভারত ও পোল্যান্ড রয়েছে। ভারত ও পোল্যান্ডের মূল্যস্ফীতির আকার হবে অনেক বড়।
ফিচ এক বিবৃতিতে জানায়, মধ্যপ্রাচ্য সংঘাত জ্বালানি তেলের বাজারে যে আঘাত হেনেছে তা অর্থনীতিকে সংকুচিত করবে। ব্যবসা-বাণিজ্য কমবে। ভোক্তার মনোবল ভেঙে যাবে। পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।