৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ সোমবার, ০৯:৪৯ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
পাঁচ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাজারে কিছুটা চাঙা ভাব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই আশা ক্ষণস্থায়ী হয়, এবং অক্টোবরে সূচক ৪,৮৯৮ পয়েন্টে পৌঁছে ৪ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে আসে। এই ধস অনেক বিনিয়োগকারীকে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব করে তোলে।
২০২৪ সালে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহে বড় ধাক্কা খেয়েছে দেশ। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে মাত্র ৬টি কোম্পানি ও দুটি ব্যাংক মূলধন সংগ্রহ করে, যা ছিল আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২৫% কম। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আইপিওর অভাবে শেয়ারবাজার আরও পিছিয়ে পড়ছে।
২০২৪ সালে ১২টি কোম্পানির শেয়ার কারসাজির জন্য ৭২২ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। তবে বাজারে সুশাসন ও স্বচ্ছতা আনতে বিএসইসি কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে, যার মধ্যে কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অন্যতম।
ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) শেয়ারবাজারে তারল্য বৃদ্ধির জন্য ৩,০০০ কোটি টাকার তহবিল পাচ্ছে, যা বিনিয়োগকারীদের নতুন আশার সঞ্চার করেছে। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০২৫ সালে বাজারে ইতিবাচক ধারা ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।
শেয়ারবাজারের এই টালমাটাল পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে ভালো কোম্পানির তালিকাভুক্তি, সুশাসন এবং নীতিগত সমাধানের প্রয়োজনীয়তা বিশেষজ্ঞরা বারবার তুলে ধরছেন। বিনিয়োগকারীরা আগামী বছর বাজার থেকে ভালো কিছু আশা করছেন, কিন্তু সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এখনই।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।