২১ মার্চ ২০২৫ শুক্রবার, ০৫:২৮ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
ভালুকায় ৩৬ বিঘা জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এই কারখানাটি পরিচালনার বিভিন্ন সমস্যার কারণে গ্লোরি গ্রুপ এটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে দর-কষাকষির পর ডিবিএল গ্রুপ কারখানাটি কেনার চুক্তি সম্পন্ন করে এবং গত সোমবার গ্লোরি গ্রুপ আনুষ্ঠানিকভাবে মালিকানা হস্তান্তর করে।
ডিবিএল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এম এ রহিম জানিয়েছেন, গ্লোরি টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলস একটি নিট কম্পোজিট কারখানা, যেখানে ৩৬টি পোশাক উৎপাদন লাইন, নিটিং, ডায়িং, প্রিন্টিং ও এমব্রয়ডারি ইউনিট রয়েছে। ডিবিএল গ্রুপ এখানে নিট পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানি করবে।
গ্লোরি গ্রুপের মালিকানায় থাকা অবস্থায় ১,১০০ জন কর্মী এখানে কাজ করতেন। ডিবিএল গ্রুপ এই কর্মীদের নিয়েই কারখানার কার্যক্রম শুরু করবে, তবে নতুন শ্রমিকও নিয়োগ দেওয়া হবে। পরিপূর্ণ উৎপাদন শুরু হলে এখানে প্রায় ৫,০০০ শ্রমিক কাজের সুযোগ পাবে।
ডিবিএল গ্রুপের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই কারখানায় প্রথম বছরে ৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করা হবে, এবং পরবর্তী বছরে এটি ১০ কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে।
গ্লোরি গ্রুপের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান শেখ জানিয়েছেন, ২০২১ সালে তারা রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করলেও বিভিন্ন কারণে কারখানাটি ঠিকমতো পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। সে কারণেই কারখানাটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গ্লোরি গ্রুপ এই কারখানা বিক্রি করলেও তারা এখনো নির্মাণ, বিদ্যুৎ খুঁটি, পাট ও সুতার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
ডিবিএল গ্রুপ তিন দশক আগে যুক্তরাজ্যে ৩,০০০ পিস পোলো শার্ট রপ্তানির মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের পঞ্চম শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৬ কোটি ১৭ লাখ ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে।
ডিবিএল গ্রুপ ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার ৫৮টি দেশে পোশাক রপ্তানি করে। তাদের হাত ধরেই বাংলাদেশে নাইকি, অ্যাডিডাস ও পুমার মতো বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ডের পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে।
শুধু তৈরি পোশাক খাতেই নয়, ডিবিএল গ্রুপ টেক্সটাইল, ওয়াশিং, প্যাকেজিং, সিরামিক টাইলস, তথ্যপ্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ, ড্রেজিং ও ওষুধ শিল্পেও ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছে। তাদের অধীনে বর্তমানে ২৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং প্রায় ৪৭,০০০ কর্মী কাজ করছেন।
গত সোমবার ডিবিএল গ্রুপের করপোরেট কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্লোরি টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলসের মালিকানা হস্তান্তর করা হয়। এতে ডিবিএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ জব্বার, ভাইস চেয়ারম্যান এম এ রহিম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ কাদেরসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভাইস চেয়ারম্যান এম এ রহিম জানিয়েছেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তৈরি পোশাকের ভালো ক্রয়াদেশ রয়েছে। ফলে ডিবিএল গ্রুপ চলতি অর্থবছরে ৬০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
এই নতুন কারখানা অধিগ্রহণ ডিবিএল গ্রুপের বাজার দখল আরও শক্তিশালী করবে এবং দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।