২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার, ১০:৪৫ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
প্রায় দুই বছর পর বাংলাদেশের জাহাজ রপ্তানি শিল্পে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে। আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘রায়ান’ নামের একটি ল্যান্ডিং ক্রাফট জাহাজ রপ্তানি করবে।
বাংলাদেশ থেকে সর্বশেষ জাহাজ রপ্তানি হয়েছিল ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে। দীর্ঘ বিরতির পর ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড আবার নতুন করে রপ্তানির দ্বার উন্মোচন করছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, একই ক্রেতার কাছে পর্যায়ক্রমে আরও সাতটি জাহাজ রপ্তানি করবে তারা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুসারে, ওয়েস্টার্ন মেরিন সর্বশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ১ কোটি ১০ লাখ ডলারের দুটি জাহাজ ভারতে রপ্তানি করেছিল। পাঁচ বছর পর প্রতিষ্ঠানটি আবার আন্তর্জাতিক বাজারে ফিরল।
ওয়েস্টার্ন মেরিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান বলেছেন, “জাহাজ রপ্তানিতে যে খরা ছিল, তা দীর্ঘদিন পর কাটতে যাচ্ছে। বৈশ্বিক মন্দা কেটে যাওয়ার সাথে জাহাজ নির্মাণ খাতে নতুন অর্ডার আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।”
২০০৮ সালে প্রথমবার জাহাজ রপ্তানি করে বাংলাদেশের শিপইয়ার্ডগুলো আলোচনায় আসে। তবে ২০১১ সালের পর বৈশ্বিক মন্দা ও পরবর্তীতে করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব এই খাতকে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত করে।
আনন্দ শিপইয়ার্ডের নির্বাহী পরিচালক তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, “সম্প্রতি তুরস্কের ক্রেতারা আমাদের ইয়ার্ড পরিদর্শন করেছেন। অর্থায়ন নিশ্চিত হলে আমরা নির্মাণাধীন জাহাজগুলোর কাজ শেষ করে রপ্তানি করতে পারব।”
২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে মোট ৪৫টি জাহাজ ও জলযান রপ্তানি হয়েছে, যার মধ্যে ১৯টি সমুদ্রগামী জাহাজ। রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।
বহুমুখী প্রতিকূলতা কাটিয়ে বাংলাদেশ আবারও আন্তর্জাতিক জাহাজ নির্মাণ ও রপ্তানির ক্ষেত্রে নিজের জায়গা ফিরে পাওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।