facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর শনিবার, ২০২৪

Walton

দেশে ১২০৫টি হাসপাতাল নিবন্ধনহীন


৩০ জানুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার, ১১:৩৯  পিএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


দেশে ১২০৫টি হাসপাতাল নিবন্ধনহীন

সারা দেশে ১ হাজার ২০৫টি নিবন্ধনহীন হাসপাতালের সন্ধান পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসব হাসপাতালের মধ্যে ৭৩১টির কার্যক্রম ইতোমধ্যে স্থগিত করা হয়েছে। ১৫ থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা দেশে অভিযান চালিয়ে এ তথ্য পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে এ-সংক্রান্ত কাগজপত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খৎনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনার পর জানা যায়, চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনায় ওই হাসপাতালের নিবন্ধন ছিল না। এমনকি তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এ-সংক্রান্ত কোনো আবেদন না করেই কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। বিষয়টি জানার পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সারা দেশে অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতালের তালিকা করতে নির্দেশ দেন।

মন্ত্রীর নির্দেশের পর ১৫ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান দেশের সব বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনের কাছে চিঠি দেন। চিঠিতে নিজ নিজ এলাকার নিবন্ধনহীন বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংকের তালিকা সাত কর্মদিবসের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়।

সূত্র আরও জানিয়েছে, ১৮ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক দেশের সব বিভাগীয় পরিচালক, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়ে তাদের নিজ নিজ এলাকায় লাইসেন্সবিহীন/অবৈধ সব বেসরকারি হাসপাতাল/ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ব্লাড ব্যাংক বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে বন্ধের তালিকা বিভাগীয় পরিচালকের মাধ্যমে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, উপজেলা পর্যায়ের প্রায় ৬০ শতাংশ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিবন্ধনহীন। সিভিল সার্জনদের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা হাসপাতাল নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তাই, সিভিল সার্জন অফিসে কেউ আবেদন না করলে কোথায় কোন ক্লিনিক গড়ে উঠেছে, সেটি অজানাই থেকে যায়।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেছেন, এর আগে আমি একবার সারা দেশের লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করি। তার পর সবাই লাইসেন্স নিতে বাধ্য হয়। আবার এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

এদিকে, লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক, হাসপাতাল বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। দেশব্যাপী লাইসেন্সবিহীন মেডিক্যাল, ক্লিনিক এবং চিকিৎসাজনিত অবহেলায় ক্ষতিগ্রস্ত, আহত, মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে এই নোটিস পাঠানো হয়। অ্যাডভোকেট রায়হান গাজী গতকাল সোমবার এই নোটিস পাঠান।

লিগ্যাল নোটিসে বলা হয়, সম্প্রতি ঢাকা শহরসহ সারা দেশের জেলা, উপজেলা, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল চিকিৎসা বিষয়ের সনদ ছাড়া অর্থাৎ লাইসেন্সবিহীন নামধারী ভুয়া হাতুড়ে ডাক্তার, অদক্ষ নার্স, স্টাফসহ লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক, ভুয়া চেম্বারে সাধারণ সেবাপ্রত্যাশী মধ্যবিত্ত, দরিদ্র অসহায় সহজ, সরল, ব্যক্তিরা চিকিৎসাসেবা নিতে গিয়ে ব্যাপক শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে লিগ্যাল নোটিস পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষকে লাইসেন্সবিহীন ভুয়া ডাক্তার, অদক্ষ নার্স, স্টাফ, লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক বন্ধ এবং আদালত ও অন্যান্য প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় দেশের প্রচলিত আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিসে উল্লেখ করা হয়।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: