১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ বৃহস্পতিবার, ০১:০৮ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
এই ঘটনার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নগদের কঠোর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন। ইতোমধ্যে ৪১ পরিবেশক, ২৪ হাজার ৯৭ এজেন্ট এবং ৬৪৩ জন বিক্রয় কর্মকর্তা বরখাস্ত হয়েছেন। একইসঙ্গে ৩ হাজার ৮৩১টি মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট বাতিল করা হয়েছে।
২০১৭ সালে ডাক অধিদপ্তর ও থার্ড ওয়েভ টেকনোলজির চুক্তি অনুযায়ী, ব্যাংকে জমা টাকার সমপরিমাণ ই-মানি ইস্যু করার কথা ছিল। তবে তদন্তে উঠে এসেছে— ৬৪৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত ই-মানি ইস্যু করা হয়েছে। তাছাড়া অনুমোদনহীনভাবে ৪১ পরিবেশকের মাধ্যমে ১ হাজার ৭১১ কোটি টাকা বের করা হয়, যার মূল দায়িত্ব ছিল সরকারি ভাতা বিতরণ।
বিশেষ করে যেসব ভাতাভোগী টাকা উত্তোলন করেননি, সেই টাকাও তুলে নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় নগদের শীর্ষ পর্যায়ের ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে প্রশাসন।
নগদের যাত্রা শুরু হয় ২০১৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেবার উদ্বোধন করেন। প্রথম থেকেই প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতার কারণে নগদ একচ্ছত্র সুবিধা ভোগ করে। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, গত ২১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশাসক নিয়োগ দেয়।
নগদে সংঘটিত অনিয়ম টাকার পরিমাণে দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল আর্থিক জালিয়াতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাই নগদে ফরেনসিক নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ মাধ্যমে জালিয়াতির পরিমাণ এবং সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পরেও নগদের লেনদেন বাড়ছে। আগস্টে দৈনিক লেনদেন ছিল ৭৪৩ কোটি টাকা। তা সেপ্টেম্বরে বেড়ে ৮০৬ কোটি, অক্টোবরে ৮৭১ কোটি এবং নভেম্বরে ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে গ্রাহকের স্বার্থ সুরক্ষিত হয়েছে এবং সাড়ে ৯ কোটির বেশি গ্রাহক এখন নগদের সেবায় যুক্ত আছেন।
নগদের এ ঘটনায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট মহল।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।