০৬ ডিসেম্বর ২০২৪ শুক্রবার, ১২:৩৯ পিএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
নায়াগ্রার পথে বব মার্লির সুর
নিউইয়র্কের ম্যানহাটান থেকে মধ্যরাতের বাসে চেপে শুরু হলো নায়াগ্রার পথে যাত্রা। দীর্ঘপথের সঙ্গী বব মার্লির বিখ্যাত গান ‘বাফেলো সোলজার’, যা নব্বইয়ের দশকে তরুণদের হৃদয়ে গেঁথে ছিল। গন্তব্য বাফেলো শহর, যা নায়াগ্রা ফলসের ঠিক পাশেই। সাত ঘণ্টার বাসযাত্রার পর সূর্যোদয়ের আগমুহূর্তে পৌঁছাই বাফেলোতে।
গন্তব্যের কাছে আসার সঙ্গে সঙ্গে কানে ভেসে আসে জলোপ্রপাতের মন্ত্রমুগ্ধ করা শব্দ। আরিফ হোসেন, বাফেলোর স্থায়ী বাসিন্দা এবং এক সময়ের ক্রীড়া সাংবাদিক, আমার যাত্রার সঙ্গী হলেন। সাদা গাড়ি নিয়ে তিনি হাজির হন নাস্তা আর পথনির্দেশনা নিয়ে। তার সহযোগিতা ভ্রমণটিকে আরও মধুর করে তোলে।
স্টেট পার্কের ভেতর দিয়ে নায়াগ্রার জলোপ্রপাতের কাছে যেতেই দেখা মেলে অপূর্ব এক দৃশ্যের। স্বচ্ছ জলরাশির গিরিখাদে ঝাঁপিয়ে পড়া, দূর থেকে ওয়াটার বাসে ভ্রমণরত পর্যটকদের দৃশ্য-সবই যেন মনের ভেতর আনন্দের ঢেউ তোলে।
জলোপ্রপাতের সৌন্দর্য অবলোকনের মাঝেই মনে হলো ওয়াটার বাসে না উঠলে কিছুটা অপূর্ণতা থেকে যাবে। দ্বিধা কাটিয়ে উঠে পড়ি ওয়াটার বাসে। জীবনের এই মুহূর্তটিকে ধরে রাখতে ছবি তুলতে ভুল করিনি।
কানাডা থেকে পাড়ি দিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে এলেন জাতীয় দলের সাবেক পেসার মফিজুর রহমান মুন্না। তার সঙ্গে ঘুরে বেড়াই দ্বীপে, যেখানে প্রকৃতির সঙ্গীতের সুর সারাক্ষণ বাজতে থাকে।
সন্ধ্যায় মুন্না ভাই বিদায় নেন কানাডার ঠিকানায়। আরিফ ভাইয়ের সঙ্গে শেষবারের মতো ছবি তুলে সেই মধুর দিনের ইতি টানি।
চেনা পরিচিতদের ফেসবুকে নায়াগ্রার ছবি দেখতাম আর ভাবতাম, কোনোদিন কি দেখার সুযোগ হবে? প্রভুর কৃপায় সেই স্বপ্ন সত্যি হলো। আজ নায়াগ্রার সৌন্দর্য মনের অ্যালবামে গেঁথে নিয়ে আমি ফিরে আসছি।
প্রকৃতি, সঙ্গী এবং ভ্রমণজীবনের এমন মুহূর্তে মনে হয়, স্মৃতি গাঁথা গল্পই সবচেয়ে বড় উপহার।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।