২৫ জানুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার, ১০:০৫ এএম
অজিত কুমার মহলদার
শেয়ার বিজনেস24.কম
দুর্নীতি বিরোধী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া ট্র্যাকিং’ এই শিরোনামে তাদের কথিত গবেষণা প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা বিস্তর অভিযোগ করছে, যা অবান্তর। এক কথায় বলা যায়, ‘পাগলপ্রায় প্রতিষ্ঠানের প্রলাপ’। ট্র্যাকিং শব্দ নিয়ে কি বলা আছে বিভিন্ন অভিধান, শব্দকোষ, শব্দপঞ্জিতে (Dictionary), তা আমরা একটু পরোখ করি।
https://dictionary.cambridge.org -তে বলা হয়েছে, একই ধরণের ক্ষমতা সম্পন্ন ছাত্রদের একটি গোষ্ঠীতে রাখা এবং তাদের একসাথে শেখানোর কাজ। কিছু লোক ট্র্যাকিং আপত্তি করে কারণ এটি বুদ্ধিমান শিশুদের জন্য একটি অন্যায্য সুবিধা দেয়। https://www.dictionary.com- এ বলা হচ্ছে, ‘কিছু বা কাউকে অনুসরণ করার কাজ বা প্রক্রিয়া’। অমরকোষে ‘প্রক্রিয়া’ সম্পর্কে বলা আছে, সেই ক্রিয়া বা প্রণালী যার থেকে কোনো বস্তু হয়, তৈরী হয় বা বের হয়। কথিত গবেষণায় প্রক্রিয়া ও ট্র্যাকিং শব্দদ্বয় গোলপাঁকানো মনে হচ্ছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেয়নি টিআইবি। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে সার্বিক মন্তব্য ও পর্যবেক্ষণ দিয়েছে সংস্থাটি। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন স্বাধীন গোষ্ঠী, সংস্থা ও দেশকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন-ইসি। তখন টিআইবি অন্তর্ভূক্ত হয়নি।
জাপানসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশ ও সংস্থা নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল পাঠায়। এসব পর্যবেক্ষক দল ভোটের দিন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখে। ভোটার এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও কথা বলেন পর্যবেক্ষকরা। নির্বাচন শেষে নিজেদের পর্যবেক্ষণ পেশ করেছেন তারা।
প্রায় ২০টির বেশি বিদেশী সংস্থা ও রাষ্ট্রর পক্ষ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তারা বলছে, নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ কিছুটা কম হলেও নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। এমনকি নির্বাচন শেষে পুনরায় বিজয়ী হওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে জাপান, সুইজারল্যান্ড, ইতালি, কমনওয়েলথ প্রধানসহ বিভিন্ন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
এমন অবস্থার মধ্যে হঠাৎ করেই সংবাদ সম্মেলন করে টিআইবি নির্বাচন নিয়ে অহেতুক প্রশ্ন ছুঁড়েছে। এটা কতিপয় মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ। টিআইবি তাদের তথাকথিত গবেষণায় কল্পিত তথ্যসূত্র ও পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে। টিআইবি একতরফা মত প্রকাশ করেছে। এই মত গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। রাজনীতিবিদদের জন্য সম্মান হানিকর।
এবারের নির্বাচনে মোট ৯৬টি পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান ভোটের পরিবেশ নিরীক্ষণ করতে চেয়েছিল, এর মধ্যে ৮৪টি প্রতিষ্ঠান নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে। মোট ২০ হাজার ৭৭৩ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর মধ্যে ১২৭ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন। এতো বিপুল সংখ্যক পর্যবেক্ষক অংশ নিলেও টিআইবি এই প্রক্রিয়ায় শামিল হয়নি। ইসিতে নিবন্ধিত সাতষট্টিটি স্থানীয় পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান, এর মধ্যে টিআবি নেই।
নির্বাচনে সারাদেশে ৩শ’ আসনে সর্বমোট এমপি প্রার্থী ছিলেন এক হাজার ৯৭৯ জন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ছিলেন এক হাজার ৫৩৩ জন, যার হার ৭৮ শতাংশ। আর ২২ শতাংশের অধিক ৪৪৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। এতেই বুঝা যায় নির্বাচন সম্পূর্ণ অংশগ্রহণমূলক-প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে।
টিআইবি তিনশ’ আসনের মধ্যে মাত্র ৫০টি আসন নিয়ে কথিত গবেষণা করেছে। ১৪৯ জন এমপি প্রার্থীর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছে। অথচ এমপি প্রার্থী ছিলেন প্রায় দুই হাজার।
উন্নত বিশে^র মতো বিশেষ করে প¦ার্শবর্তী দেশ ভারতের মতো একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন রয়েছে বাংলাদেশে। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ স্বাধীন সাংবিধানিক। এটি স্বয়ংসম্পূর্ণ। সরকারের সহযোগিতা নিলেও এটি কারো কাছে আজ্ঞাবহ নয়। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই সকল কার্য নিবার্হ করে সরকার। সরকার বহাল থাকলেও নতুন কোনো প্রকল্প বা কার্য করে না সরকার। শুধু দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করে সরকার। তাই প্রধানমন্ত্রী স্বপদে বহাল থাকলেও নির্বাচন কমিশন তার আদেশ-নির্দেশ শুনতে বাধ্য নয়।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন যে একটি বলিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, তার উদাহরণ নির্বাচনী সময়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের লঘু অপরাধে দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দণ্ড-জরিমানা করা। ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন প্রার্থীকে ৭৪৬টি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে ইসি। অপেক্ষাকৃত তাৎপর্যহীন আচরণবিধি লঙ্ঘনের ৬১টি মামলা নিষ্পত্তি ও দণ্ড দিয়েছে ইসি। প্রতিযোগিতামূলক করার উদ্দেশ্যে এই সব কার্যক্রম চালিয়েছে ইসি। এছাড়াও অনেক প্রার্থী সর্বোচ্চ আদালতে মামলা লড়ে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন, অনেকের বাতিল হয়েছে। এসব কার্যক্রমই হচ্ছে নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হওয়ার লক্ষণ।
ইসির তথ্যমতে, সারাদেশে প্রায় সাড়ে সাত লাখ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিলেন। এছাড়া সরকারি- বেসরকারি পর্যায়ের নয় লাখ ১০ হাজারের মতো কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিলেন। প্রায় ১৫শ’ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত ছিলেন। নির্বাচন যেন সুষ্ঠু, অবাদ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হয়, সে লক্ষ্যে এই বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়োজিত ছিল। এ কারণেই এবারের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে, কোনো সংঘাত হয়নি। নির্বাচনের দিন প্রাণহানি এক্কেবারে শূণ্যের কোটায় ছিল বলে, বলা যায়।
২৪১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি-এমন অভিযোগ করলেও ভারত, রাশিয়া ও চীন বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাপনাকে স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল আখ্যা দিয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছে টিআইবি। কথিত গবেষণার সারসংক্ষেপের ২২ পৃষ্ঠার ওপরের অংশে বিষয়টি স্বীকার করেছে।
এদিকে সাত জানুয়ারির ভোটের আগে সন্ত্রাসী দল বিএনপি ভোটারদের ভোট বর্জনের আহ্বান জানায়। ভয়ভীতি দেখায়। ভোট না দিতে হুমকি প্রদান করে। গেল বছর ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে পুলিশের ওপর বর্বর হামলা চালায় বিএনপির সন্ত্রাসীরা। একজন পুলিশ নিহত হন। পরে ট্রেনে আগুন দিয়ে গাজীপুর-ঢাকায় অন্তত্য আট জনকে হত্যা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। সারাদেশে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সম্পর্কেও কোনো মন্তব্য করেনি টিআইবি।
২০১৩ সালেও ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায় বিএনপি-জামাতী সন্ত্রাসীরা। যানবাহনে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে। শতাধিক মানুষকে হত্যা করে। হাজার হাজার মানুষকে আহত করে। সরকারি কার্যালয় জ¦ালিয়ে দেয়। সর্বজনীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- স্কুল-কলেজে আগুন জ¦ালিয়ে ধ্বংস করে। গাছ কেটে ফেলে রাস্তা অবরোধ করে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরীহ সদস্যদের হত্যা করে। তখনও এই পশ্চিমা দালালী সংস্থা টিআইবি মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিল।
টিআইবির ২১ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনের দিন ৬টি জেলায় সহিংসতা হয় এবং ১ জন নিহত হয়’। এতেই অনুধাবন করা যায়, সারাদেশের ৬৪টি জেলার মাত্র ছয় জেলায় গণ্ডগোল হয়েছে, একজন মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, তবে এটা নঘণ্য হলেও কাম্য নয়। আমরা চাই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হোক। বাংলাদেশের স্থলসীমান্ত আছে দুটি দেশের সঙ্গে, মিয়ানমার ও ভারতের। মিয়ানমারে প্রতিদিন নাগরিক মরছে, আর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বিগত বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে। যদিও ভারতে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন রয়েছে। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জো বাইডেন- ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনে ক্যাপিটাল হিলে হামলা হয়েছে। মানুষ মরেছে। টিআইবি তখন উষ্মাও প্রকাশ করেনি। বরং নতমস্তকে স্বীকার করে নিলো, ভোটের দিন বিএনপি হরতাল ডেকেছিল; কিন্তু তারা এর প্রতিবাদ করেনি। সকল জনগণকে ভোটকেন্দ্রে না যেতে আহ্বান জানিয়েছিল বিএনপি; এটা তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়।
এ নির্বাচন একপাক্ষিক, পাতানো নয়। বরং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, অবাধ ও অন্তর্ভূক্তিমূলক। ইসিতে নিবন্ধিত ৪৪ দলের মধ্যে ভোটে অংশ নেয় ২৮টি রাজনৈতিক দল। নির্বাচিনকালীন সরকার ইস্যুতে বিএনপি অনড় অবস্থানে ছিল। সংলাপ করার জন্য ইসি আমন্ত্রণ জানালেও যায়নি বিএনপি। এর আগের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংলাপে বসেছিল বিএনপির সাথে। এমনকি খালেদা জিয়ার সাথে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোনে কথা বলেছিলেন। কিন্তু বিএনপি তখন সঠিক সাড়া দেয়নি। সংবিধান অনুসারে দেশে গণতান্ত্রিক জিম্মিদশা নেই। কারণ সংসদ ও সরকার বহাল রেখেই নির্বাচন করার বিধান রয়েছে সংবিধানে। যদি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন চিরকাল প্রশ্নবিদ্ধ থাকে তাহলে ছিয়ানব্বইয়ের ফেব্রুয়ারির একতরফা নির্বাচন আরও সাংঘাতিক ক্ষতিকর বটে।
বর্তমানে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত, দুর্নীতি অনেকাংশে কমেছে। বরং বিএনপি পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তারেক জিয়ার হাওয়া ভবনের কথা সকলের স্মরণ আছে। আওয়ামী লীগের এরকম নজির নেই।
টিআইবি রাজনৈতিক দলগুলোর সরকার ও ইসির প্রতি আস্থা সৃষ্টির জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন, ইভিএমের প্রতি আস্থা তৈরি, অর্থ ও পেশীশক্তির নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার সুপারিশ করেছে। এছাড়াও সকল রাজনৈতিক দল কর্তৃক নির্বাচনী আচরণবিধি অনুসরণ, নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে বিপক্ষ-প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী-সমর্থক-পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক কোনো রকমের বাধার সম্মুখীন না হওয়া, জালভোট-ভোটকেন্দ্র দখল-ব্যালট ছিনতাই রোধ, প্রার্থী-এজেন্ট ও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে অবাধ আগমন, পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীকে ভোট প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি, নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষণ প্রদান, পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিতকরণ, পর্যাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত এবং নিরপেক্ষ দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষক নিয়োজিত করার দাবি তুলেছে টিআইবি। কিন্তু এগুলোর সব পূরণ করেছে ইসি ও সরকার। পর্যাপ্ত হাকিম ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল। ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএমে নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেছে ইসি। আওয়ামী লীগ আমলে ইসির অধীনে ইভিএম ব্যবহার হয়েছে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে, এতে জয় পেয়েছে বিএনপি। উপজেলা, পৌর, ইউপি নির্বাচনেও ইভিএম ব্যবহৃত হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়াই অধিকাংশ দল ইভিএমের বিপক্ষে ছিল, তাই ইভিএম নেই। বিপুল সংখ্যায় নিরাপত্তা সদস্য ও হাকিমের উপস্থিতি ছিল বলেই অর্থ ও পেশীশক্তি নিয়ন্ত্রিত হয়েছে।
জালভোট, ভোটকেন্দ্র দখল ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা নঘণ্য ঘটেছে। ভোটকেন্দ্র থেকে প্রার্থী ও এজেন্ট বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। এসব বিষয় যদি ঘটত তাহলে বিদেশি দেশগুলো নির্বাচনকে স্বাগত জানাতো না। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাতো না। নির্বাচন যে শতভাগ সফল হয়েছে, অবাদ ও নিরপেক্ষ হয়েছে, তা হলফ করেই বলা যায়।
এছাড়া বহুল আলোচিত ইংরেজি দৈনিক দি ডেইলি স্টার ও বাংলা খবরের কাগজ প্রথম আলো ২৪১ আসনে কম প্রতিদ্বন্দ্বিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে বলে দাবি করছে। কিন্তু তারা একথা বলছে না যে, এবারের নির্র্বাচনে হত্যাযজ্ঞ হয়নি। মারামারি হয়নি। অর্থের ঝণঝণানি হয়নি।
লেখক: প্রাক্তন নির্বাহী সদস্য; ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, [email protected]
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।