facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর শনিবার, ২০২৪

Walton

পুঁজিবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ছয় খবর (আপডেট)


২১ ডিসেম্বর ২০২৪ শনিবার, ১১:০৩  এএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


পুঁজিবাজারের গুরুত্বপূর্ণ ছয় খবর (আপডেট)

ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো ৬ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে ( ১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর) দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থানের মধ্যদিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ৬ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা। তবে আলোচ্য সময়ে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

ডিএসইর সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫৯ হাজার ২০৫ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১ দশমিক ০৩ শতাংশ বা ৬ হাজার ৭০৯ কোটি টাকা।

চলতি সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১১৬ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২৭ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৫৬ দশমিক ৪ পয়েন্ট বা ৩ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ২৭ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৪০ শতাংশ।

বাজার মূলধন ও সূচক বাড়লেও ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৯২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬১০ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ১১৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।

এদিকে, চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৭৩ কোটি ০৭ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৩২২ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৭২টি কোম্পানির, কমেছে ১৬৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

বিনিয়োগ ঝুঁকি মুক্ত শেয়ারবাজার

বিদায়ী সপ্তাহে (১৫-১৯ ডিসেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পিই রেশিও (সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত) কিছুটা বেড়েছে।

আগের সপ্তাহের তুলনায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ২.৩৭ শতাংশ বা ০.২২ পয়েন্ট বেড়েছে। শেয়ারবাজারে পিই কিছুটা বাড়লেও বিনিয়োগ ঝুঁকি মুক্ত রয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ৯.৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.২৮ পয়েন্ট।

খাতভিত্তিক হিসাবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত ৩.২১ পয়েন্টে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ৫.০৪ পয়েন্ট, ব্যাংক খাত ৬.৩১ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাত ১০.৭ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাত ১০.৭৩ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাত ১১.৫২ পয়েন্টে, বস্ত্র খাত ১১.৭৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাত ১২.১৯ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাত ১৩.০১ পয়েন্টে, বীমা খাত ১৩.১২ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত ১৩.৪৫ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাত ১৪.০৬ পয়েন্টে, বিবিধ খাত ১৭.০৫ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাত ১৭.৯২ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাত ২৫.০১ পয়েন্টে, চামড়া খাত ৩৫.৬৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাত ৫৮.০১ পয়েন্টে এবং সিরামিক খাত ৮৪.৮১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

আগের সপ্তাহে (৮-১২ ডিসেম্বর) খাত ভিত্তিক পিই রেশিও ছিল- ব্যাংক খাতে ৬.৫ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৪.৪ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩২৬.৯ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.৫ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ৩১.৫ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৩.৮ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৫.৭ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১৩.২ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৯.৪ পয়েন্ট, পাট খাতে ৪৯.৫ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩১.৬ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৫.৩ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৩৬.১ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.৬ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১০.৬ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ২৭.৬ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৬৯.১ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১২.৫ পয়েন্ট ও বস্ত্র খাতে ১৪.৫ পয়েন্টে।

সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিদায়ী সপ্তাহের সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দেশের উভয় শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। যে কারণে বিদায়ী সপ্তাহে (১৫-১৯ ডিসেম্বর) চার কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এই চার কর্মদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৪১৩টি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ১৭২টির দর বেড়েছে, ১৬৮টির দর কমেছে, ৫৭টির দর অপরিবর্তিত ছিল এবং ১৬টির লেনদেন হয়নি।

সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে জাহিন স্পিনিং লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর ১১.৯৪ শতাংশ কমেছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।

সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় স্থান পাওয়া অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এইচ.আর. টেক্সটাইলের ১০.৯৫ শতাংশ, নিউলাইন ক্লোথিংসের ৮.৭৫ শতাংশ, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ৮.২৩ শতাংশ, এমারেল্ড অয়েলের ৬.৯৭ শতাংশ, ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের ৬.৯৪ শতাংশ, আরামিট সিমেন্টের ৬.৪০ শতাংশ, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের ৬.২৩ শতাংশ, বেঙ্গল উইন্ডস্বরের ৫.৮২ শতাংশ এবং আমরা টেকনোলজিসের ৫.৮২ শতাংশ শেয়ার দর কমেছে।

সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিদায়ী সপ্তাহের সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দেশের উভয় শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ ছিল। যে কারণে বিদায়ী সপ্তাহে (১৫-১৯ ডিসেম্বর) চার কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে। এই চার কর্মদিবসে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৪১৩টি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে ১৭২টির দর বেড়েছে, ১৬৮টির দর কমেছে, ৫৭টির দর অপরিবর্তিত ছিল এবং ১৬টির লেনদেন হয়নি।

সপ্তাহটিতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৪.২৩ শতাংশ। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।

সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে এ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ১১.২৬ শতাংশ, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের ১৬.৬৭ শতাংশ, বিকন ফার্মার ১৫.৫৮ শতাংশ, হামি ইন্ডাস্ট্রিজের ১৫.৫৭ শতাংশ, একমি ল্যাবরেটরিজের ১১.৬৭ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ১১.৩৯ শতাংশ, জেমিনি সী ফুডের ১১.১৮ শতাংশ, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডের ১০.৬৬ শতাংশ এবং ফাইন ফুডসের ১০.৬৪ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।

সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে স্কয়ার ফার্মা

বিদায়ী সপ্তাহে (১৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর) চার কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৭ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি।

ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিটির গড়ে ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ অবদান স্কয়ার ফার্মার।

লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৮ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৫ দশমিক ০৭ শতাংশ।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৭ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪ দশমিক ৭২ শতাংশ।

এছাড়া, প্রতিদিন গড় লেনদেনে সাপ্তাহিক শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং করোপরেশনের ১৩ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার টাকা, রবি আজিয়াটার ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা, ফাইন ফুডসের ৮ কোটি ২৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা, গ্রামীণফোনের ৭ কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা, এক্সপ্রেস ইন্সুন্সের ৬ লাখ ৬৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ওয়াইম্যাক্স ইলেকট্রোডের ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং সাইহাম কটনের ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

মুনাফা থেকে লোকসানে এনার্জিপ্যাক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৮৫ পয়সা লোকসান হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৫ পয়সা।

আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট নগদ অর্থের প্রবাহ ছিল ২২ পয়সা, যা গত বছর ১ পয়াসা ছিল।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৩ টাকা ৬৪ পয়সা।

 

 

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: