facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ০১ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৫

Walton

পুঁজিবাজারের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ৭ খবর


২৯ মার্চ ২০২৫ শনিবার, ১১:২০  এএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


পুঁজিবাজারের প্রধান গুরুত্বপূর্ণ ৭ খবর

লেনদেন কমলেও বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে টাকার অংকে লেনদেন কমলেও দেশের শেয়ারবাজারে ২৫ হাজার কোটি টাকার মূলধন ফিরেছে। গায়েব হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর সব সূচক বাড়লেও টাকার অংকে লেনদেন কমেছে। তবে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সূচকের মিশ্র প্রবণতায় উল্লেখযোগ্য হারে টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে।

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৭.৪৬ পয়েন্ট বা ০.৩৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২১৯.১৬ পয়েন্টে।

অপর সূচকগুলোর মধ্যে- ডিএসই-৩০ সূচক ২৬.৮১ পয়েন্ট বা ১.৪২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯১৪.৬৯ পয়েন্টে।

ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ১০.০৯ পয়েন্ট বা ০.৮৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৬৮.১১ পয়েন্টে।

এছাড়া, ডিএসএমইএক্স সূচক ১.৬৩ পয়েন্ট বা ০.১৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯০.৩০ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে।

এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৩টি, কমেছে ১৬১টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টি প্রতিষ্ঠানের।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫৮ কোটি ৫৫ লাখ ১০ হাজার শেয়ার ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৬৭বার হাতবদল হয়।

টাকার অংকে যার বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬২৭ কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা।

আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৩৮৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার।

অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৭৫৭ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা বা ৩১.৭৫ শতাংশ।

বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ৫১৭ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার টাকায়।

অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৩৪৮ কোটি ৩৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা বা ০.৩৫ শতাংশ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮.১০ পয়েন্ট বা ০.১২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৪১.৩৫ পয়েন্টে।

সিএসইর অপর সূচক সিএসসিএক্স ৭.৬২ পয়েন্ট বা ০.০৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৮৪২.৯৬ পয়েন্টে।

অপর ২টি সূচকের মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ৪.২৩ পয়েন্ট বা ০.৩৮ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ৪.২৩ পয়েন্ট বা ০.১০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে- এক হাজার ১১৩.৪১ পয়েন্টে এবং ৯৪২.১৭ পয়েন্টে।

এছাড়া, সিএসই-৩০ সূচক ৯৭.০৭ পয়েন্ট বা ০.৮১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ২৭.৯৮ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ২৮২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে।

এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০০টি, কমেছে ১৫৯টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির।

সপ্তাহটিতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ৮০ লাখ ৫৯ হাজার ৬৬০ টাকার।

আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৮ কোটি ৬২ হাজার ৪৯৯ টাকার।

অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ২২ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার ১৬১ টাকা বা ৮১.৪০ শতাংশ।

১১ খাতে মুনাফা

বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ারবাজারের ৭ খাত থেকে মুনাফা পেয়েছে বিনিয়োগকারীরা। কারণ আলোচ্য সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ৭ খাতে। এর ফলে এই ১১ খাতের মুনাফা হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। একই সময়ে সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ৬ খাতে। এর ফলে এই ৬ খাতে বিনিয়োগকারীদের লোকসান হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩ খাতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি মুনাফা হয়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে। এই খাতে বিদায়ী সপ্তাহে দর বেড়েছে ২.৮০ শতাংশ। ১.৪০ শতাংশ দর বেড়ে সাপ্তাহিক রিটার্ন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। একই সময়ে ১.০০ শতাংশ দর বেড়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান আর্থিক খাত।

সাপ্তাহিক রিটার্নে অন্য ৮ খাতের মধ্যে- লাইফ ইন্স্যুরেন্স আর্থিক খাতে ০.৮০ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ০.৬০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ০.০১ শতাংশ, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে ০.৫০ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে ০.৫০ শতাংশ, ট্যানারি খাতে ০.৪০ শতাংশ, বিবিধ খাতে ০.৩০ শতাংশ এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ০.১০ শতাংশ দর বেড়েছে।

ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর (ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ) পিই রেশিও (সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত) বেড়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশেও বেড়েছে ০.০৬ পয়েন্ট বা ০.৬১ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ৯.৭৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৬৮ পয়েন্ট।

খাতভিত্তিক হিসাবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায় বিদায়ী সপ্তাহে- ব্যাংক খাতে ৬.৫ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৪.১ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৪১৮.৯ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.১ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২৭.১ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৩.৪ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৬.৪ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৩ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৮.৪ পয়েন্ট, পাট খাতে ৩৫.৬ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩৫.৩ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ২৪.৯ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৪০.২ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.৩ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১০.২ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৪২.৪ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৩২.৮ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৩.২ পয়েন্ট ও বস্ত্র খাতে ১৩.৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

আগের সপ্তাহে (১৬-২০ মার্চ’২৫) খাত ভিত্তিক পিই রেশিও ছিল- ব্যাংক খাতে ৬.৬ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৪.১ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৪১৯.৮ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.১ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২৬.১ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৩.৪ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৬.২ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৩ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৮.৪ পয়েন্ট, পাট খাতে ৩৬.১ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩৫.২ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ২৪.৫ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৪১.৯ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.১ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১০.০ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৪৩.৩ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৩২.৭ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৩.২ পয়েন্ট ও বস্ত্র খাতে ১৩.৫ পয়েন্ট।

ব্লক মার্কেটে ১৪০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ১২৮ কোম্পানির ১৪০ কোটি ৯৩ লাখ ১ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১০ কোম্পানির।

কোম্পানিগুলো হলো- ওরিয়ন ইনফিউশন, ম্যারিকো, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, রেনেটা, লাভেলো আইস্ক্রিম, বেক্সিমকো ফার্মা, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ন ব্যাংক এবং বিচ হ্যাচারি।

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ব্লক মার্কেটে এই ১০ কোম্পানির মোট ১০৪ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনের। সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির ৩৪ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৩৯১ টাকা ৭০ পয়সা।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যারিকোর ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ২ হাজার ৪৩৫ টাকা ৮০ পয়সা।

তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যাংক এশিয়ার ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১৭ টাকা।

সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া অন্য ৭টি কোম্পানির মধ্যে- ব্র্যাক ব্যাংকের ১০ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা, রেনেটার ১০ কোটি ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা, লাভেলো আইস্ক্রিমের ৮ কোটি ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, বেক্সিমকো ফার্মার ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংকের ৪ কোটি ৪৮ লাখ ১০ হাজার টাকা এবং বিচ হ্যাচারির ৩ কোটি ৯০ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনে শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছে ওরিয়ন ইনফিউশনের।

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১১০ কোটি ৬৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৬.৮০ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৩৯১ টাকা ৭০ পয়সায়।

লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৯২ কোটি ৪৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৫.৬৮ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৯৯ টাকা ১০ পয়সায়।

সাপ্তাহিক লেনদেন তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে- শাইনপুকুর সিরামিকস। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৫৫ কোটি ৭৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৪৩ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৯৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ২৬ টাকা ২০ পয়সায়।

এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- ট্রেজারি বন্ডের ৪২ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা, বিচ হ্যাচারির ৩৯ কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা, স্কয়ার ফার্মার ৩৮ কোটি ২৯ লাখ ২০ হাজার টাকা, লাভেলো আইস্ক্রিমের ৩২ কোটি ৪৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা, সিানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৩০ কোটি ৭৯ লাখ ২০ হাজার টাকা, কেডিএস এক্সেসরিজের ৩০ কোটি ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং বিএসসির ২৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

দর পতনের শীর্ষে ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ১২.১২ শতাংশ।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৬ টাকা ৬০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৮০ পয়সা।

সাপ্তাহিক দরপতন বা লুজার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউসিবির শেয়ার দর কমেছে ৯.০৯ শতাংশ।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১২ টাকা ১০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১১ টাকায়।

৭.৫২ শতাংশ দর কমে সাপ্তাহিক লুজার তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোবাংলা ফার্মা।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৩ টাকা ৩০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে এক টাকা।

সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৭.২১ শতাংশ, বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিকসের ৬.৪০ শতাংশ, বিডি থাই ফুডের ৬.৪০ শতাংশ, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের ৬.৩৫ শতাংশ, আরএসআরএম স্টিলের ৬.২৫ শতাংশ, বিডি বিল্ডিং সিস্টেমসের ৬.১৫ শতাংশ এবং উসমানিয়া গ্লাসের ৫.৫৯ শতাংশ দর কমেছে।

দর বৃদ্ধির শীর্ষে এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১৮.৪২ শতাংশ।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৩ টাকা ৮০ পয়সা।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৭০ পয়সা।

ডিএসইর গেইনার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফার্স্ট ফাইন্যান্সের শেয়ার দর বেড়েছে ১৪.৭১ শতাংশ।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৩ টাকা ৪০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৫০ পয়সা।

১৩.৬৫ শতাংশ দর বেড়ে সাপ্তাহিক গেইনার তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে বেক্সিমকো ফার্মা।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ৮৭ টাকা ২০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৯ টাকা ১০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১১ টাকা ৯০ পয়সা।

সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১২.১২ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টের ১০.২৬ শতাংশ, শ্যামপুর সুগারের ১০.১৯ শতাংশ, মাইডাস ফাইন্যান্সের ৯.৫৭ শতাংশ, জনতা ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৯.৩৮ শতাংশ, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৯.৩১ শতাংশ এবং সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের ৯.০২ শতাংশ দর বেড়েছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন:

শেয়ারবাজার -এর সর্বশেষ