১৯ এপ্রিল ২০২৫ শনিবার, ১১:৩৫ এএম
ডেস্ক রিপোর্ট
শেয়ার বিজনেস24.কম
![]() |
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন ও মূলধন কমেছে
বিদায়ী সপ্তাহে (১৩-১৭ এপ্রিল) দেশের শেয়ারবাজারে সূচকের পাশাপাশি টাকার অংকে লেনদেন এবং বাজার মূলধন কমেছে। একই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমেছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সূচকের পাশাপাশি টাকার অংকে লেনদেন কমেছে।
সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১০৭.৯ পয়েন্ট বা ২.০৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৭.৩৩ পয়েন্টে।
অপর সূচকগুলোর মধ্যে- ডিএসই-৩০ সূচক ৫২.৫১ পয়েন্ট বা ২.৭২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৭৫.৩৯ পয়েন্টে।
ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২৯.২৫ পয়েন্ট বা ২.৪৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৪৩.৭১ পয়েন্টে।
এছাড়া, ডিএসএমইএক্স সূচক ৪০.০৮ পয়েন্ট বা ৪.১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯২৫.০৮ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৪১৩টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৭টি, কমেছে ২৯৯টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টি প্রতিষ্ঠানের।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫৭ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৮৯৪বার হাতবদল হয়।
টাকার অংকে যার বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৯৬ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪৩৬ কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার টাকার।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৮৪০ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার টাকা বা ৩৪.৪৮ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ কোটি ৮১ লাখ ১০ হাজার টাকা।
আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৬ কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায়।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১ হাজার ১০৭ কোটি ৫৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা বা ০.১৬ শতাংশ।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২৫০.২৯ পয়েন্ট বা ১.৭২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৫৯.০৭ পয়েন্টে।
সিএসইর অপর সূচক সিএসসিএক্স ১৪৯.০৫ পয়েন্ট বা ১.৬৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৬৮৫.১১ পয়েন্টে।
অপর ২টি সূচকের মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ১৭.৮৭ পয়েন্ট বা ১.৬১ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ২১.১২ পয়েন্ট বা ২.২২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে- এক হাজার ৯১.০১ পয়েন্টে এবং ৯২৮.৩২ পয়েন্টে।
এছাড়া, সিএসই-৩০ সূচক ২১৬.৩৬ পয়েন্ট বা ১.৭৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৮১০.৬৪ পয়েন্টে।
সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩০১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে।
এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৫টি, কমেছে ২১৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।
সপ্তাহটিতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ৪১ লাখ ৬ হাজার ১৭৬ টাকার।
আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪৩ কোটি ৬০ লাখ ১০ হাজার ৬৪০ টাকার।
অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১১ কোটি ১৯ লাখ ৪ হাজার ৪৬৪ টাকা বা ২৫.৬৬ শতাংশ।
রিটার্নে ১৯ খাতে লোকসান
বিদায়ী সপ্তাহে (১৩-১৭ এপ্রিল) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ৬ খাতে। এর ফলে এই ৭ খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসানে রয়েছে। একই সময়ে সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ১৯ খাতে। এছাড়া আলোচ্য সময়ে দর অপরিবর্তিত রয়েছে একটি খাতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে। বিদায়ী সপ্তাহে এই খাতে দর কমেছে ৬.১০ শতাংশ। ৬.০০ শতাংশ দর কমে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিরামিক খাত। একই সময়ে ৫.৪০ শতাংশ দর কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাত।
লোকসান হওয়া অন্য খাতের মধ্যে- সেবা ও আবাসন খাতে ৪.৯০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ৪.২০ শতাংশ, ভ্রমণ ও আবাসন খাতে ৩.৭০ শতাংশ, তথ্য প্রযুক্তি খাতে ৩.৪০ শতাংশ, আর্থিক খাতে ৩.২০ শতাংশ, পাট খাতে ৩.২০ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ৩.১০ শতাংশ, কাগজ ও প্রকাশনা খাতে ২.৯০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২.০০ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ১.৯০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ০.০১ শতাংশ, বিবিধ খাতে ০.৯০ শতাংশ, চামড়া খাতে ০.৯০ শতাংশ, টেলিকমিউনিকশন খাতে ০.৭০ শতাংশ, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে ০.৮০ শতাংশ এবং ব্যাংক খাতে ০.০১ শতাংশ দর কমেছে।
ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে
বিদায়ী সপ্তাহে (১৩-১৭ এপ্রিল) ডিএসইর (ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ) পিই রেশিও (সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত) কমেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশেও কমেছে ০.১৫ পয়েন্ট বা ১.৫৪ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ৯.৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭৩ পয়েন্ট।
খাতভিত্তিক হিসাবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায় বিদায়ী সপ্তাহে- ব্যাংক খাতে ৬.৩ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৪.৭ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৪০.৭ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.১ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২৬.০ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৩.২ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৬.১ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৩ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৭.৮ পয়েন্ট, পাট খাতে ৩৫.৩ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩৫.০ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ২৪.৯ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৩৮.০ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.২ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ৯.৮ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৪১.৫ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১১.১ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতে ১২.৩ পয়েন্ট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাত ৩২.১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আগের সপ্তাহে (১৩ -১৭ এপ্রিল’২৫) খাত ভিত্তিক পিই রেশিও ছিল- ব্যাংক খাতে ৬.৪ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৫.০ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৪২৫.১ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.২ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২৬.৬ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৩.৩ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৬.১ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১২.২ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৮.৪ পয়েন্ট, পাট খাতে ৩৫.৯ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩৫.৩ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ২৬.৬ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৩৮.৯ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.৪ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১০.৩ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৪১.৭ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৩.২ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতে ১২.৭ পয়েন্ট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাত ৩৩.৩ পয়েন্ট।
ব্লক মার্কেটে ১১২ কোটি টাকার বেশি লেনদেন
বিদায়ী সপ্তাহে (১৩-১৭ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৯৯ কোম্পানির ১২১ কোটি ৪৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১০ কোম্পানির।
কোম্পানিগুলো হলো- ম্যারিকো, বিচ হ্যাচারি, এসিআই, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, রিলায়েন্স ওয়ান, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, ব্যাংক এশিয়া, স্কয়ার ফার্মা, খান ব্রাদার্স এবং এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ব্লক মার্কেটে এই ১০ কোম্পানির মোট ১০৪ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ম্যারিকোর। সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির ২৫ কোটি ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল২ হাজার ৪৯৯ টাকা ৬০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিচ হ্যাচারির ২৫ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৯৬ টাকা ৮ পয়সা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ওয়ালটন হাইটেকের ২০ কোটি ৬৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১৯৪ টাকা ৬০ পয়সা।
সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া অন্য ৭টি কোম্পানির মধ্যে- সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৯ কোটি ৮৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, রিলায়েন্স ওয়ানের ৭ কোটি ৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ৪ কোটি ৬৯ লাখ ২০ হাজার টাকা, ব্যাংক এশিয়ার ৪ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা, স্কয়ার ফার্মার ৩ কোটি ২৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা, খান ব্রাদার্সের ২ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ২ কোটি ৩০ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শীর্ষে বিএসসি
বিদায়ী সপ্তাহে (১৩-১৭ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনে শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি)।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৮৫ কোটি ২৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৫.৩৪ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৩১ লাখ টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৯৩ টাকা ৩০ পয়সায়।
লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিচ হ্যাচারি। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৬৮ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪.২৯ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ১২ লাখ ৭০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৯৬ টাকা ৭০ পয়সায়।
সাপ্তাহিক লেনদেন তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে- বেক্সিমকো ফার্মা। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৪৪ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৭৭ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৯৫ টাকা ২০ পয়সায়।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- উত্তরা ব্যাংকের ৪২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, এসিআই লিমিটেডের ৩৬ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা, শাইনপুকুর সিরামিকসের ৩৪ কোটি ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ৩৩ কোটি ৬৫ লাখ ২০ হাজার টাকা, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৩০ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা, ম্যারিকোর ২৭ কোটি ৩৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের ২৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
দর পতনের শীর্ষে বিডি ফাইন্যান্স
বিদায়ী সপ্তাহে (১৩-১৭ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে বিডি ফাইন্যান্সের। সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ১৫.৯৭ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১০ টাকা ৯০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে এক টাকা ৫০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দরপতন বা লুজার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনিয়িন ক্যাপিটালের শেয়ার দর কমেছে ১৫.৫২ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৫ টাকা ৮০ পয়সায়।
গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৯০ পয়সা।
১৩.৪২ শতাংশ দর কমে সাপ্তাহিক লুজার তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে সোনারগাঁও টেক্সটাইল।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৩৮ টাকা। গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ টাকা ৯০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৫ টাকা ১০ পয়সা।
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১৩.৪১ শতাংশ, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের ১৩.৩৯ শতাংশ, শাইনপুকর সিরামিকসের ১৩.১৮ শতাংশ, জনতা ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১২.৮২ শতাংশ, এস এস স্টিলের ১২.৬৬ শতাংশ, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের ১১.৯১ শতাংশ এবং আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১১.৯০ শতাংশ দর কমেছে।
দর বৃদ্ধির শীর্ষে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স
বিদায়ী সপ্তাহে (১৩-১৭ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২৪.৪১ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ২৫ টাকা ৪০ পয়সা।
গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৬ টাকা ২০ পয়সা।
ডিএসইর গেইনার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিডল্যান্ড ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ২০.৪১ শতাংশ।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৪ টাকা ৭০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩ টাকা।
১৫.৮৬ শতাংশ দর বেড়ে সাপ্তাহিক গেইনার তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে রেনউইক যজ্ঞেশ্বর।
আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ৬৩০ টাকা ৫০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৩০ টাকা ৫০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১০০ টাকা।
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- শাহজীবাজার পাওয়ারের ১৩.৯৯ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ১১.৭৬ শতাংশ, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ৮.৭০ শতাংশ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৭.৭২ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ৭.৫৩ শতাংশ, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ৬.৮৩ শতাংশ এবং এনআরবি ব্যাংকের ৬.৩৫ শতাংশ দর বেড়েছে।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।