facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২৮ মার্চ শুক্রবার, ২০২৫

Walton

পুঁজিবাজারের যে অজানা ৭ খবর আপনার অবশ্যই জানা উচিত


২৩ মার্চ ২০২৫ রবিবার, ১০:৫৭  এএম

ডেস্ক রিপোর্ট

শেয়ার বিজনেস24.কম


পুঁজিবাজারের যে অজানা ৭ খবর আপনার অবশ্যই জানা উচিত

পাঁচ কোম্পানিতে কমেছে বিদেশি বিনিয়োগ

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণ কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসের শেয়ার ধারণ তথ্যে এমনটা দেখা গেছে।

কোম্পানিগুলো হলো-বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো, ঢাকা ডাইং, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, রেনেটা ও সিঙ্গার বাংলাদেশ।

বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো

৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকোতে বিদেশিদের শেয়ার ছিল ৪.৪৯ শতাংশ। যা ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে ০.২৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪.২৬ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৭২.৯১ শতাংশ অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ১৩.৮৮ শতাংশ থেকে ০.১২ শতাংশ বেড়ে ১৪ শতাংশে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ৮.০৮ শতাংশ থেকে ০.১১ শতাংশ বেড়ে ৮.১৯ শতাংশে উঠেছে।

ঢাকা ডাইং

৩১ জানুয়ারি ঢাকা ডাইংয়ে বিদেশিদের শেয়ার ছিল ০.৪৯ শতাংশ। যা ২৮ ফেব্রুয়ারি ০.২৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.২০ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৭২.৯১ শতাংশ অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে কমেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ এবং বেড়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ২০.৪৮ শতাংশ থেকে ২.৭৮ শতাংশ কমে ১৭.৭০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ৪৮.৯৩ শতাংশ থেকে ৩.০৭ শতাংশ বেড়ে ৫২ শতাংশে উঠেছে।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক

৩১ জানুয়ারি গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকে বিদেশিদের শেয়ার ছিল ০.৪৯ শতাংশ। যা ২৮ ফেব্রুয়ারি ০.১১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.৩৮ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ১৫.৪২ শতাংশ অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণ বেড়েছে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কমেছে। আলোচ্য সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ৫৩.৪১ শতাংশ থেকে ০.৩৬ শতাংশ বেড়ে ৫৩.৭৭ শতাংশে উঠেছে। বিপরীতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ৩০.৬৮ শতাংশ থেকে ০.২৫ শতাংশ কমে ৩০.৪৩ শতাংশে নেমেছে।

রেনেটা

৩১ জানুয়ারি রেনেটায় বিদেশিদের শেয়ার ছিল ২০.৯৫ শতাংশ। যা ২৮ ফেব্রুয়ারি ০.১৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২০.৭৯ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৫১.২৯ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং বেড়েছে সাধারণ বিনিয়োগ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ২১ শতাংশ থেকে ০.০১ শতাংশ কমে ২০.৯৯ শতাংশে দাঁড়েয়েছে। আর সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ৬.৭৬ শতাংশ থেকে ০.১৭ শতাংশ বেড়ে ৬.৯৩ শতাংশে উঠেছে।

সিঙ্গার বাংলাদেশ

৩১ জানুয়ারি সিঙ্গার বাংলাদেশে বিদেশিদের শেয়ার ছিল ১.২৯ শতাংশ। যা ২৮ ফেব্রুয়ারি ০.৩০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.৯৯ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৫৭ শতাংশ অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ বিনিয়োগ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ২৯.০১ শতাংশ থেকে ০.১৫ শতাংশ বেড়ে ২৯.১৬ শতাংশে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ১২.৭০ শতাংশ থেকে ০.১৫ শতাংশ বেড়ে ১২.৮৫ শতাংশে উঠেছে।

ছয় কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ছয় কোম্পানিতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণ বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সর্বশেষ ফেব্রুয়ারি মাসের শেয়ার ধারণ তথ্যে এমনটা দেখা গেছে।

কোম্পানিগুলো হলো-বীচ হ্যাচারি, ব্র্যাক ব্যাংক, ম্যারিকো, মবিল যমুনা, প্রাইম ব্যাংক ও কুইনসাউথ টেক্সটাইল।

বীচ হ্যাচারি

৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে বীচ হ্যাচারিতে বিদেশিদের শেয়ার ছিল ১.৫২ শতাংশ। যা ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে ০.২৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৭৬ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৩৪.৯৭ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকলেও বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক। তবে কমেছে সাধারণ বিনিয়োগ। আলোচ্য সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ১৮.২০ শতাংশ থেকে ২.৬৪ শতাংশ বেড়ে ২০.৮৪ শতাংশে ওঠেছে। বিপরীতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ৪৫.৩১ শতাংশ থেকে ২.৮৮ শতাংশ কমে ৪২.৪৩ শতাংশে নেমেছে।

ব্র্যাক ব্যাংক

৩১ জানুয়ারি ব্র্যাক ব্যাংকে বিদেশিদের শেয়ার ছিল ৩২.০৯ শতাংশ। যা ২৮ ফেব্রুয়ারি ০.১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২.২০ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৪৬.১৭ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ এবং বেড়েছে সাধারণ বিনিয়োগ। এ সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ১৪.২৯ শতাংশ থেকে ০.০৩ শতাংশ কমে ১৪.২৬ শতাংশে নেমেছে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ৭.৪৫ শতাংশ থেকে ০.০৮ শতাংশ বেড়ে ৭.৩৭ শতাংশে ওঠেছে।

ম্যারিকো

৩১ জানুয়ারি ম্যারিকোতে বিদেশিদের শেয়ার ছিল ১.২৮ শতাংশ। যা ২৮ ফেব্রুয়ারি ০.১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৩৯ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৪৬.১৭ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ও সাধারণ বিনিয়োগ। এ সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ ৬.৬৯ শতাংশ থেকে ০.১০ শতাংশ কমে ৬.৫৯ শতাংশে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ ২.০৩ শতাংশ থেকে ০.০১ শতাংশ বেড়ে ২.০২ শতাংশে নেমেছে।

মবিল যুমনা

৩১ জানুয়ারি মবিল যুমনায় বিদেশিদের শেয়ার ছিল ১.৩৪ শতাংশ। যা ২৮ ফেব্রুয়ারি ০.৯২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.২৬ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৪৬.১৭ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকলেও কমেছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ও সাধারণ বিনিয়োগ। আলোচ্য সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ২১.৩৯ শতাংশ থেকে ০.৫৮ শতাংশ কমে ২০.৮১ শতাংশে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারী ৫.৭৫ শতাংশ থেকে ০.৩৪ শতাংশ কমে ৫.৪১ শতাংশে নেমেছে।

কুইনসাউথ টেক্সটাইল

৩১ জানুয়ারি কুইনসাউথ টেক্সটাইলে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ১.০৯ শতাংশ। যা ২৮ ফেব্রুয়ারি ১.৬৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৭৫ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটিতে উদ্যোক্তা পরিচালক ও প্রাতিষ্ঠানিকদের শেয়ার কমেছে এবং বেড়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার। আলোচ্য সময়ে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৫৩.২৩ শতাংশ থেকে ১.৬৬ শতাংশ কমে ৫১.৫৭ শতাংশে এবং প্রাতিষ্ঠানিকদের শেয়ার ১০.৫৬ শতাংশ থেকে ২.৪২ শতাংশ কমে ৮.১৪ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ৩৫.১২ শতাংশ থেকে ২.৪২ শতাংশ বেড়ে ৩৭.৫৪ শতাংশে ওঠেছে।

শেয়ারবাজারে দ্বৈত কর: বিনিয়োগকারীদের জন্য বিপদ না সুযোগ

দেশের কর-রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) যে চেষ্টা করছে, তাতে নতুন কর আরোপের চেষ্টা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে একটি বড় বিষয় হলো ডিভিডেন্ড আয়ে ফের নতুন করে কর আরোপ করা, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলুন, বিস্তারিত জানি কেন এই বিষয়টি আলোচনায় এসেছে।

কোনো কোম্পানি যখন শেয়ারহোল্ডারদের ক্যাশ ডিভিডেন্ড প্রদান করে, তখন ওই ডিভিডেন্ডের ওপর বর্তমানে ১০ থেকে ২০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করা হয়। যদি শেয়ারহোল্ডারের টিআইএন নম্বর থাকে, তবে ১০ শতাংশ, না থাকলে ১৫ শতাংশ কর্তন করা হয়। যদি শেয়ারহোল্ডার কোনো প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেট হয়, তবে ২০ শতাংশ কর কর্তন করা হয়। তবে, এই আয়টি শেয়ারহোল্ডারের কোম্পানির কর-পরবর্তী আয়ের ওপর হয়। অর্থাৎ, শেয়ারহোল্ডারের কোম্পানি যখন সরকারকে কর দেয়, তার ওপর ফের কর বসানো হচ্ছে।

এই প্রথা বিশ্বের অনেক দেশে বিদ্যমান থাকলেও, সেখানে এই করের হার তুলনামূলকভাবে কম রাখা হয়। উদাহরণস্বরূপ, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকংসহ বেশ কয়েকটি দেশে ডিভিডেন্ড আয়ে কোনো কর নেই, কারণ কোম্পানির পর্যায়ে ইতোমধ্যে কর প্রদান করা হয়েছে। পাকিস্তান, নেপাল, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশে ডিভিডেন্ড আয়ে নির্দিষ্ট হারে কর আরোপ করা হয়, যা পরে শেয়ারহোল্ডারের আয়কর রিটার্নের সাথে একত্রিত করা হয় না।

বাংলাদেশে ডিভিডেন্ড আয়ের ওপর দু`বার কর আরোপ করা হয়। একবার কোম্পানির লাভের ওপর এবং পরে শেয়ারহোল্ডারের ডিভিডেন্ড আয়ের ওপর। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা আসলে নিজেদের প্রকৃত আয় থেকে অনেক কম পেয়ে থাকেন, যা শেয়ারবাজারের জন্য ক্ষতিকর।

বাংলাদেশে কর আরোপের অতিরিক্ত চাপ বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমিয়ে দেয়, যার ফলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের পরিমাণ হ্রাস পায়। সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট বক্তৃতায় দ্বৈত কর পরিহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তবে সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। অতিরিক্ত কর আরোপের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য শ্লথ হতে পারে এবং সরকার সম্ভাব্য রাজস্ব হারাতে পারে।

দ্বৈত কর পরিহার করা বাংলাদেশের শেয়ারবাজারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেয়ারবাজারের গভীরতা বাড়াতে হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে পেতে হবে। তাই সরকারের উচিত শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সহায়ক এবং প্রতিযোগিতামূলক করনীতি প্রণয়ন করা। এমনকি, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারী নির্ভয়ে বিনিয়োগ করতে পারলে সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে।

বাংলাদেশের শেয়ারবাজার এখনো উন্নয়নশীল এবং এটি দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু ডিভিডেন্ড আয়ে দ্বৈত কর আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই, সরকারের উচিত শেয়ারবাজারের উন্নয়নে কার্যকর নীতি গ্রহণ করা, যাতে বিনিয়োগকারীরা সঠিক পথে বিনিয়োগ করতে পারেন এবং দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়।

দুই প্রান্তিকে আয় কমেছে সামিট পাওয়ারের

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেড গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) এবং গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর’২৪-ডিসেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কোম্পানিটির আয় কমেছে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

চচলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৭ পয়সা। গত বছর একই সময়ে আয় হয়েছিল ৮৯ পয়সা।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৪১ টাকা ২৫ পয়সা।

অন্যদিকে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (কনসোলিডেটেড ইপিএস) হয়েছে ৫০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ৮২ পয়সা।

হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জুলাই’২৪-ডিসেম্বর’২৪) কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ০৭ পয়সা। গত বছরের একই সমন্বিত ইপিএস সময়ে ছিল ১ টাকা ৭১ পয়সা।

গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৪১ টাকা ৮৮ পয়সা।

বিডি সার্ভিসের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ সার্ভিস লিমিটেডের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৫ মার্চ বিকাল ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আলোচিত সভায় ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর’২৪-ডিসেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।

গণমাধ্যমকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ সংস্কার কমিশনের

প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। প্রথম পর্যায়ে মাঝারি ও বড় মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে সর্বসাধারণের জন্য শেয়ার ছাড়া ও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার সুপারিশ করেছে এই কমিশন।

শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন

এতে বলা হয়, বৈশ্বিক চর্চা হচ্ছে গণমাধ্যমের কেন্দ্রীকরণ যেন কোনোভাবেই ঘটতে না পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কমিশন মনে করে এখানেও অচিরেই একই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। ক্রস ওনারশিপ নিষিদ্ধ করে অর্ডিন্যান্স জারি করা যায় এবং যেসব ক্ষেত্রে এটি বিদ্যমান সেগুলোয় পরিবর্তন আনার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া। এগুলো নানা পদ্ধতিতে হতে পারে। যেসব কোম্পানি/গোষ্ঠী/প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তি/পরিবার একই সঙ্গে টেলিভিশন ও পত্রিকার মালিক তারা যেকোনো একটি গণমাধ্যম রেখে অন্যগুলোর মালিকানা বিক্রির মাধ্যমে হস্তান্তর করে দিতে পারে। অথবা দুইটি মিডিয়ার (টেলিভিশন ও পত্রিকা) সাংবাদিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে একত্রিত করে আরও শক্তিশালী ও বড় আকারে একটি মিডিয়া (টেলিভিশন অথবা দৈনিক পত্রিকা) পরিচালনা করতে পারে।

কমিশন জানায়, একক মালিকানায় একই ভাষায় একাধিক দৈনিক বা একাধিক টেলিভিশন চ্যানেল প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করে। সেই সাথে গণমাধ্যমের যে ক্ষমতা তা নিজ স্বার্থে কেন্দ্রীভূত করে। সে কারণে এই ব্যবস্থার অবসান হওয়া দরকার। কমিশন মনে করে, একই মালিকানায় একই ভাষায় একাধিক দৈনিক পত্রিকা গণমাধ্যমের প্রতিযোগিতাকে নষ্ট করে এবং পাঠক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। টেলিভিশনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এক উদ্যোক্তার একটি গণমাধ্যম (ওয়ান হাউজ, ওয়ান মিডিয়া) নীতি কার্যকর করাই গণমাধ্যমে কেন্দ্রীকরণ প্রতিরোধের সেরা উপায়।

গণমাধ্যমে কালোটাকার অনুপ্রবেশ নিরুৎসাহিত করতে হবে উল্লেখ করে কমিশন জানিয়েছে, প্রতিবছর গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক হিসাব উন্মুক্ত করতে হবে যাতে তার আয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়। সেইসঙ্গে গণমাধ্যমকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভূক্ত করার সুপারিশ করেছে কমিশন। প্রথম পর্যায়ে মাঝারি ও বড় মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে সর্বসাধারণের জন্য শেয়ার ছাড়া ও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

তাদের সুপারিশের মধ্যে আরও রয়েছে, কোনো গণমাধ্যমে নিয়োগপত্র ও ছবিসহ পরিচয়পত্র ছাড়া এবং বিনাবেতনে কোনো সাংবাদিককে অস্থায়ী, স্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এমনকি শিক্ষানবিশকাল এক বছরের বেশি হতে পারবে না। এছাড়াও সাংবাদিকদের স্থায়ী চাকরির শুরুতে সরকারি প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তাদের মূল বেতনের সমান বেতন ধার্য করার সুপারিশ করেছে কমিশন।

প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর বেড়েছে ৩০ শতাংশ

বিদায়ী সপ্তাহে (১৬ মার্চ-২০ মার্চ) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।

ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৪ টাকা ৪০ পয়সা বা ৩০ দশমিক ০৬ শতাংশ বেড়েছে।

দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ২৬ শতাংশ। আর ২৩ দশমিক ০৮ শতাংশ শেয়ারদর বাড়ায় তালিকার তৃতীয়স্থানে অবস্থান করেছে ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ফার্স্ট প্রাইম মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এবিবি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টন্স ইনভেস্টমেন্ট, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, একমি ফার্মাসিটিক্যালস।

 

 

 

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: