facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার, ২০২৫

Walton

পুঁজিবাজারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আট খবর


১১ জানুয়ারি ২০২৫ শনিবার, ১০:২২  এএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


পুঁজিবাজারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আট খবর

এনআরবিসি ব্যাংকের ৮ উদ্যোক্তাকে বিএসইসিতে তলব

পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকে জালিয়াতির বিষয়ে তদন্ত করবে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এজন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি আগামী ১৩ জানুয়ারি এনআরবিসি ব্যাংকের আট উদ্যোক্তাকে তলব করেছে।

সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

বিএসইসির তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন—অতিরিক্ত পরিচালক মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান, সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান রনি ও মো. হাছান। তদন্ত কমিটিকে আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এনআরবিসি ব্যাংকের যেসব উদ্যোক্তাকে তলব করা হয়েছে, তারা হলেন—ইঞ্জিনিয়ার ফরাসত আলী, ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী, মোহাম্মদ এনায়েত, সারোয়ার জামান চৌধুরী, ইজাহারুল ইসলাম হালদার, সাখাওয়াত আলী, সোহেল আহমেদ ও সেলিনা ইসলাম।

২০২৩ সালে অনৈতিক উপায়ে এনআরবিসি ব্যাংকের বাজেয়াপ্তযোগ্য ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল ও এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমামের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নামে হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে তখন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, “অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিএসইসির আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের এফআইসিএসডি ২০১৬ সালে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধে এ বি এম আব্দুল মান্নানের মালিকানাধীন ৪ কোটি ৭০ লাখ ১ হাজার ৮৮৬টি শেয়ার (পরিশোধিত মূলধনের ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ) বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেছিল। এর মধ্যে ৪ কোটি ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ৫১১টি স্পনসর শেয়ার ২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল ও আদনান ইমামের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে পারভেজ তমালের ব্যবসায়িক অংশীদার ও আত্মীয় শফিকুল আলম মিথুনের নামে ১ কোটি ৬৫ লাখ ৭২ হাজার ৯৯২টি, আদনান ইমামের স্ত্রী নাদিয়া মোমিন ইমামের নামে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৫ হাজার ৯০৪টি ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল আহসানের মেয়ে রেহনুমা আহসানের নামে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১৫টি শেয়ার অবৈধভাবে ব্লক মার্কেটে বিক্রির মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়।

বিএসইসির আদেশে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু, ওই শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগ করা অর্থ মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে জোগান দেওয়া এবং স্পনসর শেয়ার কেনাবেচা বা হস্তান্তরের জন্য বোর্ডের অনুমোদন লাগলেও এ বিষয়ে বোর্ড মিটিংয়ে কোনো আলোচনা না করে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিষয়টি উঠে এসেছে; সেহেতু উল্লিখিত বিষয়ে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আদনান ইমাম, অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন।

বাজার মূলধন কমেছে ২৬৫৮ কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (০৫-০৯ জানুয়ারি’২৫) দেশের শেয়ারবাজারে টাকার অংকে লেনদেন বাড়লেও আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি বাজার মূলধন গায়েব হয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহ দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতন ঘটেছে। বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন মূলধন কমেছে ২ হাজার ৬৫৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা বা ০.৪০ শতাংশ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সূচকের পাশাপাশি টাকার অংকে লেনদেন কমেছে।

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫.১৯ পয়েন্ট বা ০.১০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৯৪.৪৩ পয়েন্টে।

অপর সূচকগুলোর মধ্যে- ডিএসই-৩০ সূচক ৬.৭ পয়েন্ট বা ০.৩৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯২৪.২৭ পয়েন্টে।

ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৬.৮৪ পয়েন্ট বা ০.৫৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৬১.৯৪ পয়েন্টে।

এছাড়া, ডিএসএমইএক্স সূচক ৬.৫৭ পয়েন্ট বা ০.৫৯ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১০৩.৬৯ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৮টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে।

এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪০টি, কমেছে ২০৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টি প্রতিষ্ঠানের।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬৫ কোটি ৫৩ লাখ ৬০ হাজার শেয়ার ৫ লাখ ৬০ হাজার ৭৪২বার হাতবদল হয়।

টাকার অংকে যার বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৩২ কোটি ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৩৯২ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার।

অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩৪০ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার টাকা বা ২৪.৪৫ শতাংশ।

বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬২ হাজার ৯৫১ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার ২৯৩ কোটি ১৭ লাখ ৯০ হাজার টাকায়।

অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৬৫৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা বা ০.৪০ শতাংশ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯২.৩৮ পয়েন্ট বা ০.৬৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৪৫৯.৯১ পয়েন্টে।

সিএসইর অপর সূচক সিএসসিএক্স ৬২.৪১ পয়েন্ট বা ০.৭০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭৯৭.১০ পয়েন্টে।

অপর ২টি সূচকের মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ১০.৩ পয়েন্ট বা ০.৯২ শতাংশ কমে এবং সিএসআই সূচক ১.০৩ পয়েন্ট বা ০.১১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে- এক হাজার ১০৯.৮৩ পয়েন্টে এবং ৯৩৩.০৪ পয়েন্টে।

এছাড়া, সিএসই-৩০ সূচক ১৭৫.৫৪ পয়েন্ট বা ১.৪৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৯১৭.১৫ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে।

এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২০টি, কমেছে ১৫২টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির।

সপ্তাহটিতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৩৫ লাখ ৭১ হাজার ৪৩৪ টাকার।

আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৬০ কোটি ৫৫ লাখ ৪৩ হাজার ৮৬০ টাকার।

অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১২০ কোটি ১৯ লাখ ৭২ হাজার ৪২৫ টাকা বা ৭৪.৮৬ শতাংশ।

রিটার্নে ১২ খাতে লোকসান বিনিয়োগকারীদের

বিদায়ী সপ্তাহে (০৪-০৯ জানুয়ারি’২৫) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ১২ খাতে। এর ফলে এই ১২ খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসানে রয়েছে। একই সময়ে সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ৭ খাতে এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১টিতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে সিরামিকস খাতে। বিদায়ী সপ্তাহে এই খাতে দর কমেছে ২.৮০ শতাংশ। ২.২০ শতাংশ দর কমে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সেবা ও আবাসন খাত। একই সময়ে ১.৮০ শতাংশ দর কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে পাট ও ভ্রমণ ও অবকাশ খাত।

লোকসান হওয়া অন্য খাতের মধ্যে- আর্থিক খাতে ০.০২ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ১.৩০ শতাংশ, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে ০.০১ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ০.৮০ শতাংশ, লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাতে ০.৭০ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ০.০১ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ০.৬০ শতাংশ এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে ০.৩০ শতাংশ দর কমেছে।

এদিকে, সাপ্তাহিক রিটার্নে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে তথ্য প্রযুক্তি খাতে। এ খাতে সাপ্তাহিক রিটার্নে ৪.৩০ শতাংশ দর বেড়েছে।

অন্য খাতগুলোর মধ্যে- টেলিকমিউনিকেশন খাতে ২.২০ শতাংশ, বিবিধ খাতে ১.৩০ শতাংশ, কাগজ ও প্রকাশনা খাতে ১.৩০ শতাংশ, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ০.৬০ শতাংশ, ট্যানারি খাতে ০.৩০ শতাংশ এবং বস্ত্র খাতে ০.৩০ শতাংশ দর বেড়েছে।

পুঁজিবাজারে ঝুঁকি বাড়েনি

বিদায়ী সপ্তাহে (০৪-০৯ জানুয়ারি’২৫) ডিএসইর (ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ) পিই রেশিও (সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত) অপরিবর্তিত রয়েছে । ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ৯.৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৫১ পয়েন্ট।

খাতভিত্তিক হিসাবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতে ৬.৮ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৩.৯ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩১২ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.৫ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২৮.৭ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৪.১ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৫.৬ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৯ পয়েন্ট, আইটি খাতে ২০.১ পয়েন্ট, পাট খাতে ৪৬.১ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩২.৯ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৫.৩ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৩৫.৫ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.৬ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১০.১ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ২৮.৩ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৬৬.৯ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৩.৪ পয়েন্ট ও বস্ত্র খাতে ১৪.৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

আগের সপ্তাহে (২২-২৮ ডিসেম্বর’২৪) খাত ভিত্তিক পিই রেশিও ছিল- ব্যাংক খাতে ৬.৮ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৪.০ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩২০.৯ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.৬ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২৯.৩ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৪.৩ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৫.৬ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১৩.১ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৯.২ পয়েন্ট, পাট খাতে ৪৬.৯ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩২.৪ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৫.২ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৩৫.১ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.৬ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১০.৩ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ২৮.২ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৬৮.১ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৩.১ পয়েন্ট ও বস্ত্র খাতে ১৪.৪ পয়েন্ট।

ব্লক মার্কেটে ১০ কোম্পানির ১০২ কোটি টাকার লেনদেন

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১০ কোম্পানির।

কোম্পানিগুলো হলো- ফাইন ফুডস, মিডল্যান্ড ব্যাংক, রিলায়েন্স ওয়ান, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, রেনেটা, আইসিবি সোনালী ওয়ান, লাভেলো আইস্ক্রিম, বিচ হ্যাচারি, এক্সপ্রেস ইন্স্যরেন্স, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ এবং খান ব্রাদার্স ।

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ব্লক মার্কেটে এই ১০ কোম্পানির মোট ১০২ কোটি ৮৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্লক মার্কেটে ফাইন ফুডসের সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির ৩৪ কোটি ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ২৫৪ টাকা ৫০ পয়সা।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মিডল্যান্ড ব্যাংকের ৩৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৩৩ টাকা ৭০ পয়সা।

তৃতীয় সর্বোচ্চ রিলায়েন্স ওয়ানের ১১ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ২৩ টাকা ২০ পয়সা।

সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া অন্য ৭টি কোম্পানির মধ্যে- রেনেটার ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা, আইসিবি সোনালী ওয়ানের ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা, লাভেলো আইস্ক্রিমের ৩ কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা, বিচ হ্যাচারি ৩ কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের ২ কোটি ৯১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ১ কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং খান ব্রাদার্সের ১ কোটি ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

লেনদেনের শীর্ষে ১০ কোম্পানি

বিদায়ী সপ্তাহে (০৪-০৯ জানুয়ারি’২৫) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনে শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছে ফাইন ফুডস।

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১১১ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৬.৪৪ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ২৫৪ টাকা ৫০ পয়সা।

লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৯০ কোটি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৫.১৯ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৩০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৩৩ টাকা ৮০ পয়সায়।

সাপ্তাহিক লেনদেন তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে- রবি আজিয়েটা। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৪৫ কোটি ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৬৪ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ২৯ টাকা ৫০ পয়সায়।

এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- ওরিয়ন ইনফিউশনের ৪৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, খান ব্রাদার্সের ৪৩ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, অগ্নী সিস্টেমসের ৩৮ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রোডের ৩৬ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, বিএসসির ৩৪ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, গ্রামীণ ফোনের ৩৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং রিলায়েন্স ওয়ানের ৩২ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

দরপতনের শীর্ষে এপিএসসিএল নন কনভার্টিবল পার্পেচ্যুয়াল বন্ড

বিদায়ী সপ্তাহে (০৪-০৯ জানুয়ারি’২৫) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে এপিএসসিএল নন কনভার্টিবল পার্পেচ্যুয়াল বন্ড। সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ২৫.১৮ শতাংশ।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৪ হাজার ১০০ টাকা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬৭ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১ হাজার ৩২ টাকা ৫০ পয়সা।

সাপ্তাহিক দরপতন বা লুজার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেনারেশন নেক্সটের শেয়ার দর কমেছে ১০.২৬ শতাংশ।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ টাকা ৫০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৪০ পয়সা।

৮.৪৫ শতাংশ দর কমে সাপ্তাহিক লুজার তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকস।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৬৯ টাকা ৮০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৩ টাকা ৯০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৫ টাকা ৯০ পয়সা।

সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- ওরিয়ন ইনফিউশনের ৮.২৯ শতাংশ, দুলামিয়া কটনের ৮.২৪ শতাংশ, কেয়া কসমেটিকসের ৭.৫৫ শতাংশ, ওয়াটা কেমিক্যালের ৬.৬৩ শতাংশ, প্রাইম লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৬.২৩ শতাংশ, ডরিন পাওয়ারের ৬.১৭ শতাংশ এবং বিআইএফসির ৬.০২ শতাংশ দর কমেছে।

দর বৃদ্ধির শীর্ষে খুলনা প্রিন্টিং

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে খুলনা প্রিন্টিংয়ের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৩০.৩৯ শতাংশ।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১০ টাকা ২০ পয়সা।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৩০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩ টাকা ১০ পয়সা।

ডিএসইর গেইনার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা খান ব্রাদার্সের শেয়ার দর বেড়েছে ২৩.৮৩ শতাংশ।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৩০ টাকা ১০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬১ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩১ টাকা।

২১.৫৪ শতাংশ দর বেড়ে সাপ্তাহিক গেইনার তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে সুরিদ ইন্ডাস্ট্রিজ।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ৬ টাকা ৫০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৯০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা।

সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- রিলায়েন্স ওয়ানের ১৬.৭৫ শতাংশ, এসবিএসি ব্যাংকের ১৪.২৯ শতাংশ, ইনফরমেশন সার্ভিসেসের ১৩.৯৮ শতাংশ, জাহিন স্পিনিংয়ের ১৩.৫৬ শতাংশ, ফাস ফাইন্যান্সের ১৩.৩৩ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ১৩.২৭ শতাংশ এবং এসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ১১.৯০ শতাংশ দর বেড়েছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: