facebook twitter You Tube rss bangla fonts

ঢাকা, ২০ এপ্রিল রবিবার, ২০২৫

Walton

পুঁজিবাজারের সেরা ৭ খবর


০৮ মার্চ ২০২৫ শনিবার, ১০:৫৭  এএম

স্টাফ রিপোর্টার

শেয়ার বিজনেস24.কম


পুঁজিবাজারের সেরা ৭ খবর

শেয়ারবাজার থেকে প্রায় সোয়া ১৩ হাজার কোটি টাকা উধাও

বিদায়ী সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজার থেকে প্রায় সোয়া ১৩ হাজার কোটি টাকার উধাও হয়ে গেছে। অর্থাৎ গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ২১৬ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার টাকা বা ১.৯০ শতাংশ। একই সঙ্গে কমেছে সূচক ও টাকার অংকে লেনদেন। এছাড়া লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দও কমেছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সূচকের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হারে টাকার অংকে লেনদেন কমেছে।

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৩.৩৪ পয়েন্ট বা ০.৮৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২০৩.৯৬ পয়েন্টে।

অপর সূচকগুলোর মধ্যে- ডিএসই-৩০ সূচক ১৫.৮৭ পয়েন্ট বা ০.৮৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৮৯.৬৮ পয়েন্টে।

ডিএসই শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ৬.১১ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৬০.৮৯ পয়েন্টে।

এছাড়া, ডিএসএমইএক্স সূচক ৪৭.৩৩ পয়েন্ট বা ৪.৬৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭০.৩৪ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৫টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে।

এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৬টি, কমেছে ২৮৯টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি প্রতিষ্ঠানের।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬৮ কোটি ৪৮ লাখ ৪০ হাজার শেয়ার ৬ লাখ ১৩ হাজার ২৬৪বার হাতবদল হয়।

টাকার অংকে যার বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮১৩ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৫৬ কোটি ৬০ হাজার টাকার।

অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১ হাজার ২৪২ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার টাকা বা ৪০.৬৫ শতাংশ।

বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩৬৪ কোটি ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪৭ কোটি ৫৪ লাখ ৬০ হাজার টাকায়।

অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১৩ হাজার ২১৬ কোটি ৬৬ লাখ ১০ হাজার টাকা বা ১.৯০ শতাংশ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৩০.১২ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০২.৮৮ পয়েন্টে।

সিএসইর অপর সূচক সিএসসিএক্স ৭৩.৫২ পয়েন্ট বা ০.৮২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭৯৪.৭৭ পয়েন্টে।

অপর ২টি সূচকের মধ্যে সিএসই-৫০ সূচক ৯.৭ পয়েন্ট বা ০.৮৭ শতাংশ এবং সিএসআই সূচক ৩.৬১ পয়েন্ট বা ০.৩৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে- এক হাজার ১০৩.৩০ পয়েন্টে এবং ৯৪৩.১০ পয়েন্টে।

এছাড়া, সিএসই-৩০ সূচক ১২৮.৬৬৫ পয়েন্ট বা ১.০৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৭৯৭.২০ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩২৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে।

এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৫টি, কমেছে ২১৫টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির।

সপ্তাহটিতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৫৭ লাখ ২২ হাজার ৩৩৪ টাকার।

আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৭০ কোটি ৩৫ লাখ ৮৬ হাজার ৭৪১ টাকার।

অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৫০ কোটি ৭৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪০৭ টাকা বা ৮৮.৫১ শতাংশ।

রিটার্নে ১৯ খাতে লোকসান

বিদায়ী সপ্তাহে সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে ১৯ খাতে। এর ফলে এই ১৯ খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসানে রয়েছে। একই সময়ে সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ১ খাতে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে কাগজ ও প্রকাশনা খাতে। বিদায়ী সপ্তাহে এই খাতে দর কমেছে ৪.৬০ শতাংশ। ৩.৭০ শতাংশ দর কমে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তথ্য প্রযুক্তি খাত। একই সময়ে ৩.৫০ শতাংশ দর কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে বস্ত্র খাত।

লোকসান হওয়া অন্য খাতের মধ্যে- ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ২.৪০ শতাংশ, মিউচ্যুাল ফান্ড খাতে ২.১০ শতাংশ, পাট খাতে ১.৭০ শতাংশ, আর্থিক খাতে ১.৬০ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ১.৪০ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ০.০১ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ১.১০ শতাংশ, জেনারেল ইন্স্যুরেন্স খাতে ১.০০ শতাংশ, ব্যাংক খাতে ০.৯০ শতাংশ, লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাতে ০.৮০ শতাংশ, সিরামিকস খাতে ০.৮০ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে ০.৭০ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ০.৩০ শতাংশ, ট্যানারি খাতে ০.৩০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ০.২০ শতাংশ এবং বিবিধ খাতে ০.২০ শতাংশ দর কমেছে।

ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর (ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ) পিই রেশিও (সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত) কমেছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশেও কমেছে ০.০৭ পয়েন্ট বা ০.৭২ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ৯.৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৬৬ পয়েন্ট।

খাতভিত্তিক হিসাবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায় বিদায়ী সপ্তাহে- ব্যাংক খাতে ৬.৭ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৩.১ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩৯৩.৮ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.২ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২৭.১ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৩.৫ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৬.১ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১২.১ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৮.৯ পয়েন্ট, পাট খাতে ৩৭.২ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩৫.৪ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ২২.৮ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৪০.২ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.০ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১০.০ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৪২.৬ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৩৩.১ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৩.৬ পয়েন্ট ও বস্ত্র খাতে ১৩.৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

আগের সপ্তাহে (২৩-২৭ ফেব্রুয়ারি’২৫) খাত ভিত্তিক পিই রেশিও ছিল- ব্যাংক খাতে ৬.৭ পয়েন্ট, সিমেন্ট খাতে ১৩.৩ পয়েন্ট, সিরামিকস খাতে ৩৯৮ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ১৮.৩ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ২৭.১ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ১৩.৯ পয়েন্ট, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৬.১ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৪ পয়েন্ট, আইটি খাতে ১৯.৫ পয়েন্ট, পাট খাতে ৩৬.৮ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ৩৫.৫ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ২৩.৩ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৪০ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১১.১ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১০.১ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৪২.৪ পয়েন্ট, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৩৩.৭ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৪.১ পয়েন্ট ও বস্ত্র খাতে ১৩.৯ পয়েন্ট।

ব্লক মার্কেটে ১০ কোম্পানির ৯০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১০ কোম্পানির।

কোম্পানিগুলো হলো- প্রাইম ব্যাংক, বিচ হ্যাচারি, আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ইস্টার্ন ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, রিলায়েন্স ওয়ান, এসিআই লিমিটেড, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং কেডিএস এক্সেসরিজ।

আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে ব্লক মার্কেটে এই ১০ কোম্পানির মোট ৯০ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে কোম্পানিটির ৪০ কোটি ৩৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ২৪ টাকা ৬০ পয়সা।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিচ হ্যাচারি ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১১৬ টাকা ৭০ পয়সা।

তৃতীয় সর্বোচ্চ আলহাজ টেক্সটাইলের ৬ কোটি ৯১ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১৪৩ টাকা ৪০ পয়সা।

সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া অন্য ৭টি কোম্পানির মধ্যে- ব্যাংক এশিয়ার ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, ইস্টার্ন ব্যাংকের ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, এনআরবি ব্যাংকের ৩ কোটি ৯৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা, রিলায়েন্স ওয়ানের ৩ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার টাকা, এসিআই লিমিটেডের ২ কোটি ৮৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ২ কোটি ২৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং কেডিএস এক্সেসরিজের ২ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনে শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে লেনদেন তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছে ওরিয়ন ইনফিউশন।

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১০৭ কোটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৫.৯২ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৪৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৩৮৬ টাকা ৯০ পয়সায়।

লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে প্রাইম ব্যাংকের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৪১ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৩ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৩২ লাখ ৯০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ২৪ টাকা ৬০ পয়সায়।

সাপ্তাহিক লেনদেন তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে- বিচ হ্যাচারি। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৩৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.১২ শতাংশ।

সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৬৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ১১৬ টাকা ৭০ পয়সায়।

এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- শাইনপুকুর সিরামিকসের ৩৩ কোটি ২৩ লাখ টাকা, আলহাজ টেক্সটাইলের ৩১ কোটি টাকা, লাভেলো আইস্ক্রিমের ২৯ কোটি ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, রবি আজিয়েটার ২৮ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, কেডিএস এক্সেসরিজের ২৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং ফুডের ২৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং আইএফআইসি ব্যাংকের ২৬ কোটি ৫০ হাজার লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি দর কমেছে এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর কমেছে এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের। সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ১৪.৮৩ শতাংশ।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ২৩ টাকা ৬০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৩ টাকা ৫০ পয়সা।

সাপ্তাহিক দরপতন বা লুজার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার দর কমেছে ১৩.৪৯ শতাংশ।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৪১ টাকা ৫০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৯০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৫ টাকা ৬০ পয়সা।

১৩.১৫ শতাংশ দর কমে সাপ্তাহিক লুজার তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ২৫ টাকা ১০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেস কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৮০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৩ টাকা ৩০ পয়সা।

সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- হামিদ ফেব্রিক্সের ১৩.০৮ শতাংশ, মিডল্যান্ড ব্যাংকের ১২.৩২ শতাংশ, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ১১.৩৬ শতাংশ, জুট স্পিনার্সের ১০.৮৯ শতাংশ, নিউলাইন ক্লোথিংসের ৯.০৯ শতাংশ, ক্যাপিটেক গ্রোথ ফান্ডের ৮.৮৯ শতাংশ এবং ইয়াকিন পলিমারের ৮.৬৩ শতাংশ দর কমেছে।

সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের


বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ১৭.৭৪ শতাংশ।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৩৮ টাকা ৯০ পয়সা।

গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৬ টাকা ৯০ পয়সা।

ডিএসইর গেইনার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডেসকোর শেয়ার দর বেড়েছে ১৭.২৬ শতাংশ।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ২২ টাকা ৬০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৩ টাকা ৯০ পয়সা।

১৫.৭৪ শতাংশ দর বেড়ে সাপ্তাহিক গেইনার তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে ইন্দোবাংলা ফার্মা।

আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ১০ টাকা ৮০ পয়সা। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৫০ পয়সায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা।

সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ইস্টার্ন লুবরিক্যান্টসের ১২.০২ শতাংশ, ইস্টার্ন ক্যাবলসের ৯.৩৫ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ৮.৮২ শতাংশ, ন্যাশনাল টি কোম্পানির ৮.০২ শতাংশ, এশিয়ান টাইগার গ্রোথ ফান্ডের ৭.৬৯ শতাংশ, জেমিনি সি ফুডসের ৭.৬৭ শতাংশ এবং বিচ হ্যাচারির ৬.৬৭ শতাংশ দর বেড়েছে।

শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।

আপনার মন্তব্য লিখুন: