১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রবিবার, ১১:৩৮ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
ল্যাপরোস্কপি বা পেট না কেটে, ছোট ছিদ্রের মাধ্যমে অপারেশন উন্নত বিশ্বে একটি বহুল প্রচলিত পদ্ধতি। পিত্তপাথরের অপারেশন এবং ডিম্বনালীর কার্যকারীতা পরীক্ষাসহ আরো কিছু অপারেশন ল্যাপরোস্কপির মাধ্যমে আমাদের দেশে অনেক আগে থেকে হয়ে আসছে। বর্তমানে জরায়ুর বিভিন্ন রোগ যেমন টিউমার, অস্বাভাবিক রক্তপাত, জরায়ু মুখের ক্যান্সার পূর্ববর্তী অবস্থা ইত্যাদি কারণে জরায়ু ফেলে দেয়ার অপারেশনও এখন ল্যাপরস্কপির মাধ্যমে করা হচ্ছে।
গত ২৭ জানুয়ারিতে ৫৬ বছর বয়সী মিসেস দোলেনা বেগম, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানার জয়দেবপুর গ্রাম থেকে এসে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ভর্তি হন। তিনি বিগত ৫ বছর যাবৎ তলপেটের সামান্য ব্যথা ও ৩ মাস ধরে সাদা স্রাবের সমস্যায় ভুগছিলেন। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করিয়ে ফলপ্রসু সমাধান পাননি। এরপর তার প্রতিবেশী মারফৎ জানতে পারেন যে, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে জরায়ু মুখের ঘায়ের ভাল চিকিৎসা হয়।
এ কথা জানতে পারার পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। এখানে অপারেশন পূর্ববর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি গাইনী ইউনিটে প্রফেসর ডাঃ ফাতেমা আশরাফের নেতৃত্বে ল্যাপরোস্কপির মাধ্যমে তার জরায়ু, ডিম্বাশয়, ডিম্বনালী অপসারণ করা হয়। রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে তিন দিনে। ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে হাসপাতাল ত্যাগের অনুমতি দেয়া হয়। রোগী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ এবং পেট না কেটে অপারেশন করতে পারায় অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসক, সেবিকা ও অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
শেয়ারবিজনেস24.কম এ প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট বিনা অনুমতিতে ব্যবহার বেআইনি।